ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আট পেট্রোলবোমাসহ গুলির খোসা ও পিস্তল উদ্ধার

গাইবান্দায় শিবির ও ঝিনাইদহে চরমপন্থী বন্দুকযুদ্ধে নিহত

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

গাইবান্দায় শিবির ও ঝিনাইদহে চরমপন্থী বন্দুকযুদ্ধে নিহত

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা/ ঝিনাইদহ, ১৭ ফেব্রুয়ারি ॥ সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নের তুলসীঘাটের বুড়িরঘর এলাকায় র‌্যাবের টহল গাড়িতে পেট্রোলবোমা ছুড়ে মারার সময় বন্দুকযুদ্ধে জামায়াত-শিবিরের দুর্ধর্ষ ক্যাডার মোস্তফা মঞ্জিল (৩২) নিহত হয়েছে। গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কে মঙ্গলবার ভোর পৌনে পাঁচটায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে আটটি পেট্রোলবোমা, দুটি পিস্তল, গুলির খোসা ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। নিহত মোস্তফা মঞ্জিল গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে তুলসীঘাটের একই স্থানে পেট্রোলবোমা ছুড়ে আটজন হত্যা মামলার প্রধান আসামি। সে সাহাপাড়া ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের দছিজার রহমানের ছেলে। এদিকে ঝিনাইদহের চুটলিয়া গ্রামে মঙ্গলবার ভোরে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে চরমপন্থী ক্যাডার রফিউল ইসলাম ওরফে ছোট তারেক নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি নাইন এমএম পিস্তল, দুটি রিভলবার, দুটি শটগান, ১০ রাউন্ড গুলি, ছয়টি পেট্রোলবোমা উদ্ধার করা হয়েছে। পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, পলাশবাড়ীতে রাতে যৌথবাহিনীর অভিযান শেষে র‌্যাবের টহল গাড়ি বুড়িরঘর এলাকায় পৌঁছলে সেখানে ৬-৭ জনকে রাস্তার পাশে ঘোরাফেরা করতে দেখে। র‌্যাব সদস্যরা গাড়ি থামালে ওই ক্যাডাররা র‌্যাবের গাড়ি লক্ষ্য করে পেট্রোলবোমা ছুড়ে মারলে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। একপর্যায়ে তারা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকে। র‌্যাব সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। গোলাগুলি থামার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি ও মোটরসাইকেলসহ আহত অবস্থায় মোস্তফা মঞ্জিলকে উদ্ধার করে। গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। চরমপন্থী ক্যাডার নিহত ॥ ঝিনাইদহ র‌্যাব-৬ ক্যাম্প কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার নিয়াজ মোহাম্মদ ফয়সাল জানান, নিষিদ্ধ ঘোষিত বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক নেতা রফিউল ইসলাম ওরফে ছোট তারেককে (৪০) সোমবার গ্রেফতার করা হয়। পরে স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাকে সঙ্গে নিয়ে র‌্যাবের একটি বিশেষ দল অস্ত্র উদ্ধারের জন্য বের হয়। তারা মঙ্গলবার ভোর চারটার দিকে সদর উপজেলার চুটলিয়া গ্রামের জনৈক নান্নু মিয়ার মেহগনি বাগানের পাশে পৌঁছলে একদল অস্ত্রধারী তারেককে ছিনিয়ে নিতে র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। র‌্যাবও চালায় পাল্টা গুলি। উভয়পক্ষের গোলাগুলির একপর্যায়ে ছোট তারেক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ক্রসফায়ারে পড়ে আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় র‌্যাবের কনস্টেবল মিলন সাহা ও গোলাম মোস্তফা আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে দুটি নাইন এমএম পিস্তল, দুটি রিভলবার, দুটি শটগান, ১০ রাউন্ড গুলি, ছয়টি পেট্রোলবোমা, দুটি ম্যাগজিন এবং পেট্রোল ও খালি বোতলসহ বোমা বানানোর সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত তারেকের বিরুদ্ধে চারটি হত্যাসহ আটটি মামলা রয়েছে। সে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী গুচ্ছগ্রামের জলিল উদ্দিনের ছেলে। এ বিষয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। বিষয়খালী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রশিদ ঝন্টু জানান, নিহত ছোট তারেক ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। ১৯৮৯ সালে যুবলীগে যোগ দেয়। এর আগে তিনি বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি হক গ্রুপের সক্রিয় সদস্য ছিলেন।
×