ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অপহরণে পাকিরা

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

অপহরণে পাকিরা

গাফফার খান চৌধুরী ॥ বিদেশে বাংলাদেশী অপহরণের সঙ্গেও পাকিস্তানীরা জড়িত। এখন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় দুটি এবং ইরানে একটি অপহরণের ঘটনায় ২২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনটি অপহরণের ঘটনায় শনাক্ত হয়েছে ১২টি অপহরণকারী চক্র। প্রতিটি অপহরণকারী চক্রে কমপক্ষে ৩ জন করে পাকিস্তানী থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো। সবমিলিয়ে অপহরণকারী চক্রের সঙ্গে জড়িত ৩৭ জন পাকিস্তানীর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত পাকিস্তানীদের তালিকা করে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের গ্রেফতার অভিযান চালাচ্ছে। সেসব দেশে তাদের প্রবেশ আজীবন নিষিদ্ধ করে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। দুই দেশের কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে এমন ঘটনা নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে। শুধু ইরান বা দক্ষিণ আফ্রিকা নয়, এমন অপহরণকারী চক্র রয়েছে দুবাই, সিঙ্গাপুর, ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা ও মালয়েশিয়ায় দুই বাংলাদেশী অপহরণের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ দুটি ঘটনায়ও বাংলাদেশীদের পাশাপাশি পাকিস্তানের কয়েকজন জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দুবাই, সিঙ্গাপুর, ইরাকে কারা এ চক্রের সদস্য তাদের খুঁজে বের করার জন্য এসব দেশের সঙ্গে যৌথ তদন্ত শুরু হয়েছে। সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের প্রথম দিকে এক ব্যক্তি ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ইরান থেকে বাংলাদেশে ফিরে মামলা করেন। মামলা তদন্ত করতে গিয়ে পিলে চমকানো তথ্য বেরিয়ে আসে। তদন্তের ধারাবাহিকতায় গত বছরের এপ্রিলে ইরানে ২০ বাংলাদেশী ও বিদেশী ৩০ জনসহ মোট ৫০ জন উদ্ধার হয়। এ অপহরণকারী চক্রের হোতা বাংলাদেশের নান্নু মিয়া। পরবর্তীতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে নান্নু মিয়াকে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তার বরাত দিয়ে সিআইডি সূত্র বলছে, নান্নু মিয়ার সঙ্গে আন্তর্জাতিক অন্তত ১০টি মানব পাচারকারী চক্রের যোগাযোগ রয়েছে। তার নেটওয়ার্ক দুবাই, সিঙ্গাপুর, ইরান, ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বিস্তৃত। নান্নু মিয়ার তথ্যমতেই ইরানের একটি বাড়ি থেকে ২০ জন বাংলাদেশী ও অন্যান্য দেশের ৩০ জনসহ মোট ৫০ জনকে ইরান পুলিশ উদ্ধার করে। নান্নু মিয়ার এ মানবপাচার নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠে পাকিস্তান থেকে। প্রায় ৪০ বছর আগে নান্নু মিয়া সিলেটের জঙ্গীবাদ আদর্শে বিশ্বাসী এক পরিবারের সঙ্গে পাকিস্তানে চলে যায়। পাকিস্তানেই নান্নু মিয়ার সঙ্গে মানবপাচারকারীদের বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে ওই পরিবারটি ধর্মীয় জিহাদে অনুপ্রাণিত হয়ে পাকিস্তান থেকে ইরানে চলে যায়। নান্নু মিয়াও তাদের সঙ্গে ইরানে চলে যায়। ইরানে যাওয়ার পর নান্নু মিয়া বেশ কিছুদিন ওই পরিবারের সঙ্গেই ছিল। এরপর নান্নু মিয়া আস্তে আস্তে পাকিস্তানী মানব পাচারকারীদের সঙ্গে পুরনো সখ্যের সূত্র ধরে যোগাযোগ করতে থাকেন। পাকিস্তানে বসবাসকারী পাকিস্তানী মানব পাচারকারীদের সঙ্গে নান্নু মিয়ার ইরানে বসবাসকারী পাকিস্তানী মানব পাচারকারীদের যোগাযোগ গড়ে ওঠে। এরপর নান্নু মিয়া পাকিস্তানী আর ইরানী মানব পাচারকারীদের নিয়ে গড়ে তুলে আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্রের বিশাল সিন্ডিকেট। নান্নু মিয়া তার দুই ভাইকে ইরানে নিয়ে যায়। তারা ইরানের টার্কিতে অবস্থান করছেন। নান্নুর দুই ভাই সেখানে জিহাদী কর্মকা-ে জড়িত। বর্তমানে তারা প্রতিষ্ঠিত। সূত্র বলছে, নান্নু মিয়া আস্তে আস্তে ইরানে বাংলাদেশীদের নেয়া শুরু করে। সে বাংলাদেশ থেকে লোকজন নিয়ে প্রথমদিকে কাজকর্ম দিতে থাকে। এতে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশ থেকে লোক পাঠাত তার এক বোন। তার বোন লোক যোগাড় করে দিত। এভাবেই চলতে থাকে নান্নু মিয়ার ইরানে লোক নেয়া। নান্নু মিয়া দীর্ঘ সময় ইরানে বসবাসের কারণে