অনলাইন ডেস্ক॥ বিদেশের আর পাঁচটা ভারতীয় রেস্তরাঁয় যে খানাখাজানা আপনি পাবেন, তা পাবেন এখানেও, কানাডার এডমন্টনের এই রেস্তরাঁয়। কিন্তু, অন্যখানে যা পাবেন না, তাহল, এমন আতিথেয়তা, ভালোবাসা মাখানো আপ্যায়ন এবং সমবেদনা।
'সমবেদনা'র কথা শুনে, হোঁচট খেতেই পারেন। খাবেন রেস্তরাঁয়, তার সঙ্গে সমবেদনার সম্পর্ক কী? কানাডাবাসী পরকাশ ছিব্বের রেস্তরাঁয় ঢুঁ মারলে, উত্তরটা পেয়ে যাবেন।
ফ্যালো কড়ি মাখো তেলের এই দুনিয়ায় পরকাশ পকেটে এক কানাকড়িও না-থাকা ক্ষুধার্তকে পেটপুরে তাঁর রেস্তোরাঁয় খাওয়ান, পানীয় চাইলে তা-ও দেন। কোনো একজনও পয়সার জন্য না-খেতে পেয়ে ফিরে আসেন না এই ভারতীয়ের রেস্তোরাঁর দরজা থেকে। বিনে পয়সায় খাওয়াচ্ছেন বলে যে অপ্যায়নে খামতি থাকে, তা কিন্তু নয়।
পরকাশ চানই হতদরিদ্র, ক্ষুধার্ত মানুষ তাঁর রেস্তরাঁয় আসুক। দু-মুঠো খেয়ে তৃপ্তি পাক। সেজন্য রেস্তরাঁর পিছনের দরজার গায়ে বড় বড় হরফে নোটিশও ঝোলানো রয়েছে। যাতে কারও নজর না এড়ায়। তাতে লেখা, বন্ধুরা, যদি ক্ষুধার্ত হন, পকেটে পয়সা না-থাকে, দবাইরে থেকে বেল টিপে রেস্তরাঁর ভেতরে চলে আসুন। ফ্রি-মিল খান বা যে কোনও সময় কফিতে চুমুক দিন।
নিরামিশ চাইলে নিরামিশ, আমিষ পছন্দ হলে, আমিষ। এমনকী কারও কোনও খাবারে অ্যালার্জি থাকলে, খাবার পরিবেশনের আগে তা-ও জেনে নেওয়া হয়।
ভারতীয় এই রেস্তোরাঁ মালিক জানালেন, ২০০৯ সাল থেকে তিনি রেস্তোরাঁ চালাচ্ছেন। তবে, সামর্থ্যহীনদের নিখরচে খাওয়াচ্ছেন বিগত দু-বছর ধরে। বললেন, এক এক করে সবার কাছে গিয়ে তো আর জিগ্যেস করতে পারব না, খিদে পেয়েছে কি না? খাবার কিনে খাওয়ারমতো সামর্থ্য রয়েছে কি না। তাই উদ্যোগী হয়ে রেস্তোরাঁর বাইরে একটি নোটিশ ঝুলিয়েছি। এটুকু করতে পেরে খুশি পরকাশ। তবে, কখনোই মনে করেন না বিশাল কিছু করে ফেললেন। তাঁর কথায়, এটা আসলে আমার চলার পথেরই অঙ্গ। আমি জানি, পেটে খিদে নিয়ে বেঁচে থাকার যন্ত্রণা কী। তাই বাড়তি কিছু করছি না।
সূত্র: এই সময়
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: