ছবিঃ সংগৃহীত
সোনারগাঁয়ে নিখোঁজ হওয়ার ১৯ ঘণ্টা পর রিজভী (৩) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকাল ১১টা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁয়ের আষাড়িয়ারচর ব্রিজের নিচ থেকে ভাসমান অবস্থায় শিশুর এ মরদেহ উদ্ধার করেছেন এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ঝাউচর গ্রামে শাহী মসজিদের পেছনে বালুর মাঠে খেলাধুলা করতে গিয়ে মাঠের পাশে মেঘনার শাখা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয় শিশু রিজভী।
বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ সদর মণ্ডল পাড়ার ফায়ার (ডুবুরি) সার্ভিসের একটি টিম সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পানিতে খুঁজেও সন্ধান পায়নি শিশুটির।
নিহত রিজভী উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের দুধঘাটা এলাকার সৌদি আরবপ্রবাসী মো. রিপন মিয়ার ছেলে। সে ঝাউচর নানাবাড়িতে মায়ের সঙ্গে বেড়াতে এসেছিল। এদিকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নেওয়ার পর ওই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। নিহত শিশুর স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ ভারী হয়ে ওঠে।
এলাকাবাসী জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টা পর্যন্ত প্রায় তিন ঘণ্টা পানিতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও রিজভীকে উদ্ধার করতে পারেনি নারায়ণগঞ্জ মণ্ডল পাড়ার ফায়ার সার্ভিস। পরে শুক্রবার সকালে আমরা নিজেরাই ইঞ্জিনচালিত নৌকাযোগে পুনরায় খুঁজতে বের হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আষাড়িয়ারচর ব্রিজের নিচে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে তার নিজ বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
বৈদ্যারবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. মাহবুবুর রহমান জানান, শিশু নিখোঁজ ও লাশ উদ্ধারের বিষয়টি কেউ আমাদের অবগত করেনি। পানিতে ডুবে কেউ মারা গেলে কারো কোনো অভিযোগ না থাকলে সামাজিকভাবে লাশ দাফন করতে পারবে। তবে আমরা অফিসিয়ালভাবে লিখিত অনুমতি দিয়ে দেব।
নারায়ণগঞ্জ সদর মণ্ডল পাড়ার ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা শওকত কবির চৌধুরী বলেন, আমাদের টিম বৃহস্পতিবার রাতে তিন ঘণ্টা চেষ্টার পরও শিশুটিকে উদ্ধার করতে পারেনি। ধারণা করা হচ্ছে, নদীর স্রোতে সে অন্য দিকে ভেসে গেছে। পরে শুনেছি শুক্রবার সকালে এলাকাবাসী শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেছে।
ইমরান
