ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

অস্থিরতা ও ‘লটারি মধ্যবিত্ত’ -স্বদেশ রায়

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ১৪ জানুয়ারি ২০১৬

অস্থিরতা ও ‘লটারি মধ্যবিত্ত’  -স্বদেশ রায়

বাংলাদেশে উন্নয়নমুখী আধুনিক রাজনৈতিক সরকারের ধারাবাহিকতা এ মুহূর্তে একান্ত দরকার। কারণ- জাপান, চীন ও ভারতকে ঘিরে এশিয়ায় যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন শুরু হয়েছে এর উচ্চতা আগামী দুই দশক বাড়তেই থাকবে। এর পরে পৃথিবীর টেকনোলজিক্যাল ও জিও-পলিটিক্যাল ধারা বলে দেবে গতি কোন্ দিকে যাবে। ওবামার ভারত সফরকালীন কিছু বক্তব্যও অনেকটা ইঙ্গিত দেয় বর্তমানের এ বাস্তবতা ধরেই পশ্চিমা পৃথিবী এগুচ্ছে। ওবামার ভারত-মিয়ানমার সফরের পরে অবশ্য পৃথিবীতে বড় বড় বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে; যেমন- মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে রাশিয়ার যোগদান, চীনের শেয়ার বাজারের পতন ও জ্বালানি তেলের দামের আরও পতন। তবে এগুলো কিন্তু শেষ অবধি এশিয়ার অর্থনীতিতে বড় কোন প্রভাব ফেলবে না। চীনের শেয়ার বাজারের পতন আল্টিমেটলি চীনের অর্থনীতিকে খুব বেশি ধাক্কা দেবে না। এটাকে অতি সাধারণ হাতে সামলে নেয়ার মতো সেভিংস ও অবকাঠামো চীনের আছে। ভারতের অর্থনীতি একটু খোঁড়াচ্ছে কিন্তু তাও দ্রুত কেটে যাবে। তাদের নতুন সরকার এখন বাস্তবতায় নেমে গত সরকারের অনেক ধারাকে অনুসরণ করতে যাচ্ছে। অন্যদিকে জাপান যেভাবে তার প্যাসিফিকের প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করছে তাতে আগামীতে এশিয়ার অর্থনীতির রাজনৈতিক ভূমিতে এমন কোন মাইন দেখা যাচ্ছে না, যা বিস্ফোরিত হয়ে সবকিছু ওলটপালট করে দেবে। এশিয়ার এই অর্থনৈতিক বাস্তবতায় চীন ও জাপানের অধিকাংশ প্রতিবেশী অনেক এগিয়ে গেছে। সে হিসেবে চীন ও ভারতের কাছের প্রতিবেশী হিসেবে অর্থনৈতিকভাবে প্রস্ফুটিত হওয়ার সব থেকে উর্বর ভূমি এখন মিয়ানমার ও বাংলাদেশ। এই দুটি দেশের ভেতর মিয়ানমারের প্রাকৃতিক সম্পদ বেশি। অন্যদিকে বাংলাদেশের মানব সম্পদ, অবকাঠামো এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্ব- এই তিনটি মিলে বাংলাদেশ এখানে সামনের সিটের যাত্রী থাকবে। নেতা হিসেবে সুচির থেকে শেখ হাসিনা শুধু অভিজ্ঞ নন অনেক বিচক্ষণ তা কিন্তু ছোট্ট একটি উদাহরণ থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায়। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতায় আসেন তখন তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অনভিজ্ঞ। কিন্তু শুরুতেই যে দক্ষতার সঙ্গে তিনি দেশের এথনিক সমস্যা অর্থাৎ পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি সমস্যা সমাধান করেছিলেন তা ছিল বিশ্বে একটি বিরল দৃষ্টান্ত। অন্যদিকে মিয়ানমারেও বিষফোঁড়া একটি এথনিক সমস্যা- রোহিঙ্গা। সুচি এখন অবধি এ নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতেই পারেননি। ১৯৯৬ থেকে ২০১৫। শেখ হাসিনা এখন বিশ্বের অন্যতম নেতা শুধু নন, ইতিহাসে একজন অনুকরণীয় রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন। তৃতীয় বিশ্বের