ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ১৭ মে ২০১৫

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ চৌত্রিশ বছর আগের কথা। দিনটি ছিল রবিবার। কালবৈশাখী ঝড়ো হাওয়ার বেগ ছিল ঘণ্টায় ৬৫ মাইল। প্রচ- ঝড়-বৃষ্টি আর বৈরী আবহাওয়াও গতিরোধ করতে পারেনি গণতন্ত্রকামী লাখ লাখ মানুষের মিছিল। সারাদেশের গ্রাম-গঞ্জ-শহর-নগর-বন্দর থেকে অধিকার বঞ্চিত মুক্তিপাগল জনতা ছুটে এসেছিল রাজধানী ঢাকায়। সামরিকতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী লাখো কণ্ঠের সেøাগানে প্রকম্পিত হয় পুরো রাজধানী। একনজর দেখার জন্য কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শেরেবাংলা নগর পর্যন্ত জনসমুদ্রে পরিণত হয়। জনসমুদ্রের প্রবল জোয়ারে ৩৪ বছর আগে ১৯৮১ সালের ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ এমনি একটি দিনে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর প্রায় ছয় বছর নির্বাসিত জীবন শেষে দেশে ফেরেন তিনি। আজ সেই ১৭ মে, বঙ্গবন্ধুর কন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের চৌত্রিশ বছরপূর্তি দিবস। বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের পর চরম এক প্রতিকূল পরিবেশে নির্বাসিত জীবন কাটাতে হয় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তবে বিদেশে থাকাকালেই ১৯৮১ সালের ১৬Ñ১৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত কাউন্সিল অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে আওয়ামী লীগের নেতারা শেখ হাসিনাকে দলের সভানেত্রী নির্বাচিত করেন। দেশে প্রত্যাবর্তনের পর নেতারা তাঁর হাতে তুলে দেন তৎকালীন বহুধাবিভক্ত দেশের সর্ববৃহৎ ও ঐতিহ্যের সাফল্যগাঁথা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পতাকা। লাখো মানুষের প্রাণঢালা উষ্ণ সম্ভাষণ এবং গোটা জাতির স্নেহাশীষ ও ভালবাসার ডালা মাথায় নিয়ে প্রিয় স্বদেশ ভূমিতে ফিরে এসেছিলেন আওয়ামী লীগের বিপ্লবী সভাপতি শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু কন্যার আগমনে সেদিন গগনবিদারী মেঘ গর্জন, ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ প্রকৃতি যেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার বদলা নেয়ার লক্ষ্যে গর্জে উঠেছিল, আর অবিরাম মুষলধারে বারিবর্ষণে যেন ধুয়ে-মুছে যাচ্ছিল বাংলার পিতৃ হত্যার জমাট বাঁধা পাপ আর কলঙ্কের চিহ্ন। ঝড়-বাদল আর জনতার আনন্দাশ্রুতে অবগাহন করে শেরেবাংলা নগরে লাখ লাখ মানুষের সংবর্ধনা ও হৃদয় নিংড়ানো শ্রদ্ধা-ভালবাসার জবাবে পিতা-মাতা-ভাইসহ স্বজন হারানোর বেদনায় কাতর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘...আমি সামান্য মেয়ে। সক্রিয় রাজনীতির দূরে থেকে আমি ঘর-সংসার করছিলাম। কিন্তু সবকিছু হারিয়ে আপনাদের মাঝে এসেছি। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে জাতির জনকের হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই। বাংলার দুঃখী মানুষের সেবায় আমি আমার এ জীবন দান করতে চাই। আমার আর হারাবার কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ভাই রাসেল সকলকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি, আমি আপনাদের মাঝেই তাঁদের ফিরে পেতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তা বাস্তবায়ন করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই, বাঙালী জাতির আর্থ-সামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই।’ শেখ হাসিনা সেদিন জনগণকে দেয়া সেই অঙ্গীকার পূরণে ৩৪ বছর ধরে প্রতিনিয়ত মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে জনগণের ভাগ্যবদলে নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। সামরিকতন্ত্রের বেড়াজাল থেকে দেশের জনগণকে গণতন্ত্র উপহার দিতে দীর্ঘ নির্বাসিত জীবন ছেড়ে শেখ হাসিনা দেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন বলেই ব্রাকেটবন্দী আওয়ামী লীগ এখন বাংলাদেশের একক বৃহত্তম ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক দল। শুধু দেশের বৃহত্তম দলই নয়, এই ৩৪ বছরে জনগণের আস্থা অর্জন করে প্রতিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভোটসংখ্যা বাড়িয়েছেন দ্বিগুণ-ত্রিগুণ হারে। শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন বলেই প্রাসাদ ষড়যন্ত্র মোকাবেলা ও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে সামরিকতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে দেশবাসী পেয়েছিলেন কাক্সিক্ষত গণতন্ত্র। শুধু তাই নয়, শক্ত হাতে দলের হাল ও গণতন্ত্রের পতাকা উর্ধে তুলে রেখে দেশে ফেরার পর থেকেই গভীর ষড়যন্ত্র, বার বার প্রাণনাশের চেষ্টা, গ্রেফতার-নির্যাতনসহ শত সহস্র বাধা অতিক্রম করে জনগণের আস্থা অর্জনের মাধ্যমে দেশে ফেরার ১৫ বছরের মাথায় আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় নিতে সক্ষম হন শেখ হাসিনা। পাঁচ বছর দক্ষতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে সরকার পরিচালনা করে দেশকে নিয়ে যান উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে। এরপর আবারও ষড়যন্ত্র। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পাঁচ বছরের বিভীষিকাময় নির্যাতনে নেতাকর্মীরা যখন দিশেহারা, তাঁকেসহ পুরো আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করতে মারণঘাতী গ্রেনেড হামলার মুখেও অবিচল থেকে দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখে বন্ধুর পথ পাড়ি দেন বঙ্গবন্ধুর এই কন্যা। এরপর এক/এগারো পরবর্তী সামরিক নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ও ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত, দীর্ঘদিন কারাবাসে থেকেও কোন অপশক্তির কাছে মাথানত করেননি শেখ হাসিনা। ওই সময় ভয়-ভীতি ও ষড়যন্ত্রে অনেক নেতা পথভ্রষ্ট হওয়ার উপক্রম হলেও জেলে থেকেও সফল দিক-নির্দেশনা দিয়ে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের অটুট বন্ধনে ঐক্যবদ্ধ রাখতে সক্ষম হন তিনি। শেখ হাসিনার এই অবিচল ও সাহসী নেতৃত্ব আর জনগণের প্রতি অগাধ বিশ্বাসের কারণেই ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে দেশের জনগণ ইতিহাসের সর্ববৃহত তিন-চতুর্থাংশ আসনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করে প্রধানমন্ত্রী করেন শেখ হাসিনাকে। পাঁচটি বছর নিরলস প্রচেষ্টা এবং যোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে সবদিক থেকে এগিয়ে নিয়ে গেলেও স্বাধীনতাবিরোধী অন্তহীন ষড়যন্ত্র অব্যাহত থাকে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট এবং সর্বশেষ হেফাজতকে নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র হয়। সেই ষড়যন্ত্রও সফলভাবে মোকাবেলা করতে সক্ষম হন শেখ হাসিনা। ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি-জামায়াত জোটের ভয়াল ও নৃশংস সহিংসতা, তা-ব ও নাশকতার মাধ্যমে দেশকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের শত ষড়যন্ত্র, নাশকতা মোকাবেলা করে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে টানা দ্বিতীয়বার মিলিয়ে তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে সক্ষম হন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। এরপরেও থেমে থাকেনি ষড়যন্ত্র। টানা দ্বিতীয় মেয়াদের সরকারের এক বছর পূর্তির দিন অর্থাৎ চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি থেকে আবারও শুরু হয় বিএনপি-জামায়াত জোটের চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র। একটানা ৯২ দিন ধরে অবরোধ-হরতালের নামে পেট্রোলবোমা মেরে নির্বিচারে প্রায় দেড় শতাধিক মানুষকে হত্যা, দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করার ষড়যন্ত্র চলে। তবে এক্ষেত্রেও দক্ষতার সঙ্গে সবকিছু সামাল দিয়ে আবারও রাজনৈতিকভাবে বিএনপি-জামায়াতকে পরাজিত করেন শেখ হাসিনা। ৯২ দিন পর শূন্য হাতেই বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে ঘরে ফিরতে হয়। এক কথায় বর্তমানে দেশের সম্পূর্ণ রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ এখন শেখ হাসিনার হাতেই। সর্বশেষ স্বাধীনতার পর প্রথম ভারতের সঙ্গে স্থল সীমান্ত চুক্তির বিলটি সেদেশের সংসদে পাসের মাধ্যমে আরেকটি বড় কূটনৈতিক সাফল্যও ছিনিয়ে আনেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। সাফল্যের পুরোভাগে শেখ হাসিনা ॥ চৌত্রিশ বছরের রাজনৈতিক পথ-পরিক্রমায় ঘোর প্রতিপক্ষরাও অপকটে স্বীকার করছেন যে, শেখ হাসিনা এখন যোগ্য রাষ্ট্রনায়ক। ৫ জানুয়ারির আগে শেখ হাসিনা ঝঞ্ঝাপূর্ণ রাজনীতি মোকাবেলায় যেমন বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন, তেমনি রাষ্ট্র পরিচালনায় নির্মোহভাবে অনেক সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। একের পর এক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারকে এরই মধ্যে মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছেন তিনি। আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও স্বীকার করেছেন, সরকারের যা কিছু সাফল্য এর সবই অর্জিত হয়েছে শেখ হাসিনার ঐকান্তিক চেষ্টা ও যোগ্য নেতৃত্বের