
ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
ভারত ট্রানজিট সুবিধা হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়ায় বাংলাদেশ রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে বিমানবন্দরগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। দ্রুততার সঙ্গে সিলেট বিমানবন্দর দিয়ে কার্গো চালুর পর এখন চট্টগ্রাম বিমানবন্দরকেও কার্গোর জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। ঢাকায়ও বাড়ানো হয়েছে সক্ষমতা। এ তিন বিমানবন্দর পূর্ণভাবে চালুর পর দেশের সব কার্গোই সামলানো সম্ভব হবে। ভারতের নেওয়া সিদ্ধান্ত প্রথমে অভিশাপ মনে হলেও এখন তা আশীর্বাদে পরিণত হয়েছে বলে মনে করছেন দেশের কার্গো ফ্রেইটের সভাপতি কবীর আহমেদ।
তিনি বলেন, এক সময় ভারত থেকে গরু আসত। তখন কোরবানির গরুর জন্য ভারতের ওপর নির্ভর করতে হতো। কিন্তু ভারত সেটা বন্ধ করে দেওয়ায় দেশ এখন গরু উৎপাদনে সক্ষম হয়েছে। দেশীয় গরু দিয়েই চাহিদা মিটানো হচ্ছে। একইভাবে কার্গোতেও চাহিদা মেটানোর জন্য পূর্ণ সক্ষম করে তোলা হচ্ছে দেশের তিন বিমানবন্দরকে (ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম)। এজন্য প্রথমেই চালু করা হয়েছে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তজার্তিক বিমানবন্দরও প্রস্তুত কার্গো পরিবহনে। আগামী দুমাসের মধ্যেই এখান থেকে কার্র্গো পাঠানো শুরু করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি বিদ্যমান ঢাকার শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমানবন্দরকে আরও গতিশীল করা হয়েছে। এজন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দরে ল্যান্ডিং, পার্কিং ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং চার্জ কমানোর জোর উদ্যোগ নিয়েছে, যা একটা যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে আমরা মনে করছি।
বছর চারেক আগে করোনা মহামারির সময় ঢাকার পাশাপাশি ভারত দিয়ে কার্গো পাঠানো হতো বাংলাদেশ থেকে। তখন রপ্তানিরকারকদের যুক্তি ও অভিযোগ ছিল -ঢাকা এয়ারপোর্ট দিয়ে চাহিদা মোতাবেক কার্গো পাঠানোর সক্ষমতা ছিল না, আবার ব্যয়ও বেশি। সে তুলনায় ঢাকা থেকে সড়কপথে বেনাপোল হয়ে কলকাতা ও দিল্লী এয়ারপোর্ট দিয়ে সারা দুনিয়ায় কার্গো পাঠানো বেশ লাভজনক ও সুবিধাজনক। বারবার ব্যবসায়ীরা দাবি জানালেও বেবিচক উচ্চ চার্জ কমানোর কোনো উদ্যোগ নেয়নি। কিন্তু ভারত হঠাৎ তাদের স্থলবন্দর দিয়ে ঢাকা থেকে কার্গো ট্রান্সশিমেন্ট বন্ধ ঘোষণা করায় বর্তমান সরকার বিকল্প পন্থায় কার্র্গো পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়। তারই অংশ হিসেবে মাত্র দুমাসের মাথায় সিলেট এয়ারপোর্ট দিয়ে কার্গো পাঠানো শুরু করে। তারপর এখন চট্টগ্রাম এয়ারপোর্টকেও কার্গোর জন্য পূর্ণ প্রস্তুত করা হচ্ছে।
সর্বশেষ জানা গেছে, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বহির্বিশ্বে সরাসরি গার্মেন্টস পণ্য পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এখান থেকে চীন, ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে সরাসরি পাঠানো যাবে। সেভাবেই সক্ষম করে তোলা হচ্ছে। এ বিমানবন্দরে ২৭০ টন ধারণক্ষমতার একটি কার্গো স্টেশন প্রস্তুত করা হয়েছে। পাশাপাশি দুটি আধুনিক স্ক্যানিং এবং একটি ওজন মাপার যন্ত্র সচল করা হয়েছে। আরও দুটি ইডিএস বসানোর প্রক্রিয়া চলছে।
