ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আরও দুই আসামির আত্মসমর্পণ

প্রকাশিত: ০৬:০২, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬

আরও দুই আসামির আত্মসমর্পণ

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ২৪ সেপ্টেম্বর ॥ আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় আরও দুই আসামি আদালতে আত্মসর্মপণ করেছে। শনিবার সকালে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তারা আত্মসর্মপণ করে জামিন আবেদন করে। বিচারক আবুল মনসুর মিয়া জামিন আবেদন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। আসামিরা হলো- টাঙ্গাইল শহর ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর মাসুদুর রহমান মাসুদ এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন নুরু। গত ১৮ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের এমপি আমানুর রহমান খান রানা দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থেকে আদালতে আত্মসর্মপণ করেন। পরে আদালত তার জামিন আবেদন বাতিল করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। বর্তমানে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন। ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ টাঙ্গাইল শহরে তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার সামনে পাওয়া যায়। ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর মডেল থানায় মামলা করেন। প্রথমে থানার পুলিশ ও পরে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মামলার তদন্ত শুরু করে। ২০১৪ সালের আগস্টে এই মামলার আসামি আনিছুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী গ্রেফতার হয়। আদালতে তাদের স্বীকারোক্তিতে এমপি রানা ও তার তিন সহোদর ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র শহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা এ হত্যাকা-ে জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। এরপর থেকেই এমপি রানা ও তার ভাইয়েরা আত্মগোপনে ছিলেন। সন্ধ্যায় লঞ্চ ডুবি ॥ মেরিন আদালতে মামলা খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল ॥ বানারীপাড়ায় সন্ধ্যা নদীতে এমএল ঐশি-২ নামের যাত্রীবাহী একতলা লঞ্চডুবির ঘটনার তিন দিন পর মেরিন আদালতে নৌ-যানটির মালিক ও চালক এবং তার সহকারির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বরিশালের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। লঞ্চ মালিক ও চালক বানারীপাড়া পৌর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউসুফ আলী হাওলাদার এবং তার সহকারী নয়নকে মামলায় আসামি করা হয়। মামলার বাদী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সার্ভে সনদ, রেজিস্ট্রেশন, সময়সূচীবিহীন নৌযান চালানো ও সরকারের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে লঞ্চে যাত্রী পরিবহন করার ফলে দুর্ঘটনায় এত প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। মামলার আরজিতে এসব অভিযোগ আনা হয়েছে।
×