ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মেলায় স্থান পায় বিক্রমপুরের পিঠা-পায়েস

প্রকাশিত: ০৭:১২, ২ জুলাই ২০১৬

মেলায় স্থান পায়  বিক্রমপুরের  পিঠা-পায়েস

গ্রামীণ মেলা বাঙালির জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। নানা উৎসব ঘিরেই বিক্রমপুর তথা মুন্সীগঞ্জে বসে গ্রামীণ মেলা। ঈদকে ঘিরেও এখন মেলা বসছে। ঈদের আগের দিন থেকেই মেলা বসে সদর উপজেলার চরাঞ্চলের মিজি কান্দি, চরআব্দুল্লাহ, ফতু ব্যাপারীকান্দি, বাংলাবাজারের বয়দারচর, আশুলিরচর, নমকান্দি, শিলই আনন্দপুর। এছাড়া সিপাহীপাড়া, রিকাবী বাজার রামগোপালপুর, রামপাল, জোড়পুকুরপাড়সহ নানা স্থানে মেলা বসে ঈদের পরদিন। গজারিয়ার ভবেরচর ঈদগা, মুন্সীগঞ্জ কালেক্টরেট ঈদগাসহ বিভিন্ন ঈদগায়ের পাশেও বসে মেলা। তবে ঈদমেলার এখন বড় আসর বসে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগরে। তিন দিনব্যাপী ঈদমেলায় নামে মানুষের ঢল। গ্রামীন নানা ঐতিহ্য এবং দেশজ সংস্কৃতির অনেক কিছুই স্থান পায় মেলায়। গভীর রাত অবধি মানুষের কোলাহলে মুখরিত থাকে মেলা প্রাঙ্গন। গ্রামের মাঝখানে ঘোর অন্ধকারেও উঁচু বাতির ঝলকানিকে ঘিরে মানুষের ঢল থই থই করে। এই মেলায় ৪০টিরও বেশী স্টল থাকে। থাকে নানা সামগ্রীর পসরা। চটপটিসহ মজাদার গ্রামীন খাবারের দোকানও বসে। মেলায় আধুনিক তরুণ-তরুণীদের আড্ডাও চোখে পড়ার মতো। ঈদের আগে বা পরে ঘুরে বেড়ানোর জন্য ঈদমেলা চমৎকার বিনোদনের স্থান। যাদের বসবাস গ্রামের বাইরে, প্রাণের টানে গ্রামে এসে তারা ঈদমেলায় প্রাণের উচ্ছাস অনুভব করে। বিভিন্ন বয়সী মানুষ ঈদের ছুটিতে সন্ধ্যা নামতেই পরিবার পরিজন নিয়ে মেলায় আসে। মেলার একপাশে বিশাল মঞ্চে লোকসঙ্গীতের আসর বসে। লোকজ সংস্কৃতি উপভোগ, বেচাকেনা সবই হয় সেখানে। নকশী কাঁথা, কুঁড়ে ঘর, বাবুই পাখির বাসা এমনি সব সামগ্রী মেলাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। ঈদ শেষ হলেও আনন্দ থেকে যায় মেলায়। ঈদের পরদিন থেকে মেলা চলে চার দিন পর্যন্ত। তিন দিন ধরে মেলার মঞ্চে থাকে লোকজ সঙ্গীতের আয়োজন। মাওয়া পদ্মার চরেও বসে ঈদ মেলা। বিশাল চর জুড়ে নাগরদোলাসহ নানা আয়োজন মেলাকে করে তোলে আকর্ষণীয়। পদ্মার বুকে মেলায় বেড়ানো ছাড়াও ঘর-গৃহস্থালীর কেনাকাটা ভিন্নমাত্রার আমেজ এনে দেয়। গ্রামবাংলার অনেক হারানো তৈজসপত্র মেলায় স্থান পায়। থাকে বিক্রমপুরের ঐতিহ্যবাহী পিঠা-পায়েস। -মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল মুন্সৗীগঞ্জ থেকে
×