মুসলিম অধ্যুষিত একটি দেশকে নিয়ে বর্তমানের পৃথিবীর বাস্তবতায় যে নাবিকের ভূমিকা তিনি পালন করছেন, তা উপলব্ধি করলেও লেখার মতো পরিবেশ এখন নয়। শেখ হাসিনার কাজকে বিশ্লেষণ করে প্রকাশ করার জন্য ভবিষ্যতের অনুকূল পরিবেশের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। যা হোক, বাংলাদেশের মানবসম্পদ, অবকাঠামো ছাড়াও শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বাংলাদেশকে আগামী এশিয়ার অর্থনীতির যাত্রায় প্রথম সারিতে নিয়ে এসেছে। এর পরের বাস্তবতা হলো ভারত ও চীনের প্রতিবেশী হিসেবে এখন শুধু বাংলাদেশ নয়, নেপাল ও ভুটানকে সঙ্গে নিয়ে শেখ হাসিনা ভারত-চীনের মাঝখানে এমন এক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হবেন যেখানে সুচিকে এগিয়ে এসে শেখ হাসিনার হাত ধরতে হবে। অন্যদিকে জাপান এখন যেমন বাংলাদেশের বড় উন্নয়ন সহযোগী ভবিষ্যতে আরও বড় হবে। যার অন্যতম কারণ আমাদের মানবসম্পদ। এ সম্পদকে আরও দক্ষ করলে জাপানের বিনিয়োগের সব থেকে উর্বর ভূমি হবে বাংলাদেশ। পাশাপাশি পশ্চিমারা যে বিনিয়োগ নিয়ে মিয়ানমারে আসবে তাদেরও আরেকটি যোজনী বাড়াতে হবে বাংলাদেশের প্রতি। এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন, দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে একটা লম্বা সময় ধরে সেই অনুকূল পরিবেশ দেবে কি-না? কারণ, এ দেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুকে সে সময় দেয়নি। বঙ্গবন্ধুকে সেনা অফিসাররা হত্যা করেছিল ঠিকই কিন্তু ’৭২ থেকে ’৭৫ অবধি দেশের মিডিয়া, মিডল ক্লাস এবং তথাকথিত কিছু রাজনৈতিক দল বঙ্গবন্ধুবিহীন বাংলাদেশ তৈরির পথ করে এমনকি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাওয়ার পরিবেশ নষ্ট করে। স্থিরতার বদলে রাষ্ট্র ও সমাজজুড়ে তারা অস্থিরতা তৈরি করে। ওই অস্থিরতাই কিন্তু বঙ্গবন্ধুবিহীন বাংলাদেশ তৈরির পথ সৃষ্টি করে। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ও তাদের কাঠামো এখন ভিন্ন। সাড়ে চার দশকে তাদের ভেতর অনেক বাস্তব প্রফেশনালিজম এসেছে। তাই এখন বাংলাদেশের একমাত্র সমস্যা সামাজিক শক্তির এক অংশ ও মধ্যবিত্তের একাংশ। এরা মিলেই বাংলাদেশের একশ্রেণীর মানুষকে ও বাংলাদেশকে অস্থির করার জন্য সব ধরনের কাজ করছে। এখানে পাকিস্তানের সৃষ্ট যে রাজনৈতিক দলগুলো আছে যেমন- বিএনপি, জামায়াতসহ বেশকিছু ইসলামিক দল এমনকি এরশাদও। এদেরকে সহযোগিতা করবে বা দেশকে অস্থির করার কাজে এদের সুবিধা করে দেবে ওই মধ্যবিত্ত শ্রেণী ও সামাজিক মুখপাত্ররা। সত্যি অর্থে, বর্তমান বাংলাদেশের এরাই মূল সমস্যা। তাই স্বাভাবিক আগামীতে বাংলাদেশকে স্থিতিশীল একটি দেশে পরিণত করতে হলে এই মধ্যবিত্ত অংশটিকে নিয়ে ভাবতে হবে। এদের ভেতর থেকেই আসছে ওই সামাজিক মুখপাত্ররা এমনকি বিএনপি, জামায়াতের এমনকি আওয়ামী লীগের অনেক নেতৃত্বও। তাই দেশের ভবিষ্যতের স্বার্থে সবার আগে খুঁজে বের করা দরকার এই মধ্যবিত্তের চরিত্র। কারা এই মধ্যবিত্ত? এই মধ্যবিত্তকে ‘লটারি মধ্যবিত্ত’ বলা যেতে পারে। কারণ, খোঁজ নিলে বা গবেষণা