স্টাফ রিপোর্টার ॥ ৭ নবেম্বর হত্যার শিকার সেনা সদস্যদের স্মরণে রাজধানীতে মোমবাতি প্রজ্বলন ও নীরবতা কর্মসূচী পালিত হয়েছে। শনিবার ক্যান্টনমেন্ট সেনানিবাস প্রবেশমুখ জাহাঙ্গীর গেটের সামনে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে এ কর্মসূচী পালিত হয়।
বক্তারা বলেন, ৭ নবেম্বর সেনা সদস্য হত্যাকারী দোসররা এখনও সক্রিয় তাদের বিচার না হওয়ায় দেশে হত্যার রাজনীতি চলছে। সেদিন জিয়াউর রহমানকে বন্দীদশা থেকে মুক্তির নামে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা সেনা অফিসারকে হত্যা করা হয়েছিল। বক্তারা হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি জানান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কবির, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নয়ন, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ নুরুজ্জামান ভুট্টো, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট এনামুল হক কাজল প্রমুখ। এছাড়াও ঢাকা মহানগরের সর্বস্তরের মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা কর্মসূচীতে অংশ নেন।
ষড়যন্ত্রকারীরা টিকে থাকতে পারবে না ॥ সাহারা
স্টাফ রিপোর্টার ॥ আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বলেছেন, কোন ষড়যন্ত্রকারীই টিকে থাকতে পারবে না। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশকে যারা জঙ্গীবাদী রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। শনিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে ৭ নবেম্বর ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক ও বিটিভি’র ৪ কর্মকর্তা হত্যা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, কোন রাজনৈতিক দল বা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে ঘায়েল করার অভিপ্রায় বর্তমান সরকারের নেই। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধেই বর্তমান সরকারের অভিযান। তবে কোন রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরে যদি সন্ত্রাসী তৎপরতা হয়, কোন রাজনৈতিক দলের নামে যদি জঙ্গী তৎপরতা হয়, অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, কেন আজকে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে? দু’জন শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায় আইনী লড়াইয়ের চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। এ মাসের মধ্যে তাদের চূড়ান্ত আইনী লড়াই শেষ হবে। জিয়া অরফানেজ মামলা এগিয়ে যাচ্ছে।
বিশিষ্ট চলচ্চিত্র অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আকতারুজ্জামান, আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।