ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ময়মনসিংহে আইসিইউতে করোনা আক্রান্ত রোগী, প্রস্তুত কোভিড ওয়ার্ড, রি এজেন্ট কীট সংকটে নেয়া হয়েছে বাড়তি প্রস্ততি

শেখ আব্দুল আওয়াল গফরগাঁও, ময়মনসিংহ।

প্রকাশিত: ১৪:২৩, ১৩ জুন ২০২৫; আপডেট: ১৪:২৪, ১৩ জুন ২০২৫

ময়মনসিংহে আইসিইউতে করোনা আক্রান্ত রোগী, প্রস্তুত কোভিড ওয়ার্ড, রি এজেন্ট কীট সংকটে নেয়া হয়েছে বাড়তি প্রস্ততি

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে এক রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এতে নড়েচড়ে বসেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় নেওয়া হচ্ছে বাড়তি প্রস্তুতি। জেলার গফরগাঁও উপজেলার রসুলপুর গ্রামের ৬৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির গত ৯ জুন করোনা ধরা পড়ে। বর্তমানে তিনি আইসিইউতে ভর্তি আছেন। তার করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে অ্যান্টিজেন পরীক্ষায়।

তবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরটিপিসিআর পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি রিএজেন্ট সংকটের কারণে। শুক্রবার (১৩ জুন) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জনকন্ঠকে এসব তথ্য জানিয়েছেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন। তিনি বলেন, করোনা ওয়ার্ড প্রস্তুত রয়েছে। হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্রিফিং দেওয়া হয়েছে। সবাইকে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। তা না হলে, আবারও করোনার ঢেউ ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। সবাইকে সর্বোচ্চ সচেতন থাকতে হবে। ইতিমধ্যে ওয়ার্ড, বুথ ও আইসিও আলাদা করা হয়েছে। জনসাধারণকে সচেতন করতে হ্যান্ড মাইকে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রিএজেন্ট কীট সঙ্কটে হাসপাতালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা মাধ্যম আরটিপিসিআর বর্তমানে অচলাবস্থায় রয়েছে। এ অবস্থায় শুধু র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে নির্ভর করেই করোনা শনাক্ত করা হচ্ছে। বর্তমানে যে পরিমাণ র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন কীট রয়েছে তাতে মাত্র ৩০০ জনের পরীক্ষা সম্ভব। আরটিপিসিআর ছাড়া কোভিডের শতভাগ নির্ভরযোগ্য শনাক্তকরণ সম্ভব নয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে কীট সরবরাহের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. জাকিউল ইসলাম বলেন, করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কায় কোভিড ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হয়েছে। বর্তমানে একজন আইসিইউতে রয়েছেন। তাকে যথাযথ চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও রোগীদের মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার সাহা জনকন্ঠকে বলেন, করোনার নতুন ঢেউ সৃষ্টি হতে পারে। এমন পরিস্থিতির জন্য আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। তবে সবাইকে সচেতন থেকে মাস্ক পরে চলাফেরা করতে হবে। হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

রিফাত

×