করলে দেখা যাবে এই শ্রেণীর প্রায় সকলে মধ্যবিত্তের সারিতে এসেছে এক ধরনের কোন না কোন লটারির মাধ্যমে। যেমন ধরা যাক, একটি লোক তেজগাঁওয়ের একটি কলের শ্রমিক ছিল। লেখাপড়া, কালচার, চেতনা সবই তার ওই কলের শ্রমিকের লেভেলে। কিন্তু পেশীশক্তির কারণে শ্রমিকদের ভেতর তার একটি আধিপত্য ছিল। বাংলাদেশের কোন না কোন সামরিক শাসক তাকে রাজনৈতিক পদবি দিয়ে শ্রমিক নেতা বানিয়ে দিল প্রথমে, দ্রুতই তাকে বানাল রাজনৈতিক নেতা, তারপরে মন্ত্রী। আর এর সঙ্গে সঙ্গে সে হয়ে গেল কোটি কোটি টাকার মালিক। এখন এই পদমর্যাদা ও টাকার কারণে সে চলে এলো মধ্যবিত্তের কাতারে। একজন রিক্সাওয়ালাও যদি একটি লটারিতে এক কোটি টাকা পায় সেও কিন্তু পরের দিন চলে আসবে আর্থিকভাবে মধ্যবিত্তের কাতারে। ওই মন্ত্রী বা শ্রমিক নেতা ও রিক্সাওয়ালার কালচারের ভেতর কিন্তু কোন পার্থক্য নেই। এরা দুজনেই লটারি মধ্যবিত্ত। কিন্তু প্রকৃত একজন মধ্যবিত্ত শ্রমিক নেতার উদাহরণ ভিন্ন। প্রকৃত মধ্যবিত্ত শ্রমিক নেতা ছিলেন হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী, জ্যোতি বসু। সোহ্রাওয়ার্দী, জ্যোতি বসু এই মধ্যবিত্তরা কিন্তু এসেছেন দীর্ঘ কালচার ও শিক্ষার ভেতর দিয়ে। তাই তাদের পক্ষে সমাজের স্থিরতার প্রয়োজনীয়তা- কখনও কখনও সমাজকে কতটুকু ভাঙ্গা দরকার এটা বোঝা সহজেই সম্ভব; যা ওই তেজগাঁওয়ের শ্রমিক মন্ত্রী ও রিক্সাওয়ালা বা কোনরূপ লটারি মধ্যবিত্তের পক্ষে কখনই সম্ভব নয়। শুধু শ্রমিকের ক্ষেত্রে নয়, এক ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রীধারী মধ্যবিত্তরাও কিন্তু ওই লটারি মধ্যবিত্তের ভেতর পড়ে। দেখা যায় তারা হঠাৎই স্কুল-কলেজের অর্থাৎ সিলেবাসের পড়ায় ভাল করে একটি ডিগ্রী নিয়ে একটি পদে বসে গেছেন। কিন্তু ওই পদ ও শিক্ষাকে আত্মস্থ করার জন্য সিভিলাইজেশনের যে উপাদানগুলো নিজের ভেতর সংযুক্ত করতে হয় তা তাদের কাছে অপরিচিত। বরং শিক্ষা ও পদের সুযোগ নিয়ে সেও দেখতে পায় লটারির মতো তার সামনেও সহজে অর্থ উপার্জনের নানা পথ আছে। নিজের ভেতর সভ্যতার উপাদান না থাকায় সে সহজে ওই পথগুলো গ্রহণ করে। তার ভেতর এমন কোন সভ্যতা থাকে না যে ওই পথ গ্রহণে নিজের ভেতর থেকে কোন শক্তি তাকে বাধা দেবে। তাই সেও দ্রুত অর্থ উপার্জন করে। যার ফলে অর্থ ও একাডেমিক সার্টিফিকেট দুই নিয়েই সে মধ্যবিত্তের সারিতে চলে আসে। এরা কিন্তু আরও জটিল লটারি মধ্যবিত্ত। কারণ, একাডেমিক সার্টিফিকেট আছে কিন্তু তার ভেতর সভ্যতার উপাদান নেই। তাই তাকে চিহ্নিত করাও কষ্ট হয়ে পড়ে, এরা কোন্্ ক্যাটাগরির মধ্যবিত্ত। এমনিভাবে নানান অবস্থান দখল করে রেখেছে এই লটারি মধ্যবিত্তরা। সভ্যতার উপাদানবিহীন লটারি মধ্যবিত্তরাই এ সমাজের, রাষ্ট্রের ও গণতন্ত্রের সব থেকে বেশি ক্ষতিকারক উপাদান। যদিও বলা হয় আধুনিক সমাজ ও রাষ্ট্র দাঁড়িয়ে থাকে জনগণের ওপর কিন্তু বাস্তবতা হলো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাষ্ট্র ও সমাজ দাঁড়িয়ে থাকে মধ্যবিত্তের ওপর। যে দেশের মধ্যবিত্ত যত বেশি সভ্যতার উপাদানে পুষ্ট সে দেশের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থার