ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারী রিপোর্টে হিলারির কঠোর সমালোচনা

প্রকাশিত: ০৫:০১, ২৭ মে ২০১৬

সরকারী রিপোর্টে হিলারির কঠোর সমালোচনা

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ইন্সপেক্টর জেনারেল হিলারি ক্লিনটনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে সরকারী কাজে সম্পূর্ণভাবেই একটি ব্যক্তিগত ই-মেইল সার্ভার ব্যবহার করার দায়ে তার কড়া সমালোচনা করেছেন। ইন্সপেক্টর জেনারেল বলেছেন, হিলারি এটি ব্যবহার করার অনুমতি চাননি এবং যদি অনুমতি চাইতেনও তাহলে অনুমতি পেতেন না। খবর নিউইয়র্ক টাইমস ও বিবিসির। কংগ্রেস সদস্যদের কাছে পেশ করা ইন্সপেক্টর জেনারেলের রিপোর্টটি হিলারির ওই সার্ভার ব্যবহার করার সমর্থন করে ইতোপূর্বে দেয়া কোন কোন বিবৃতিকে দুর্বল করে দিয়েছে। এটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে রিপাবলিকান পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী ডোনাল্ড জে ট্রাম্পসহ হিলারির ওই দলীয় সমালোচকদের হাতে তাকে আক্রমণ করার নতুন অস্ত্রও তুলে দিল। হিলারির সরকারী কাজ করতে তার ব্যক্তিগত ই-মেইল এ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার বিষয়ে দফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করার বাধ্যবাধকতা ছিল বলে ইন্সপেক্টর জেনারেল দেখতে পান। এরূপ করার অনুমতি দিয়েছিল বলে হিলারি দাবি করলেও তিনি সেই অনুমতির জন্য অনুরোধ করেছিলেন বা তা গ্রহণ করেছিলেন বলে কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী কলিন পাওয়েলসহ অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তা সরকারী কাজে ব্যক্তিগত ই-মেইল এ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছিলেন, কিন্তু হিলারি দেশের শীর্ষ কূটনীতিক হওয়ার সময়ই বিধি বলে স্পষ্ট করে দেয়া হয় যে, ‘নিরাপত্তার প্রতি গুরুতর ঝুঁকি’ থাকায় সরকারী কাজে কোন ব্যক্তিগত সার্ভার ব্যবহারের অনুমতি দেয়া বা তা উৎসাহিত করা হয় না। ইন্সপেক্টর জেনারেলের রিপোর্ট এ সিদ্ধান্তে পৌঁছায় যে, হিলারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে রেকর্ডপত্র সংরক্ষণ করার নিয়মকানুন অনুসরণ করেননি এবং দফতরের ই-মেইলের জন্য কোন ব্যক্তিগত সার্ভার ব্যবহার করার তার জন্য উচিত হয়নি। ওই রিপোর্ট ও এফবিআইয়ের এক তদন্ত এবং তার ই-মেইল সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে দায়ের করা অন্যান্য আইনগত কার্যধারা তার প্রচার অভিযানকে তাড়া করে এসেছে- এমন এক বিতর্ককে সজাগ রাখবে এটি নিশ্চিত। হিলারি বলেন, তিনি যে তার পূর্বসূরীদের থেকে ভিন্ন আচরণ করেননি, তা রিপোর্টে দেখা যায়। তার প্রচার শিবির থেকে এক বিবৃতিতে তার কোন কোন পূর্বসূরীর ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহারের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, তার কোন ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার নজিরবিহীন নয়। বিবৃতিতে বলা হয়, তিনি তার রেকর্ডপত্র যথাযথভাবে সংরক্ষণ ও প্রকাশ করার ক্ষেত্রে অন্যদের তুলনায় অনেক ভাল পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। পররাষ্ট্র দফতরের এই গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারির জন্য দুঃসংবাদই বয়ে আনবে। প্রাথমিকভাবে তেমন আভাস না পাওয়া গেলেও প্রতিকূল রুলিংটি তার প্রেসিডেন্ট হওয়ার স্বপ্ন মুছে দেয়ার মতো এক প্লাবনের রূপ নিতে পারে। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী হিলারির ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার নির্বাচনের ক্ষেত্রে এক আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। হিলারি নিজেকে আইনের উর্ধে বলে মনে করেন- এমন মন্তব্য করছেন সমালোচকরা। বর্তমান অস্থির নির্বাচনী মৌসুমে রিপোর্টের প্রতি দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকেই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।
×