ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শুল্ক ও ভ্যাট বিষয়ক মামলার ব্যবস্থাপনা শীর্ষক সভায় এ্যাটর্নি জেনারেল

এলসি খুলে পণ্য আমদানির নামে অর্থ পাচার

প্রকাশিত: ০৪:৪৬, ৫ অক্টোবর ২০১৬

এলসি খুলে পণ্য আমদানির নামে অর্থ পাচার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খুলে পণ্য আমদানির নামে বিদেশে অর্থ পাচার হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। মঙ্গলবার রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে ‘উচ্চতর আদালত/হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন শুল্ক ও ভ্যাট বিষয়ক মামলার ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। মাহবুবে আলম বলেন, সাধারণত বিল অব এন্ট্রিতে যে পণ্যের কথা উল্লেখ থাকে বাস্তবে তার চেয়ে কম মূল্যের পণ্য আমদানি হচ্ছে। ফলে পণ্যের মূল্যের চেয়ে বেশি বিদেশে অর্থ পাচার হচ্ছে। এনবিআরে লিয়াজোঁ অফিসার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এনবিআরকে লিয়াজোঁ অফিসার হিসেবে দায়িত্ববান ও দক্ষ ব্যক্তিকে নিয়োগ দেয়া উচিত। অনেক লিয়াজোঁ অফিসার মামলায় হারার জন্য ঘুষ গ্রহণ করেন। ফলে মামলায় সাফল্য কম আসে। তাই লিয়াজোঁ অফিসারের ক্ষেত্রে পরীক্ষিত ব্যক্তিকে নিয়োগ দেয়া দরকার। মাহবুবে আলম বলেন, সরকারী চাকরিজীবীরা অনেক ক্ষেত্রেই আন্তরিক হয় না। তাই খারাপ কাজের জন্য যেমন চাকরি যাওয়ার মতো শাস্তি, তেমনি মামলায় সাফল্যের জন্য ইনসেটিফ থাকা দরকার। মতবিনিময় সভার সভাপতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোঃ নজিবুর রহমান বলেন, উন্নয়নের অক্সিজেন রাজস্ব আদায়ের গতি বৃদ্ধিতে সংশ্লিষ্ট মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। এ উদ্যোগের ফলে রাজস্ব সংশ্লিষ্ট মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির পাশাপাশি রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি, মামলাজট কম এবং সরকারের পক্ষে রায় আসার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া ভবিষ্যতে রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধিতে এ ধরনের উদ্ভাবনীমূলক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। ৩ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন ৯ শতাংশ স্টাফ রিপোর্টার ॥ চলতি অর্থবছরের (২০১৬-১৭) প্রথম তিন মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর (এডিপি) বাস্তবায়ন হার কিছুটা বেড়েছে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট এডিপির প্রায় নয় শতাংশ (৮.৭৪ শতাংশ) বাস্তবায়িত হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে বাস্তবায়নের এই হার ছিল সাত শতাংশ। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এডিপি বাস্তবায়নের হার বাড়ছে। বিরাজমান পরিবেশ ও পরিস্থিতি বিবেচনায় এ সময়ে বাস্তবায়নের এ হার খারাপ না। অর্থবছর অনুযায়ী বাস্তবায়নের এই হার আরও বাড়বে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। মন্ত্রী জানান, চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে এডিপি বাস্তবায়নে ব্যয় করা গেছে মোট ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় হয়েছিল ৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরে (২০১৬-১৭) ১ লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকার মূল এডিপি নেয়া হয়েছে। এছাড়া স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়ন ব্যয় আরও ১২ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে এডিপির আকার ১ লাখ ২৩ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা।
×