জানতে চাইলে বেবিচক চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল কবীর ভুইঞা বলেন, আপনারা জানেন শাহ আমানত বিমানবন্দরের কার্গো শেডে ২৫০ টন আমদানি এবং ২০ টন রপ্তানি পণ্যের ধারণক্ষমতা এখনই আছে। ২০২২ সাল থেকে বিমানবন্দরে আমদানি কার্গো ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে। তবে যাত্রী ফ্লাইটে সীমিত আকারে পণ্য আমদানি-রপ্তানি হচ্ছে। বিমানবন্দরের কার্গো স্টেশনটি অনেকটাই অব্যবহৃত অবস্থায় পড়েছিল। সম্প্রতি নতুন করে সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন সপ্তাহে বড় দুটি কার্গো ফ্লাইট এলেও তার পণ্য হ্যান্ডলিং করতে সক্ষম হবে স্টেশনটি।
তিনি বলেন, আমাদের টার্গেট আগামী দেড় মাসের মধ্যেই শাহ আমানত দিয়ে কার্গো উদ্বোধন করার। সেভাবেই প্রস্তুতি চলছে। এজন্য দুটি ইডিএস বসানো হচ্ছে। আগামী ২৮ মে-এর অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে। এ বিমানবন্দরকে আমরা রিজিওনাল কার্গো হাব হিসেবে গড়ে তুলব। এজন্য ইতোমধ্যে এখানকার সবচেয়ে বড় ইপিজেড ইয়াংগুন কোম্পানির সঙ্গে সফল আলোচনা হয়েছে। তারা এখানকার তৈরি পণ্য পূর্ব কুনমিং পশ্চিমে সেন্ট্রাল এশিয়া হয়ে গড়ে তুলবে বিশেষ সংযোগ। মোটকথা, ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট দিয়েই দেশের সব কার্গো সামলানো হবে।
শাহ আমানতে সর্বশেষ প্রস্তুতি সম্পর্কে বেবিচক জানিয়েছে, এখানে কোল্ডস্টোরেজ নির্মাণ, কার্গো উইং মেশিন কেনা এবং আধুনিক প্রযুক্তি সংযোজন করা হচ্ছে। পাশাপাশি জার্মানির এয়ারপোর্ট কনসাল্টিং পার্টনার জিএমবিএইচ কর্তৃক বিমানবন্দরের জন্য একটি আধুনিক মহাপরিকল্পনাও প্রণয়নের কাজ এগিয়ে চলেছে। এখানকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, চট্টগ্রামে চারশতাধিক পোশাক কারখানা এবং ইপিজেডগুলো এতদিন আকাশপথে পণ্য পরিবহনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল। ফলে রপ্তানির জন্য পণ্য ঢাকা বিমানবন্দরে পাঠাতে হতো।
উল্লেখ্য, এক সময় চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে থাই এয়ার এশিয়া, সিল্ক এয়ার, কুয়েত এয়ার, ইতিহাদ এয়ারওয়েজ, এমিরেটস এয়ারলাইনসের কার্গো ফ্লাইট চলাচল করত। সবশেষ ২০২২ সাল পর্যন্ত দুটি কার্গো ফ্লাইট চালু ছিল। চাহিদা অনুযায়ী পণ্য না পাওয়ায় ওই বছর ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর থেকে যাত্রী ফ্লাইটে সীমিত আকারে পণ্য আমদানি-রপ্তানি হচ্ছে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ফ্র্রেইট ফরোয়ার্ড কার্গো অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কবীর আহমেদ বলেন, আমরা কার্গো পরিবহনে সক্ষম হবো। যেভাবে বর্তমান বিমান উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন ও বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মঞ্জুুরুল কবীর ভুইঞা জোর উদ্যোগ নিয়েছেন, তাতে খুব শিগগিরই আমরা কার্গো পরিবহনেও সামলম্বী হবো। দেশের সব কার্র্গো সামলাবে এই তিন এয়ারপোর্ট। আসলে ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল হওয়ার বিষয়টি আমাদের জন্য ইতিবাচক। এতে আমরা আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠতে পারব। যেভাবে গরু উৎপাদনে স্বাবলম্বী হয়েছি।
তিনি বলেন, শাহ আমানত থেকে যদি সরাসরি ইউরোপ বা আমেরিকায় আকাশপথে পণ্য পরিবহন সম্ভব হয় তাতে কার্গো পরিবহনে গতি যেমন বাড়বে, তেমনি সময় ও অর্থ দুটিই সাশ্রয় হবে। কার্গো ফ্লাইট চালু করার জন্য এখনই গুরুত্বপূর্ণ সময়। চট্টগ্রাম থেকে কার্গো ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ অবশ্যই ইতিবাচক। এতদিন যেসব ব্যবসায়ী ঢাকা থেকে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করতেন তারা এখন চট্টগ্রামে এই সুবিধা পাবেন। এতে সময়, অর্থ দুটিই সাশ্রয় হবে। এমন বাস্তবতা থেকেই সিভিল এভিয়েশান অবকাঠামোগত সংস্কার ও উন্নতির পাশাপাশি বিভিন্ন চার্জও কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। যা ছিল দীর্ঘ দিনের দাবি।