সে দেশের বৈধ নাগরিকত্ব লাভ করেছিল। লোক পাঠানোর সূত্র ধরেই আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসতে থাকে নান্নু মিয়ার আসল রূপ। নান্নু মিয়া আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের সঙ্গে যোগসাজশে বাংলাদেশীদের নিয়ে ইরানের একটি গোপন ঘরে আটকে রাখা শুরু করে। তাদের পরিবারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা মুক্তিপণ হিসেবে আদায় করতে থাকে। প্রতিটি পরিবারের কাছ থেকে কমপক্ষে ৪ থেকে ৬ লাখ টাকা করে আদায় করত। এসব টাকা লেনদেন হতো বাংলাদেশে। নান্নু মিয়ার বোন ও আত্মীয়স্বজনদের মাধ্যমে। অনেক বাংলাদেশীর ইরানে ভিসার মেয়াদ শেষ হলে নান্নু মিয়ার কাছে যেত পরামর্শের জন্য। তাদের ভাল চাকরি দেয়ার লোভ দেখিয়ে তাদের গোপন আস্তানায় আটকে রাখত। নান্নু মিয়া অন্যান্য মানব পাচারকারী চক্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে অপহৃতদের পবিরার চাহিদা মোতাবেক টাকা না দিলে তাদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালাত। সেই নির্যাতনের শব্দ মোবাইল ফোনে বা ভিডিও কলের মাধ্যমে শোনানো হতো অপহৃতদের পরিবারের সদস্যদের। এভাবেই নান্নু মিয়া অপহরণ বাণিজ্য ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করে। ইরান থেকে ৬ লাখ টাকা দিয়ে মুক্তি পেয়ে বাংলাদেশে ফিরে একজনের দায়েরকৃত মামলার প্রেক্ষিতে নান্নু মিয়ার পরিবারের ১৪ জনকে হেফাজতে নেয় সিআইডি। বিষয়টি ইন্টারপোলের মাধ্যমে ইরান পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ ইরানের ওই আস্তানা থেকে অপহৃত ৩০ জন বিদেশী ও ২০ জন বাঙালীকে উদ্ধার করে। গ্রেফতার করা হয় নান্নু মিয়াকে। পরে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে ইরানী পুলিশ নান্নু মিয়াকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে সিআইডির কাছে হস্তান্তর করে। এরপরই বেরিয়ে আসে নান্নু মিয়ার এমন লোমহর্ষক অপহরণ বাণিজ্যের কাহিনী। সিআইডি সূত্র বলছে, নান্নু মিয়ার বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা রয়েছে বাংলাদেশে। অভিযোগগুলোতে বলা হয়েছে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের পাশাপাশি অনেককেই নান্নু মিয়া ও আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারীরা দুবাই, সিঙ্গাপুর, আবুধাবি, ইরাকসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করে দিয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ১৬০ জনকে এভাবেই ইরানে নিয়ে মুক্তিপণ আদায় কিংবা পাচার করে দেয়া হয়েছে। এ কাজে নান্নু মিয়ার বোনও সহযোগী হিসেবে বিভিন্ন সময় কাজ করেছে। বাংলাদেশে নান্নু মিয়ার শতাধিক লোকের একটি মানব পাচারকারী চক্র রয়েছে। যারা বাংলাদেশ থেকে ইরানে লোক পাঠিয়ে থাকে। গত বছরের ২ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে বসবাসরত মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানাধীন গোয়াগাছিয়া ইউনিয়নের ভাষানচর গ্রামের বাসিন্দা যুবক নাফিস অপহৃত হয়। সেখানে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ব্যবসা করত বোন আর বোন জামাইয়ের সঙ্গে। বিষয়টি দুই দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবহিত করে নাফিসের পরিবার। এরপর ঘটনার ১৪ দিন পর নাফিসের মুক্তিপণ হিসেবে ৭ লাখ টাকা দাবি করা হয়। ওই দিন ১৬ জুন এ ব্যাপারে লালবাগ থানায় নাফিসের পরিবার মামলা দায়ের করেন। মুক্তিপণের টাকা মুন্সীগঞ্জের গোয়াগাছিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ঢাকায় বসবাসরত আলেয়া নামে এক নারীর পুরান ঢাকার একটি ব্যাংক এ্যাকাউন্টে জমা করার কথা বলা হয়। মামলার তদন্তভার পেয়ে সিআইডি আলেয়ার পিছু নেয়। ১৮ জুন মুক্তিপণের সাত লাখ টাকা জমা দেন নাফিসের মা। টাকা জমা দেয়ার পর ওই দিনই টাকা তুলতে যান আলেয়া। তখনই আলেয়াকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে তার স্বামী তাজুল ইসলাম, তার বন্ধু মহসীন ও ওয়াসিফ এবং পাকিস্তানী ও দক্ষিণ আফ্রিকার অপহরণকারী চক্রের সদস্যরাও নাফিস অপহরণের সঙ্গে জড়িত। পরে আলেয়ার পরিবারের প্রায় সবাইকে হেফাজতে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা পুলিশের সহায়তায় মুক্ত হয় নাফিস। নাফিসকে উদ্ধারের পর ঢাকার সিআইডির একজন উর্ধতন কর্মকর্তাকে দক্ষিণ আফ্রিকায় ও পাকিস্তানে অবস্থানরত