
ঈদুল আজহার ছুটি শেষে যখন মানুষ নিজ নিজ কর্মস্থল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা জীবিকার তাগিদে শহরমুখো হচ্ছিল, ঠিক তখনই ঘরমুখো যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন।
শনিবার (১৪ জুন) সকালে মানিকছড়ি উপজেলার মহামুনি ও আমতলা এলাকায় এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সাফকাত আলী।
অভিযানকালে চট্টগ্রামগামী লোকাল বাস ও সিএনজি চালকদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযোগের ভিত্তিতে এক বাস কর্তৃপক্ষকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং যাত্রীদের কাছ থেকে আদায়কৃত অতিরিক্ত ভাড়া ফেরত দেওয়া হয়।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সাফকাত আলী দৈনিক জনকণ্ঠ-কে বলেন,
“মানিকছড়ি থেকে চট্টগ্রামের নির্ধারিত বাসভাড়া ১২০ টাকা হলেও কোনো কোনো বাস ১৬০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছিল। যাত্রীরা বিষয়টি আমাদের জানালে আমরা অভিযানে যাই। ভিন্ন ভিন্ন যাত্রীর কাছ থেকে ভিন্ন ভাড়া আদায়ের প্রমাণ পাওয়া যায়। এজন্য আমরা একটি বাসকে ২০০০ টাকা জরিমানা করি এবং যাত্রীদের থেকে নেওয়া বাড়তি টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করি।”
এ সময় সিএনজি চালকদেরও বাড়তি ভাড়া আদায় না করার জন্য সতর্ক করে দেন ম্যাজিস্ট্রেট।
অন্যদিকে, খাগড়াছড়ি থেকে ছেড়ে যাওয়া বিরতিহীন পরিবহন শান্তি ও বিআরটিসি বাস নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ীই যাত্রী পরিবহন করছে বলে জানান তিনি।
যাত্রী ও স্থানীয়রা জেলা প্রশাসনের এ ধরনের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলেন, ঈদের ছুটির পর এমন নজরদারি নিয়মিত হলে যাত্রীরা নিশ্চিন্তে থাকতে পারবে।
সানজানা