ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সিম ও রিম কার্ডের শুল্ক কমানোর দাবি এ্যামটবের

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ২৭ এপ্রিল ২০১৬

সিম ও রিম কার্ডের শুল্ক কমানোর দাবি এ্যামটবের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর আরোপিত ভ্যাট মওকুফ ও সিম ও রিম কার্ডের শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়েছে এ্যামটব। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার এক প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় এসব দাবি জানিয়েছেন মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন এ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এ্যামটব)। আলোচনায় সভায় বক্তব্যে এ্যামটব মহাসচিব টিআইএম নুরুল কবির বলেন, বর্তমানে ইন্টারনেট ও মডেম ব্যবহারের জন্য শতকরা ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হচ্ছে। সব পর্যায়ে ইন্টারনেট বা মডেম ব্যবহারের ওপর ভ্যাট মুওকুফ করা প্রয়োজন। ইন্টারনেট ও মডেম ব্যবহারের ওপর ভ্যাট তুলে দিলে সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য হবে। এতে অপারেটরদের আয় বৃদ্ধি এবং তথ্য প্রযুক্তির প্রসার ঘটবে। চলতি বছর মার্চ শেষে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিটিআরসি) হিসাবে, বর্তমানে দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা ৬ কোটি ১২ লাখ ৮৮ হাজার। গত বছর মার্চে বাংলাদেশে ৪ কোটি ৪৪ লাখ ৬২ হাজার মানুষ ইন্টারনেট গ্রাহক ছিল। গত এক বছরে সোয়া কোটি ইন্টারনেট গ্রাহক বেড়েছে। বিটিআরসির তথ্য মতে, দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ৯৫ শতাংশ এ সেবা নিচ্ছেন মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। প্রাক-বাজেট সভায় এ্যামটবের পক্ষ থেকে সিম/রিম কার্ড এবং স্ক্যাচ কার্ডের শুল্ক কমানোর প্রস্তাব রেখে বলা হয়, শুল্ক কমে গেলে মোবাইল অপারেটররা প্রত্যন্ত অঞ্চলে দেশব্যাপী ব্যবসা সম্প্রসারণে সক্ষম হবে। ফলে পরিকল্পিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের কাজ আরও বেগবান হবে। বতর্মানে সব মোবাইল অপারেটরদের প্রতিটি সিম বা রিম বিক্রির জন্য ৩৬ দশমিক ৬৫ টাকা ভ্যাট এবং ৬৩ দশমিক ৩৫ টাকা সম্পূরক শুল্ক দিতে হয়, যা সম্মিলিতভাবে সিমট্যাক্স (১০০ টাকা) নামে পরিচিত। সম্পূরক শুল্ক ও ভ্যাট তুলে নেয়ার দাবি জানিয়ে এ্যামটব প্রতিনিধিরা বলেন, দেশের জনসংখ্যার একটি বিশাল অংশ এখনও মোবাইল ব্যবহার করে না। দেশে প্রকৃত মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা মোট জনসংখ্যার মাত্র ৪২ শতাংশ। সভায় এ্যামটবের পক্ষ থেকে মোবাইল কোম্পানির ক্ষেত্রে কর হার কমিয়ে অন্যান্য শিল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার দাবি জানানো হয়েছে। পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত মোবাইল কোম্পানির ক্ষেত্রে কোম্পানি যদি ৩০ শতাংশের বেশি লভ্যাংশ ঘোষণা দেয় সেক্ষেত্রে প্রযোজ্য করের ওপর ১০ শতাংশ হারে কর রেয়াত দেয়ার প্রস্তাব রেখেছে এ্যামটব। টেলিকম খাত থেকে কর্পোরেট ট্যাক্স কমানোরও প্রস্তাব করেছে তারা। নতুন অপারেটর পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত হবে। যেসব উপকরণ আমদানিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির অনাপত্তিপত্র প্রয়োজন হয়, সেসব উপকরণ আমদানির ক্ষেত্রে এসআরও সুবিধার মাধ্যমে শূন্য থেকে ৫ শতাংশ হারে আমদানি শুল্ক নির্ধারণ করার দাবি জানানো হযেছে। বর্তমানে অপারেটরররা টেলিকম সংক্রান্ত উপকরণ বা যন্ত্রপাতির উপর ৫ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক দিয়ে আসছে। আয়কর রিটার্নের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত নতুন আয় বছর অনুসরণ করা থেকে মোবাইল খাতকে অব্যাহতি দেয়ার দাবিও করা হয় সভায়। বর্তমানে মোবাইল অপারেটররা জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আয় বছর হিসাব করে। সভায় বক্তব্যে মোবাইল অপারেটরদের বকেয়া পরিশোধের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান। আপনারা উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। মোবাইল অপারেটরদের কাছে যেসব বকেয়া আছে সেসব আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে পরিশোধ করার ব্যবস্থা খুঁজে বের করতে হবে।
×