ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শেখ রাসেলকে শিরোপা উৎসর্গ

প্রকাশিত: ০৭:৫৩, ৩১ অক্টোবর ২০১৫

শেখ রাসেলকে শিরোপা উৎসর্গ

স্পোর্টস রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে ॥ শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপে চ্যাম্পিয়ন হতেই খুশির খবর শুনলেন চট্টগ্রাম আবাহনীর ফুটবলার, কোচ ও কর্মকর্তারা। প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনিতে শিরোপা জেতার উল্লাস, এর সঙ্গে পুরস্কার পেয়ে আরও খুশি চট্টগ্রাম আবাহনীর ফুটবলাররা। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ শফিকুল ইসলাম মানিকও বলে দিলেন, ‘প্রমাণ করেছি আমরাই সেরা। এ শিরোপা বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে শেখ রাসেলকে উৎসর্গ করলাম।’ প্রথমার্ধে খুব একটা ভাল খেলিনি। তারপরও আমরা কামব্যাক করেছি গোল শোধ করে। ওটাই ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। তারপর দ্বিতীয়ার্ধে আমরাই প্রাধান্য বিস্তার করে খেলেছি। আমরাই এ আসরের সেরা দল সেটা প্রমাণ করেছি। সব কৃতিত্ব খেলোয়াড়দের। দর্শক-সমর্থনও জয়ের জন্য যুগিয়েছে রসদ। তাদের প্রশংসা করতেই হবে। এই ট্রফি উৎসর্গ করছি বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে শেখ রাসেলকে। কোচ হিসেবেও এটা আমার জন্য স্মরণীয় এক অর্জন। কথাগুলো চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ শফিকুল ইসলাম মানিকের। শুক্রবার ‘শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে’ কলকাতার স্বনামধন্য ক্লাব ইস্ট বেঙ্গলকে ৩-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনী। এই শিরোপা আগামী মৌসুমে চট্টগ্রাম আবাহনীকে ভাল ও শক্তিশালী দল হিসেবে গড়তে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদী। আবাহনীর ফরোয়ার্ড এলিটা কিংসলে বলেন, কোচের নির্দেশ মেনে খেলার চেষ্টা করেছি। তার নির্দেশ পালন করতে পেরেছি, তার হাতে শিরোপা তুলে দিতে পেরেছি বলে খুব ভাল লাগছে। দর্শকদের ব্যাপক সমর্থন দেখে অভিভূত কিংসলে, তারা ছিল বিস্ময়কর, তাদের জন্যই আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি।ুু পক্ষান্তরে ইস্ট বেঙ্গল কোচ বিশ্বজিৎ ভটাচার্য্য বলেন, যারা খেলা দেখেছেন, এই রেজাল্টে তারা নিশ্চয়ই এনজয় করেছেন। আমরা অনেক চান্স মিস করেছি। তবে দলের নৈপুণ্যে আমি খুশি। হারের কারণ? আমার খেলোয়াড়রা অপরিণত। তার ফল পেয়েছি ফাইনালে হেরে। যদিও প্রথম গোলটি আমরাই করি। কিন্তু ম্যাচ ধরে রাখতে পারিনি। ফরোয়ার্ডরা ব্যর্থ হয়েছে। নিজের দেশের সাংবাদিকরা বাংলাদেশে আসার আগে ইস্ট বেঙ্গল এ আসরে কিছুই করতে পারবে না বলে যে সমালোচনা করেছিল, তাদের বরাবরের মতো আবারও এক হাত নেন বিশ্বজিৎ। সেই সঙ্গে কোচ মানিককে সাধুবাদও জানান তিনি। শিরোপাধারী চট্টগ্রাম আবাহনী সম্পর্কে তিনি বলেন, ওরা আমাদের কাছে প্রথম ম্যাচে হেরেছিল ঠিকই। কিন্তু ওরা দ্রুত পরিণত হয়েছে। তাই ফাইনালে জিতেছে। ওদের গোলগুলো ছিল সুন্দর। আমাদের ডিফেন্স ব্যর্থ হয়েছে। তবে বৃষ্টিভেজা মাঠ কোন সমস্যা করেনি আমাদের জন্য। সবশেষে তিনি বলেন, এ আসরের আয়োজন ছিল দারুণ। আয়োজকদের ধন্যবাদ। এদিকে চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় তাদের সব কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়কে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। শুক্রবারের রাতটা ছিল এলিটা কিংসলের। চট্টগ্রাম আবাহনীর এই নাইজিরিয়ান একাই পেয়েছেন চারটি পুরস্কার! সেগুলো হচ্ছে সর্বোচ্চ গোলদাতা (পাঁচটি), ম্যান অব দ্য ফাইনাল, ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট ও মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার। এত পুরস্কার পেলেও সতীর্থ উইঙ্গার জাহিদ হোসেনের ভূয়সী প্রশংসা করেন কিংসলে।
×