ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাজধানীতে ৩৭৬ কিমি পানির লাইনের কাজ শুরু হচ্ছে আগামী মাসে

প্রকাশিত: ০৭:৪৫, ২১ ডিসেম্বর ২০১৫

রাজধানীতে ৩৭৬ কিমি পানির লাইনের কাজ শুরু হচ্ছে আগামী মাসে

ফিরোজ মান্না ॥ ঢাকা ওয়াসা ফকিরেরপুল, মালিবাগ, মগবাজার, মৌচাক, রামপুরা ও সংলগ্ন এলাকা প্রায় ৩৭৬ কিলোমিটার পানির লাইন পুনর্বাসন এবং সম্প্রসারণের কাজ আগামী মাসেই শুরু করছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) আর্থিক সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে সাড়ে তিন বছর সময় লাগবে। ১৬টি ডিএমএর (ডিস্ট্রিক্ট মিটারিং এরিয়া) আওতায় প্রকল্পে নতুন লাইন স্থাপনের মাধ্যমে পানির গুণগত মানও নিশ্চিত করা হবে। একই সঙ্গে ঢাকা ওয়াসার সিস্টেম লসও অনেকাংশে কমে যাবে। সিস্টেম লসের কারণে ওয়াসার উৎপাদন ব্যয় কয়েক কোটি বেড়ে যায়। প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেয়া হয়েছে কোরিয়ার কুনহুয়া ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড কনসালটিং কোম্পানি লিমিটেড। সম্প্রতি ঢাকা ওয়াসার সঙ্গে ওই প্রতিষ্ঠানের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান ও কুনহুয়া কোম্পানি লিমিটেডের বাংলাদেশ শাখার প্রতিনিধি মি. উই জে কিম চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। বাংলাদেশে কোরীয় দূতাবাসের চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স মি. কিম হুয়ান জু অনুুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা ওয়াসার ‘পরিবেশবান্ধব টেকসই পানি সরবরাহ প্রকল্পের’ (ডিইএসডব্লিউএসপি) আওতায় ইতোমধ্যে ৬টি পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে। ৭ম পর্যায়ে মড্স জোন-৬ এর আওতায় এই ৩৭৬ কিলোমিটার পানির লাইনের কাজ শুরু হচ্ছে। ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেন, ঢাকা ওয়াসা তার কার্যক্রম এবং পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। ঢাকা ওয়াসা ক্রমেই একটি টেকসই, পরিবেশবান্ধব ও গণমুখী পানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বর্তমান সরকারের আমলে ঢাকা ওয়াসার সক্ষমতা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে রাজধানীতে পানির কোন সঙ্কট নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন। ঢাকা ওয়াসার বিভিন্ন প্রকল্পে অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সঙ্গে কোরিয়ার অবদান অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ওয়াসার কার্যক্রমে কোরিয়ার অব্যাহত সহায়তা করে যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। প্রকল্পে কোরীয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে সর্বোচ্চ সেবা পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ঢাকা ওয়াসা বর্তমানে রাজধানীর দৈনিক ২৩০ কোটি লিটার পানির চাহিদার বিপরীতে দৈনিক ২৪২ কোটি লিটার পানি উৎপাদন ও সরবরাহের সক্ষমতা অর্জন করেছে। এখন আর শুষ্ক মৌসুমেও পানির অভাব হয় না। পানি উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়ার কারণে আমরা ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে রাজধানীর সব বস্তিকে বৈধ পানি সেবার আওতায় আনার গৃহীত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছি। বস্তিবাসীকে পানি সরবরাহ দেয়ার জন্য ঢাকা ওয়াসা গত বছর দুস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে), নগর সেবা, এনডিবাস এবং বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল এডভান্সমেন্টের (বিএএসএ) মধ্যে একটি চুক্তি করা হয়েছিল। এই চুক্তির আওতায় ঢাকা ওয়াসা ইউনিসেফের আর্থিক সহযোগিতায় বস্তিবাসীর মধ্যে পানি সরবরাহ দেয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বস্তিবাসীকে স্যানিটেশনের আওতায়ও আনার কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।
×