কারণে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঘিরে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক চাপ শেখ হাসিনা মোকাবেলা করেছেন সিদ্ধহস্তে। তাঁর দৃঢ়তা ও সাহসী যোগ্য নেতৃত্বের কাছে পরাস্ত হয় জাতীয়-আন্তর্জাতিক সব ষড়যন্ত্র। সব বাধা-বিপত্তি দূরে ঠেলে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রক্ষায় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হয় তাঁর সরকারের অধীনে। শত রক্তচক্ষু ও ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে দেশে অনির্বাচিত অসাংবিধানিক শাসনের চিরঅবসান ঘটান তিনি। তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা শুরু করেছেন সুশাসন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঘোষণা করেছেন ‘জিরো টলারেন্স’। দেশ এগিয়ে নিতে প্রয়োজনে কঠোর, আবার প্রয়োজনে সরল হবেন শেখ হাসিনাÑ এটাই তাঁর লক্ষ্য। এর মধ্যে নিজ দলের বেশ কয়েকজনকে দুদকের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন নির্মোহভাবে। দুর্নীতির অভিযোগ থাকা নেতাদের রাখেননি এবারের মন্ত্রিসভায়। সর্বশেষ বিএনপি-জামায়াতের ৯২ দিনের অগ্নিসন্ত্রাস আর সুগভীর ষড়যন্ত্র শক্ত হাতে মোকাবেলা করে দেশকে আবারও টেনে তুলেছেন উন্নয়নের মহাসড়কে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও অকপটে স্বীকার করে বলেছেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় শেখ হাসিনার অসম সাহস ও দৃঢ়চেতা মনোবলের কারণেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বঙ্গবন্ধু হত্যার রায় কার্যকর এবং জঙ্গীবাদ দমন করা সম্ভব হয়েছে। একমাত্র শেখ হাসিনা নেতৃত্বে রয়েছেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। দেশ বেরিয়ে এসেছে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে। নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় এবং বিএনপি-জামায়াত জোটের নাশকতা-সহিংসতা দমনে শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স প্রদর্শন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কাছেও প্রশংসা কুড়িয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে দৃঢ়ভাবেই বলা যায়, সরকার পরিচালনায় শেখ হাসিনার বিকল্প আজ আর কেউ নেই। দেশে প্রত্যাবর্তনের পর থেকে এই চৌত্রিশ বছরে প্রতিনিয়ত মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির ঐক্যের প্রতীকে পরিণত হয়েছেন। ব্রাকেটবন্দী বহুধাবিভক্ত আওয়ামী লীগকে শুধু ঐক্যবদ্ধই নয়, শক্ত হাতে হাল ধরে আওয়ামী লীগকে বিপুল জনসমর্থিত দেশের সর্ববৃহত একক বৃহত্তম জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন। বিপুল সমর্থন নিয়ে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর গুরুদায়িত্ব কাঁধে নিয়ে শেখ হাসিনা দেশকে আত্মনির্ভরশীল, সুখী-সমৃদ্ধ আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি সম্পন্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নিরলসভাবে প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত মধ্য আয়ের দিকে। শেখ হাসিনার ৩৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে এবার আওয়ামী লীগ সপ্তাহব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, শেখ হাসিনার সুন্দর জীবন ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দেশব্যাপী দোয়া, মিলাদ মাহফিল, আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ইত্যাদি। আগামীকাল বিকেল তিনটায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। ২২ মে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ রাজধানীতে বের করবে আনন্দ মিছিল। এছাড়া রাষ্ট্র পরিচালনা ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রে অবিস্মরণীয় অবদানের জন্য আগামী ২৯ মে রাজধানীর সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে দেশের নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেয়া হবে নাগরিক গণসংবর্ধনা। সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচী সফল করতে সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরীকে আহ্বায়ক এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে সদস্য সচিব করে গঠন করা হয়েছে শক্তিশালী কমিটি। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার নানা সাফল্য গাঁথা প্রতিকৃতি দিয়ে সাজানো হয়েছে। ৩৪ বছরের বঙ্গবন্ধুর কন্যার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের নানা উপাখ্যান নিয়ে ছাপানো হয়েছে পোস্টার, লিফলেট, স্মারকগ্রন্থ ও প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী।
×