স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইংল্যান্ডের হয়ে গৌরবময় রেকর্ডের মালিক হয়েছেন ওয়েন রুনি। তারকা এ স্ট্রাইকার শনিবার রাতে ইউরো বাছাই ফুটবলে সান ম্যারিনোর বিরুদ্ধে এক গোল করে নিজ দেশের ইতিহাসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চর গোলের রেকর্ড গড়েছেন। অবশ্য আপাতত তাঁকে রেকর্ডটি ভাগাভাগি করতে হচ্ছে ইংল্যান্ডের ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপজয়ী তারকা স্যার ববি চার্লটনের সঙ্গে। দু’জনেরই এখন ইংল্যান্ডের হয়ে গোলসংখ্যা ৪৯টি করে।
এককভাবে না হলেও কিংবদন্তি চার্লটনের পাশে নাম লেখাতে পেরেই গর্বের কথা জানিয়েছেন রুনি। আর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা অচিরেই এককভাবে রেকর্ডটির মালিক হবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন ইংলিশ কোচ রয় হডসন। এই ম্যাচে মাঠে নামার আগে সমালোচনায় রীতিমতো জর্জরিত ছিলেন রুনি। গোল যেন সোনার হরিণ হয়ে যায় তাঁর কাছে! ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে লীগে চলতি মৌসুমে গোল পাননি, মাঠেও নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। চাপ নিয়েই তাই সান ম্যারিনোর মাঠে খেলতে যান ইংলিশ অধিনায়ক।
ম্যাচের শুরুতেই গোল করে ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা গোলদাতা হয়ে যান রুনি। নাম লেখান চার্লটনের পাশে। যে কারণে প্রায় সবাই ধরেই নিয়েছিলেন পরশু রাতেই এককভাবে রেকর্ডটি নিজের করে নেবেন ম্যানইউ তারকা। কিন্তু বাকি প্রায় ৮০ মিনিটে আর গোলের দেখা পাননি। এরপরও কিংবদন্তি তারকার পাশে নাম লেখাতে পেরেই খুশি রুনি। ম্যাচ শেষে সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, এটা গর্বের মুহূর্ত যে আমি স্যার ববি চার্লটনের পাশে নাম লিখিয়েছি। আমি চেয়েছিলেন দলকে জয়ে সহযোগিতা করা ও রেকর্ড গড়া। ১০৬ ম্যাচে ৪৯ গোল করা রুনিকে অবশ্য রেকর্ডটির জন্য খুব বেশি অপেক্ষা করতে হবে না! যদি তিনি পারেন।
কেননা মঙ্গলবারই ঘরের মাঠে খেলবে ইংল্যান্ড। প্রতিপক্ষ সুইজারল্যান্ড। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। রুনি বরং সান ম্যারিনোর রেকর্ডটি না হওয়ায় খুশি। তার কথাতেই এটি স্পষ্ট। বলেন, রেকর্ড হয়ে গেলে তো ভাল লাগতোই। তবে ঐতিহ্যবাহী ওয়েম্বলিতে যদি রেকর্ডটি করতে পারি তাহলে সেটি হবে দারুণ অর্জন। অসাধারণ মুহূর্ত হবে সেটা। ওয়েম্বলিতে দারুণ মাইলফলক ছুঁয়ে রেকর্ড গড়ার সুযোগ পাচ্ছেন রুনি। বর্তমানে ৪৯ গোল করা এই তারকা এক গোল করলে চার্লটনকে তো ছাড়িয়ে যাবেনই। স্পর্শ করবেন ৫০ গোলের মাইলফলক। ইংল্যান্ড কোচ রয় হডসন মনে করছেন মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধেই তা হবে। হডসন বলেন, এটা দারুণ ব্যাপার হবে যদি রুনি ৫০ গোল সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার ওয়েম্বলিতে করে।
ম্যানইউর হয়ে যেমনই হোক, ইংল্যান্ডের হয়ে রুনি গোলের দেখা পাচ্ছেন নিয়মিতই। ইউরো বাছাইয়ে সর্বশেষ ছয় ম্যাচেই গোল পেয়েছেন, ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বশেষ ১৩ ম্যাচে তাঁর গোল ১০টি। মজার ব্যাপার হচ্ছে, চার্লটন তাঁর ৪৯ গোল করেছিলেন ১০৬ ম্যাচে। ইংল্যান্ডের হয়ে রুনিও ৪৯ গোল করেছেন ১০৬ ম্যাচে। পাশে নাম লিখিয়েছেন, হয়ত ছাড়িয়ে যাবেন অচিরেই। এরপরও রুনির চেয়ে চার্লটনকেই এগিয়ে রেখেছেন ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপজয়ী ইংল্যান্ড স্ট্রাইকার জিওফ হার্স্ট। তিনি বলেন, রুনি একজন কিংবদন্তি। তবে দুজনের তুলনা করতে গেলে বলতে হয়, ববি চার্লটন মিডফিল্ডার হিসেবেই এতগুলো গোল করেছেন। আর রুনি তো খেলে স্ট্রাইকার হিসেবে। চার্লটন বিশ্বকাপও জিতেছে, সেটাও মনে রাখতে হবে।