ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২

বাগেরহাটে এ্যানজিন মেটাল ইন্ডাষ্ট্রিজে কোটি টাকার মালামাল লুট

প্রহরী-শ্রমিকদের জিম্মি করে ৮ ঘণ্টা ধরে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট

প্রকাশিত: ১৭:৪৩, ৫ জুলাই ২০২৫

প্রহরী-শ্রমিকদের জিম্মি করে ৮ ঘণ্টা ধরে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

ছবি: সংগৃহীত

বাগেরহাটের ফকিরহাটে হ্যামকো গ্রুপের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ‘এনজিন মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজে’ দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার টাউন-নওয়াপাড়া এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত এ ইন্ডাস্ট্রিজের নিরাপত্তা প্রহরী ও শ্রমিকদের অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে বেঁধে রেখে প্রায় ৮ ঘণ্টা ধরে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় মুখোশধারী সশস্ত্র ডাকাত দল এক কোটি ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায়। 

মুখোশ পরিহিত ১৫ থেকে ২০ জনের একটি ডাকাত দল নিরাপত্তা প্রহরীদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে ভেতরে প্রবেশ করে। এসময় ৭ জন নিরাপত্তাকর্মী ও ৪ জন শ্রমিককে বেঁধে রাখে। এরপর তারা কোম্পানির গুদামে ঢুকে সেখান থেকে অ্যালুমিনিয়াম বার (১৫ টন), তামার তার (১ টন) এবং বৈদ্যুতিক তার (২.৫ টন) দুটি ট্রাকে করে নিয়ে রাত ৪টার দিকে পালিয়ে যায়।

পরে নিরাপত্ত কর্মীরা বাঁধন খুলে কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জনান। এসব মালামাল ও জিনিসপত্র প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করার জন্য গুদামজাত করে রাখা হয়েছিল। ডাকাতদের সাথে দেশীয় অস্ত্র ছিল বলে জানান শ্রমিকরা।

হ্যামকো গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এর জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) সিদ্দিকুর রহমান জানান, দুই দিন ছুটি থাকায় শ্রমিকরা সন্ধ্যায় কারখান ত্যাগ করেছিল। ডাকাত দল রাতে নিরাপত্তাকর্মীদের ভয় দেখিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা প্রায় ৮ ঘণ্টা অবস্থান করে। পরে ডাকাত দল ট্রাকে করে ভোর ৪টার দিকে এসব মালামাল ও জিনিসপত্র নিয়ে চলে যায়।

ফকিরহাট মডেল থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক মীর বলেন, ‘শনিবার (৫ জুলাই) ভোর ৫টার দিকে খবর পেয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) রবিউল ইসলাম শামীমসহ পুলিশের একটি দল সাথে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এসময় জানতে পারি একদল ডাকাত নিরাপত্তাকর্মী ও শ্রমিকদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে কোম্পানি থেকে বিভিন্ন মালামাল ও জিনিপত্র নিয়ে গেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তারের অভিযান শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।’

প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিকেরা বলেন, শুক্রবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে মুখোশ পরিহিত ১৫-২০ জন লোক নিরাপত্তা প্রহরীকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় অস্ত্রের মুখে সাতজন নিরাপত্তাকর্মী ও চারজন শ্রমিককে বেঁধে ফেলে তারা। এরপর কোম্পানির গুদামে ঢুকে সেখান থেকে অ্যালুমিনিয়াম বার ১৫ টন, তামার (স্কার্প) তার আড়াই টন এবং বৈদ্যুতিক তামার তার এক টন দুটি ট্রাকে করে নিয়ে ভোররাতের দিকে চলে যায়।

রাকিব

×