ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

যুবাদের লড়াইয়ে জিম্বাবুইয়ে হোয়াইটওয়াশ

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ১৭ নভেম্বর ২০১৫

যুবাদের লড়াইয়ে জিম্বাবুইয়ে হোয়াইটওয়াশ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সিরিজের শেষ ম্যাচে আরও বাজেভাবে হেরেছে সফরকারী জিম্বাবুইয়ে অনুর্ধ-১৯ ক্রিকেট দল। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সোমবার চতুর্থ ও শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৯ জিতেছে ১২৫ রানের বড় ব্যবধানে। প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশের যুবারা নাজমুল হোসেন শান্তর ৯৬ রানের পরও ৪৯.৪ ওভারে ২৪৩ রানে অলআউট হয়ে যায়। জবাবে অফস্পিনার সঞ্জিত সাহার বিধ্বংসী বোলিংয়ের মুখে ৩৮ ওভারেই ১১৮ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুইয়ে। চার ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এর ফলে ৪-০ ব্যবধানে জিম্বাবুইয়ে যুব দলকে হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ যুব দল। জাতীয় দলের লড়াইয়েও ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুইয়েকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে স্বাগতিক বাংলাদেশ। একই নৈপুণ্য দেখাল যুবারা। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারেই বিদায় নেন ওপেনার জয়রাজ শেখ (০)। তবে এরপর শান্তর সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে সাইফ হাসান ৯৩ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপদ সামাল দেন। ওপেনার সাইফ ৬৭ বলে ৫ চারে ৪০ রান করে বিদায় নেন। এরপরের গল্পটা শুধুই নাজমুল হোসেন শান্তর। তিনি একাই জিম্বাবুইয়ে বোলারদের শাসন করেছেন। তাকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি আর কোন ব্যাটসম্যানই। একপ্রান্ত আগলে থেকে তিনি দেখেছেন অন্য প্রান্তে ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিল। দারুণ বোলিং করছিলেন জিম্বাবুইয়ের ডানহাতি পেসার কুনডাই মাতিজিমু। তিনি ৪৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ যুবাদের ইনিংস বেশি বড় হতে দেননি। কিন্তু শান্ত একাই সাবলীল থেকে সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ৪ রান দূরে থাকতে আউট হয়ে যান তিনি। ১১৩ বলে ৮ চারে ৯৬ রান করেন শান্ত। এরপর বাকি ৪২ রানের মধ্যেই শেষ ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ যুবারা। দুই বল বাকি থাকতে গুটিয়ে যায় ২৪৩ রানে। জবাব দিতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট খোয়াতে থাকে জিম্বাবুইয়ে। প্রথম থেকেই সফরকারী ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরেন অফস্পিনার সাঈদ সরকার। তিনি প্রথমেই জোড়া আঘাত হেনে বিপদে ফেলেন জিম্বাবুইয়ে যুবাদের। তবে বিপদের মুখেও ভাল লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন শন স্নাইডার ও রায়ান মারে। এ দুজনও বাংলাদেশের স্পিন বিষে আক্রান্ত হন। স্নাইডার ৩১ ও মারে ২৯ রান করে সাজঘরে ফেরার পর আর কেউ টিকতে পারেননি। বাকি কাজটা সঞ্জিতের ঘূর্ণিতেই শেষ। টানা ৬ উইকেট শিকার করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১২ ওভার বাকি থাকতেই জিম্বাবুইয়ের ইনিংস গুটিয়ে যায় ১১৮ রানে। সঞ্জিত ১০ ওভারে দুটি মেডেনসহ মাত্র ১৯ রান দিয়ে ৬ উইকেট দখল করেন। পুরো সিরিজেই ব্যাট হাতে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়েছেন ওপেনার সাইফ। তিনি সিরিজের সেরা খেলোয়াড় হন।
×