
ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ।
‘আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে, পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে কৃষকদের দক্ষ করে তুলতে হবে’—গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে অনুষ্ঠিত ‘পার্টনার কংগ্রেস’ এ বক্তারা এসব কথা বলেন।
সোমবার (১৪ জুলাই) দিনব্যাপী সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনরশিপ অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার)-এর আওতায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে এই কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়।
কংগ্রেসে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রংপুর অঞ্চলের সিনিয়র মনিটরিং কর্মকর্তা (পার্টনার প্রোগ্রাম) কৃষিবিদ অশোক কুমার রায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজ কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ সৈয়দা সিফাত জাহান। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. রাশিদুল কবির।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আ.ন.ম শিবলী সাদিকের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম বসুনিয়া, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সাদেক হোসেন এবং পার্টনার ফিল্ড স্কুলের সদস্য কৃষক ওহেদুজ্জামান সরকার, হযরত আলী, মাহমুদা আক্তার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘কৃষির ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর। উৎপাদন বাড়াতে ও কৃষিকে লাভজনক করতে প্রযুক্তিনির্ভর চাষাবাদের কোনো বিকল্প নেই। মাঠপর্যায়ের কৃষকদের নতুন জাত ও প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত করে তুলতে হবে।’
তারা আরও বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করে টেকসই কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে কৃষকদের প্রশিক্ষণ, তথ্যপ্রবাহ ও বাজার সংযোগ বাড়ানো জরুরি।’
বক্তারা বলেন, ‘প্রান্তিক কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের হাতে প্রয়োজনীয় কলাকৌশল ও সহায়তা পৌঁছে দিতে পারলে কৃষিতে বিপ্লব সম্ভব। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে মানসম্মত উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থার উন্নয়নেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে।’
পার্টনার কংগ্রেসে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, পিএফএস ও নন-পিএফএস কৃষক-কৃষাণী, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যমকর্মীসহ শতাধিক স্টেকহোল্ডার অংশগ্রহণ করেন।
মিরাজ খান