
নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার জালশুকা বাজার সংলগ্ন একটি খাসজমিতে বসবাসরত পাঁচটি হিন্দু হরিজন পরিবারের ওপর হামলা ও ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে। গত কয়েকদিন ধরেই অতি দরিদ্র এই পরিবারগুলোর ওপর চলছে বর্বরোচিত নিপীড়ন। খবর পেয়ে মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
জানা গেছে, উপজেলার বিশকাকুনি ইউনিয়নের জালশুকা বাজারসংলগ্ন রেললাইনের পাশের একটি খাসজমিতে বংশপরম্পরায় বসবাস করে আসছে কয়েকটি হরিজন পরিবার। সম্প্রতি ধারা গ্রামের জানু মিয়ার ছেলে সিরাজ মিয়া ওই জমিটি তার ব্যক্তি মালিকানাধীন বলে দাবি করেন এবং পরিবারগুলোকে উচ্ছেদে হুমকি দেন। এই অবস্থায় হরিজন পল্লির বাসিন্দা সুনীল রবি দাস জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। এর জেরে সিরাজ মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে গত শুক্রবার সুনীল রবি দাসের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের মারধর করেন।
এরপর গত রবিবার তিনি পুনরায় হামলা চালিয়ে তিনটি ঘর ভাঙচুর করেন। ফের মঙ্গলবার দুপুরে সিরাজ মিয়া আরও কিছু গ্রামবাসী নিয়ে অবশিষ্ট দুটি ঘর ভাঙচুর করে পরিবারের সদস্যদের মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেন। এতে পাঁচটি পরিবারের ২২ জন সদস্য এখন আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে।
খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পূর্বধলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজনীন আখতার বলেন, “খবর পেয়ে আমরা বিশকাকুনি ইউনিয়নের তহশিলদারকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছিলাম। তিনি জানিয়েছেন, জমিটি ব্যক্তি মালিকানাধীন নয়, খাস খতিয়ানভুক্ত।”
পূর্বধলা থানার ওসি (তদন্ত) মিন্টু দে বলেন, “ঘরবাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগটি সত্য। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী অনিল রবি দাস বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।”
সজিব