ভিত তত বেশি শক্তিশালী ও স্থিতিশীল। বাংলাদেশের গণতন্ত্র যে স্থিতিশীল হতে পারছে না, সমাজকে যে নানানপথে অস্থির করার সুযোগ পাচ্ছে একটি শ্রেণী। এর মূল কারণ কিন্তু এই সভ্যতার উপাদানবিহীন মধ্যবিত্ত বা লটারি মধ্যবিত্ত। এখনও সভ্যতার উপাদানসমৃদ্ধ শক্তিশালী মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ওপর বাংলাদেশের রাষ্ট্র ও সমাজ কাঠামো দাঁড়াতে পারেনি। যে কারণে শুধুমাত্র শেখ হাসিনার অসীম শক্তিশালী হাত দিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের উন্নয়নকে ধরে রাখতে হচ্ছে। স্থিতিশীল রাখতে হচ্ছে এ সমাজকে। তবে একটি স্থায়ী স্থিতিশীলতা আনার জন্য প্রয়োজন এই লটারি মধ্যবিত্তের থেকে সমাজকে উত্তরণ ঘটিয়ে সভ্যতার উপাদানসমৃদ্ধ মধ্যবিত্ত শ্রেণী গড়ে তোলা। এ জন্য শুধু দেশের সভ্যতার ভেতর উপাদান খুঁজলে হবে না; সারা পৃথিবীর সভ্যতা বা ভৌগোলিক চরিত্রের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ সভ্যতাকে সমাজে প্রোথিত করতে হবে। আজকের শক্তিশালী সভ্য মধ্যবিত্তের জাতি ব্রিটিশেরও কিন্তু নিজস্ব সভ্যতার খুব বেশি উপাদান ছিল না। ভাষা তাকে সমৃদ্ধ করতে হয়েছে ল্যাটিন থেকে এমনকি আধুনিকতায় প্রবেশ করেছে যে শেক্সপিয়রের হাত ধরে ওই শেক্সপিয়রকে কিন্তু হাত পাততে হয়েছে গ্রীক পুরাণের কাছে। এটাই সভ্যতার রীতি। বাংলাদেশের সমাজ, সকল রাজনৈতিক দল সবখানে এখন লটারি মধ্যবিত্তের উপস্থিতি। শেখ হাসিনার দলের ভেতর বসেও এরা শেখ হাসিনার হাতকে দুর্বল করছে। এদের কাজও মূলত হাসিনা বিরোধী শক্তির এ্যাকাউন্টে জমা হচ্ছে। সমাজ ও সভ্যতার এ স্তরে এটাই স্বাভাবিক- তবে বাংলাদেশের জন্য সৌভাগ্যের দিক হলো, বাঙালীর নিজস্ব সভ্যতার উপাদান অনেক বেশি। পাশাপাশি নতুন প্রজন্ম বিশ্বের সঙ্গে সংযুক্ত হতে ব্যস্ত। তাই সুচিন্তিত পথে এগুলে বাংলাদেশকে সভ্যতার উপাদানসমৃদ্ধ মধ্যবিত্তের রেললাইনে উঠিয়ে দেয়া কঠিন কোন কাজ নয়। বাংলাদেশে ইতোমধ্যে সভ্যতার উপাদানসমৃদ্ধ শ্রেণী তৈরি হয়েছে ও হচ্ছে। একে আরও এগিয়ে নেয়ার জন্য রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্রে রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রিক সহায়তা প্রয়োজন। নেতা হিসেবে শেখ হাসিনাকে চার্চিল বা জওয়াহেরলাল নেহরুর স্থিরতা নিয়ে এ বিষয়টিও দেখতে হবে। ঐতিহাসিক কারণে একটি শ্রেণী ও লটারি মধ্যবিত্ত; এই দুই কিন্তু শেখ হাসিনার নিজ দল বা রাজনৈতিক শক্তিতে অন্তত তিনটি কর্মক্ষম প্রজন্মকে আটকে রেখেছে। এই তিনটি প্রজন্মের যোগ্য প্রতিনিধিরা কোন ধরনের ডান বা বাম মৌলবাদীও নয়, তারা মুক্ত আলোর প্রাণ। এ আলোকে বিচ্ছুরিত হওয়ার সুযোগ সমাজে, রাষ্ট্রে ও রাজনীতিতে দিতে হবে। এরা যত বেশি স্থান পাবে ততই একটি স্থিতিশীল মধ্যবিত্ত গড়ে উঠবে। এদের মুক্ত প্রাণ থাকায় সেখানে পৃথিবীর সকল সভ্যতার উপাদান যোগ হবে, যা তাদের মধ্যবিত্ত চরিত্রকে করবে আরও দৃঢ়। যার ভেতর দিয়ে সমাজে স্থিরতা আসবে আর বাংলাদেশে শেখ হাসিনার মতো যোগ্য নেতৃত্বরা পাবে দেশ ও সমাজ গড়ার দীর্ঘ সময়। গঠিত হবে দেশ ও সমাজের প্রতি নিবেদিত জাতীয় চরিত্রও। [email protected]
×