
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশে প্রায় ৪ হাজার গার্মেন্টস কারখানার মধ্যে অন্তত ১,৩০০ কারখানা মার্কিন ক্রেতাদের জন্য কাজ করছে। এর মধ্যে প্রায় ৩০০ প্রতিষ্ঠান সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানি করে। সাম্প্রতিক মার্কিন টেরিফ জটিলতায় এসব কারখানার উৎপাদনে ধীরগতি এলেও এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক।
চীন ও ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের টেরিফ বিরোধ বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিতে মার্কিন টেরিফ ২০ শতাংশ হলেও ভারতের জন্য তা ৫০ শতাংশ এবং চীনের জন্য ১০০ শতাংশেরও বেশি। গার্মেন্টস উদ্যোক্তারা মনে করছেন, এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ এক মৌসুমে অন্তত ৩ বিলিয়ন ডলার এবং বছরে ১০ বিলিয়ন ডলার বাড়তি আয় করতে পারে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ১৩.৭৯% প্রবৃদ্ধি ধরে বাংলাদেশ ৭.৫৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। বছরে মোট রপ্তানি ৮ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। একই অর্থবছরে মোট তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৩৯.৩৪ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের ৩৬.১৫ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় ৮.৮৪% বেশি।
বাংলাদেশ প্রতিবছর ২০-২১ বিলিয়ন ডলারের নিটওয়্যার এবং ১৭-১৮ বিলিয়ন ডলারের ওভেন পোশাক রপ্তানি করে। এক সময় কিছু নিটওয়্যার ক্রেতা ভারতের দিকে ঝুঁকলেও, এখন তারা আবার বাংলাদেশে ফিরে আসছে বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন।
তাদের মতে, ভারতের ও চীনের ব্যবসা বাংলাদেশে আসার সুযোগ তৈরি হয়েছে, তবে তা কাজে লাগাতে হলে দ্রুত লিড টাইম কমানো, বন্দর সেবা উন্নত করা, এনবিআরের নীতিগত প্রতিবন্ধকতা দূর করা এবং স্থানীয় সুবিধা বাড়ানো জরুরি। বিশেষ করে এফওসি ও শুল্কায়ন জটিলতা নিরসনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এগিয়ে আসা প্রয়োজন। এফওসি নীতি সহজীকরণ করা গেলে বাংলাদেশে আরও প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা আনা সম্ভব হবে বলে বিজিএমই নেতারা মনে করেন।
ছামিয়া