
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা পরিষদের ডরমেটরি (মহিলা) কোয়াটার থেকে পাপিয়া দত্ত (৩০) নামে এক সমাজসেবা কর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৫ মে) রাত ৯ টার দিকে মহম্মদপুর থানা পুলিশ এ লাশ উদ্ধার করেন।
পাপিয়া দত্ত মহম্মদপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসে শিশু সুরক্ষা সমাজকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ডরমেটরিতে বসবাসরত আনসার ভিডিপির উপজেলা প্রশিক্ষক স্বপ্না দত্ত বলেন, তিনি রাতে পাপিয়াকে একটি কাগজ দেবার জন্য ভবনের দোতলা থেকে নিচতলায় আসেন। দরজা ভেতর থেকে বন্ধ থাকায় তাকে ডাকাডাকি করতে থাকে। ভেতর থেকে কোন সাড়া শব্দ না পাওয়ার পর দরজা জোরে জোরে থাবা দিলে হঠাৎ দরজা খুলে যায়। পরে তাকে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে তিনি তার অফিসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেন। লাশের শর্রীরের বিভিন্ন স্থানে আগুনে পোড়ানো ছ্যাকা ক্ষতচিহ্ন রয়েছে বলে দেখা যায়।
পাপিয়া দত্ত একাই একটি কক্ষে থকতেন। তার স্বামী মিঠুন ধর পপুলার ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে খুলনায় কর্মরত আছেন। তাদের একমাত্র মেয়ে লেখাপড়ার জন্য সেখানে বাবার সঙ্গেই থাকেন। মৃত্যুটি রহস্যজনক বলে ধারনা করছেন স্থানীয় সাধারন জনতা ও সচেতনমহল।
পাপিয়া দত্ত খুলনা দৌলতপুরের বাবলা গ্রামের বাসিন্দা।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. আব্দুর রব বলেন, পাপিয়া দত্ত একজন পরিশ্রমী সমাজকর্মী ছিলেন । তিনি একটি রুমে একাই থাকতেন তবে কেন যে সে মারা গেলেন তার সঠিক কারণ এখনও জানা সম্ভব হয়নি।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, উপজেলা পরিষদের ডরমেটরি মহিলা কোয়াটার থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে বলে তিনি আরো জানান।
রিফাত