ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সমাবেশে মেনন

জঙ্গীবাদী শক্তির ওপর নির্ভর করে খালেদারা ক্ষমতার স্বপ্নের জাল বুনছেন

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ৩ আগস্ট ২০১৬

জঙ্গীবাদী শক্তির ওপর নির্ভর করে খালেদারা ক্ষমতার স্বপ্নের জাল বুনছেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, জঙ্গীবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যের আওয়াজ দিয়ে বিএনপি যখন প্রশ্ন তুলে জঙ্গীদের কেন পেছন থেকে গুলি করা হলো? তাতেই বোঝা যায় বিএনপির মনের মানচিত্র। বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের প্রতিষ্ঠাতা বেগম জিয়া, তারেক রহমান ও নিজামী-মুজাহিদরা বাংলা ভাই সৃষ্টির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে জঙ্গীবাদী রাজনীতি প্রচলন করেছিলেন সে কথা এদেশের জনগণ ভুলে যাননি। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্যোগে জঙ্গীবাদ ও সাম্রাজ্যবাদী সমাবেশে সভাপতি ও প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মেনন। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখেন। বেগম জিয়ারা এখনও জঙ্গীবাদীর রাজনৈতিক শক্তির ওপরই নির্ভর করে তাদের ক্ষমতার স্বপ্নের জাল বুনছেন এমন মন্তব্য করে বিমানমন্ত্রী মেনন বলেন, আজকে বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের আক্রমণের পেছনে যে মাস্টারমাইন্ড কাজ করছে তা সাম্রাজ্যবাদী পরিকল্পনা। আর তাদের হাত হিসেবে কাজ করছে জামাত বিএনপির রাজনৈতিক ছাতা। ধরাপড়া জঙ্গীদের পেছনের রাজনৈতিক পরিচয় জামায়াত শিবির। জেএমবি, হরকত-উল-জিহাদ, হিযবুত তাহরির, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম সকল জঙ্গী সংগঠনের গোড়ায় কাজ করছে জামায়াত ও সা¤্রাজ্যবাদী শক্তি। এই শক্তির বিরুদ্ধে ১৪দল সহ যে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছে তাকে আরও তৃণমূলে নিয়ে যেতে হবে। চিরতরে জঙ্গীবাদকে উৎখাত করতে হবে। ১৪ দলের অন্যতম শরিক নেতা মেনন বলেন, জঙ্গীবাদ, উগ্র সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলবেই। আমরা বিশ্বাস করি এ দেশের মানুষ উগ্রবাদকে কখনই প্রশ্রয় দেবে না। অন্যায়কে না বলবে। উগ্রবাদীদের যে কোন মূল্যে নিমর্ৃূল করবে। এজন্য দল ও মত নির্বিশেষ সবাইকে এক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেন, আমাদের মৌলিক সাহসের ভিত্তি আমাদের ’৭২ এর ৪ মূলনীতির সংবিধান। পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে লড়াই করে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে আমরা বীরের জাতি হয়েছি। আজকে মৌলবাদ সাময়িক বিষফোঁড়া হিসেবে উপস্থিত হয়েছে। এই বিষফোঁড়া তৈরি করেছে সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধবাজ গোষ্ঠী। আমরা সেক্যুলার রাষ্ট্রের দর্শন নিয়ে যদি দাঁড়াতে পারি অবশ্যই জঙ্গীবাদ পরাস্ত হবে। জনগণের জাতীয় ঐক্যই জঙ্গীবাদকে পরাস্ত করবে। পলিটব্যুরো সদস্য বিমল বিশ্বাস বলেন, ‘পুজিবাদ ও যুদ্ধবাদী শক্তি পুনরায় বিশ্বকে ভাগ করে নেয়ার খেলায় মেতেছে। তারা এখন তৈরি করেছে জঙ্গীবাদী দানব। জঙ্গীবাদের নামে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে বিরোধ তৈরি করেছে। এ সাম্রাজ্যবাদী খেলা রুখতে হলে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের ঐক্য গড়তে হবে। সভায় ঘোষণা পাঠ করেন পলিটব্যুরো সদস্য নুর আহমদ বকুল। আরও বক্তব্য রাখেন, নগর কমিটির সভাপতি আবুল হোসাইন, সভা পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় সদস্য দীপঙ্কর সাহা দীপু।
×