পাকিস্তানী অপহরণকারীরা প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকার সালোসবার্গ থেকে অপহরণ করা হয়েছিলেন শহীদুল্লাহকে (৩০)। শহীদুল্লাহর পরিবারের তরফ থেকে অপহরণের ঘটনায় সোনাইমুড়ি থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটির তদন্তভার পরে সিআইডির কাছে। শহীদুল্লাহর বাড়ি নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানা এলাকায়। তিনি সেখানে ৬ বছর ধরে বসবাস করছেন। তার একটি নিজস্ব কারওয়াস সেন্টার রয়েছে। অপহরণের একদিন পর শহীদুল্লাহর পরিবারের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফোন করে মুক্তিপণ হিসেবে ২৫ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছিল। অপহরণের টাকা ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে হস্তান্তরকালে আকতার হোসেন নামে একজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে সিআইডি। পরে আকতার হোসেনের পরিবারের প্রায় সবাইকে হেফাজতে নেয় সিআইডি। সেই সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়াটার পুলিশ বিভাগে যোগাযোগ করা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ আর আকতারের পরিবারের চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত মুক্তি মেলে শহীদুল্লাহর। সিআইডি সূত্র জানায়, আকতার বাংলাদেশী এজেন্ট। তার সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাসরত অপহরণকারী চক্রের বাংলাদেশী সদস্য ছাড়াও পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার একাধিক চক্র জড়িত। চক্রটি দীর্ঘদিন ধরেই এভাবেই অপহরণ বাণিজ্য করে আসছে। এ ব্যাপারে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম (সংঘবদ্ধ অপরাধ) বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মীর্জা আবদুল্লাহেল বাকী জনকণ্ঠকে জানান, এখন পর্যন্ত অপহরণের পর বাংলাদেশী উদ্ধারের যতগুলো ঘটনা ঘটেছে, প্রতিটি অপহরণকারী চক্রেই বাংলাদেশীদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া প্রতিটি অপহরণের সঙ্গে এক বা একাধিক পাকিস্তানীর যোগসূত্র থাকার বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে। কোন কোন গ্রুপে ৪-৫ জনেরও বেশি পাকিস্তানী ও সংশ্লিষ্ট দেশের অপহরণকারীদের থাকার বিষয়ে তারা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন। প্রতিটি অপহরণকারী চক্রেই বাংলাদেশী রয়েছে এক থেকে দুইজন করে। যেসব দেশে অপহরণের ঘটনা ঘটছে, সেসব দেশের অপহরণকারীদের একাধিক সদস্য জড়িত। এসব তথ্য ইরান ও দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ এবং দেশ দুটিতে থাকা বাংলাদেশ দূতাবাসকেও অবহিত করা হয়েছে। অপহরণকারী হিসেবে যাদের নাম এসেছে, তাদের অপরাধ সংঘটনের ফলে দেশটিতে প্রবেশ চিরদিনের জন্য নিষিদ্ধ করে কালো তালিকাভুক্ত করেছে দেশ দুটি। জড়িতদের নামীয় তালিকা অনুযায়ী গ্রেফতার করতে দেশগুলোর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যার যার দেশে ধারাবাহিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তিনি আরও জানান, সম্প্রতি সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় দুই বাংলাদেশী অপহরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলা দুটির তদন্তভার দেয়া হয়েছে সিআইডিকে। অতীতের মামলা পর্যালোচনা করে এ দুটি অপহরণের সঙ্গেও বাংলাদেশী, পাকিস্তানী ও সংশ্লিষ্ট দেশের অপহরণকারীদের জড়িত থাকা বিচিত্র নয়। প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষদিকে বাংলাদেশে জঙ্গী তৎপরতায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) ফারিনা আরশাদকে প্রত্যাহার করে নেয় দেশটি। পাকিস্তানের ওই নারী কূটনীতিকের বিরুদ্ধে আদালতে দেয়া এক আসামির জবানবন্দীতে জঙ্গী সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি প্রকাশ পায়। যদিও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। এর আগে জঙ্গী অর্থায়নে জড়িত সন্দেহে গত বছরের জানুয়ারিতে পাকিস্তান দূতাবাসের আরেক কূটনৈতিক মাযহার খানকে বাংলাদেশ থেকে বহিষ্কার করা হয়। সর্বশেষ চলতি বছরের পহেলা ফেব্রুয়ারি সন্দেহজনক ঘোরাফেরার সময় ডিবির হাতে আটক হয় দূতাবাসটির ইনফরমেশন সেক্রেটারির একান্ত সহকারী (পিএস) আব্রাহাম। পরবর্তীতে যাচাইবাছাই শেষে মুচলেকায় তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
×