ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ফতেনগরে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মিত

মো. দেলোয়ার হোসেন, চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ১৮:০৪, ৪ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৮:০৪, ৪ জুলাই ২০২৫

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ফতেনগরে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মিত

ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ চট্টগ্রামের মসজিদের উপজেলা চন্দনাইশ। ফতেনগর সিকদার বাড়িতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ১২ কোটি টাকার অধিক ব্যয়ে তুরস্কের ব্লু মসজিদের আদলে নির্মিত হয়েছে দৃষ্টিনন্দন চন্দনাইশ ফতেনগর সিকদার বাড়ি জামে মসজিদ।

চন্দনাইশ উপজেলার ফতেনগর গ্রামে সিকদার বাড়ি জামে মসজিদটি কবরস্থান, ২ একর জমির উপর পুকুরসহ নির্মাণ করা হয়। বিগত ২০১৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে প্রায় ১০ বছর নির্মাণশৈলী কাজের মাধ্যমে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়।

তুরস্কের ব্লু মসজিদের আদলে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন শিকদার বাড়ি জামে মসজিদটি চন্দনাইশ উপজেলায় নয়, পুরো দক্ষিণ চট্টগ্রামের একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ হিসেবে স্বীকৃতি পাবে বলে বিজ্ঞমহল অভিমত ব্যক্ত করেছেন। মসজিদের পশ্চিমপাশে পুকুরের পানিঘেঁষে মিম্বর নির্মিত হওয়ায় পশ্চিম পাশ থেকে মসজিদটি দেখতে পানিতে ভাসমান অবস্থায় আরো দৃষ্টিনন্দন মনে হয়।

চন্দনাইশ উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, চন্দনাইশের ২টি পৌরসভা, ৮টি ইউনিয়নে ৩ শতাধিক মসজিদ রয়েছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের দোহাজারী থেকে বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সড়কের দু’পাশে দৃষ্টিনন্দন, ব্যয়বহুল ২৬ টি মসজিদ, একইভাবে গাছবাড়িয়া কলেজ গেইট থেকে বরকল ব্রিজ পর্যন্ত শহীদ মুরিদুল আলম সড়কের দু’পাশে ২৭টি মসজিদ রয়েছে।

উপজেলার ফতেনগর সিকদার বাড়িতে প্রয়াত প্রতিথযশা আইনজীবী বদিউল আলমের ছেলে মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জিয়াউল কবির আদিল নিজস্ব অর্থায়নে তুরস্কের ব্লু মসজিদের আদলে দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর ধরে নির্মাণশৈলী কাজ করে প্রকৌশলী সোহেল মো. শাকুর’র নির্দেশনায় মসজিদটি নির্মাণশৈলী কাজ সম্পন্ন করা হয়। অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন এবং সব ধরণের কারুকার্য সম্পন্ন এ আধুনিক মসজিদটি নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে মুসল্লিদের জন্য উম্মুক্ত করা হয়। মসজিদের পাশে করবস্থানে বিভিন্ন রকমের ফুলের বাগান করা হয়েছে।

মসজিদ সংলগ্ন ফোরকানিয়া মাদরাসার মাধ্যমে এলাকার শিশু-কিশোরদের আরবি শিক্ষায় শিক্ষিত করা হচ্ছে। সরকার প্রতিটি উপজেলায় মডেল মসজিদের নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন এবং এ সকল মসজিদ নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ কোটি টাকা। প্রতিটি মসজিদে প্রতিদিন ৩৪ হাজার পাঠক একসাথে কোরআন তেলওয়াত ও ইসলামি বই পড়তে পারবে। এ সকল মসজিদে প্রতি বছর ১৪ হাজার হাফেজ তৈরির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ১ লক্ষ ৬৮ হাজার শিশু প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি ২ হাজার ২ শ ৪০ জন দেশি-বিদেশি অতিথির আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। প্রতিটি উপজেলায় ৪০ শতক জমির উপর এ সকল মসজিদ স্থাপন করা হচ্ছে।

চন্দনাইশ উপজেলার মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ অদ্যাবদি শুরু হয়নি। এ সকল মসজিদে পাশাপাশি থাকবে ইসলামিক সাংকৃতিক কেন্দ্র সেখানে নারী-পুরুষের জন্য পৃথক অজু, নামাজের ব্যবস্থা, লাইব্রেরি, গবেষণা, দ্বীনি দাওয়া কার্যক্রম, কোরআন তেলওয়াত, হেফজখানা, শিশু শিক্ষা, অতিথিশালা, বিদেশি পর্যটকদের আবাসন, মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা, হজ্জযাত্রীদের নিবন্ধন, প্রশিক্ষন, ইমামদের প্রশিক্ষণ, ইমাম-মোয়াজ্জিনদের আবাসন ব্যবস্থা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসসহ সকল ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এক কথায় সরকারি মডেল মসজিদগুলো হবে পূর্ণাঙ্গ একটি প্রতিষ্টান, সেখানে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা থাকবে।

রাকিব

×