
১৫ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণ করে প্রায় এক মাস আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে। অতঃপর ওই কিশোরীকে রাতের আধাঁরে বাড়ির সামনের রাস্তার ওপর ফেলে রেখে যায় অপহরকারীরা।
এ অভিযোগে বরিশালের গৌরনদী মডেল থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন অপহৃতার বাবা।
আজ শনিবার (১৪ জুন) দুপুরে মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে। পাশাপাশি ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন-গৌরনদী উপজেলার টিকাসার গ্রামের রহিম হাওলাদারের ছেলে সাব্বির হাওলাদার, তার সহযোগি উজিরপুর উপজেলার উত্তর মোড়াকাঠি গ্রামের ইব্রাহিম হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার, লিমন হাওলাদার ও ইব্রাহিমের স্ত্রী দুলুফা বেগম।
এজাহারে জানা গেছে, গত ১১ মে দিবাগত রাতে প্রকৃতির ডাকে সারাদিতে ভিকটিম কিশোরী ঘরের বাহিরে বের হয়। এ সময় ওৎপেতে থাকা একই গ্রামের বখাটে সাব্বির ও তার সহযোগিরা লিমনের মাহিন্দ্রাযোগে ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এরপর আগৈলঝাড়া উপজেলার রাংতা গ্রামে লিমনের নানার বসত ঘরে আটকে রেখে দিনের পর দিন কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে সাব্বির।
পরবর্তীতে গত ১০ জুন দিবাগত রাতে মাহিন্দ্রাযোগে ভিকটিমকে তার বাবার বাড়ির সামনের রাস্তায় ওপর ফেলে রেখে অপহরনকারীরা চলে যায়।
এরপর নির্যাতিতা কিশোরীর জবানবন্দি শুনে গৌরনদী মডেল থানায় একটি অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়।
সানজানা