উল্লেখ্য, কার্র্গো ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ছিল ঢাকা থেকে আকাশপথে পণ্য পরিবহন পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল। যে কারণে কার্গো ব্যবসায়ীরা বিকল্প পথে ভারত দিয়ে পণ্য পাঠাত। কিন্তু বর্তমান সরকারের উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন এ বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে সব ধরনের চার্জ কমানোর নির্দেশ প্রদান করেন। বেবিচক চেয়ারম্যানও সেটা গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করে একটি সুপারিশমালা তৈরি করেন। গত সোমবার বিষয়টি নিয়ে একটি প্রস্তাবনা বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাবনা তৈরি হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সঙ্গে যৌথভাবে, যারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একমাত্র গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দিয়ে থাকে।
মূল লক্ষ্য হলো ভারতের ট্রানজিট বন্ধের প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করা। এ বিষয়ে বাণিজ্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন বিষয়ক উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বলেন, ভারতের সিদ্ধান্তের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরা কার্গো ব্যয় কমাতে বদ্ধপরিকর এবং ভারতের চেয়েও আমাদের সেবা আরও প্রতিযোগিতামূলক করব।
বর্তমানে ঢাকায় প্রতি কেজি কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে চার্জ পড়ে প্রায় ০ দশমিক ২৯ ডলার, যা ভারতের দিল্লির ০ দশমিক ০৫ ডলারের তুলনায় ছয় গুণ বেশি। পাশাপাশি জেট ফুয়েলের দামও ভারতের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি। এই ব্যয়ের চাপ রপ্তানিকারকদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।
এ বিষয়ে একমত পোষণ করে বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবির ভূঁইয়া বলেন, কার্গো হ্যান্ডলিং খরচ কমাতে বিদ্যমান ট্যারিফ পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে। খুব শিগগিরই নতুন হারে চার্জ ঘোষণা করা হবে। বর্তমানে শাহজালালের কার্গো ভিলেজ দৈনিক ৩০০ টন হ্যান্ডলিং সক্ষমতার জন্য পরিকল্পিত হলেও বাস্তবে সেখানে প্রায় ১,২০০ টন পর্যন্ত কার্গো পরিচালনা করা হচ্ছে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত জনবল নিয়োগসহ অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে।
এর আগে গত মাসে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পূর্ণাঙ্গ কার্গো অপারেশন চালু হয়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারেও একই কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। শুল্ক খালাস প্রক্রিয়াও দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো একসঙ্গে কাজ করছে। শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল চালুর মাধ্যমে কার্গো হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বর্তমান ২ লাখ টন থেকে বেড়ে বছরে ৫ লাখ ৪৬ হাজার টনে উন্নীত হবে। এই টার্মিনালে আধুনিক অটোমেশন প্রযুক্তিসহ ৩৬ হাজার বর্গমিটারের একটি কার্গো জোন থাকবে, যাতে স্টোরেজ সংকট কাটবে।
বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কবীর আহমেদ জানান, প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৬০০ টন গার্মেন্টস পণ্য ভারতের মাধ্যমে রপ্তানি হতো, যা এখন পুরোপুরি বন্ধ। তবে জেট ফুয়েলের সাম্প্রতিক মূল্য হ্রাস ও অন্যান্য চার্জ কমানোর ঘোষণায় স্বস্তিও ফিরেছে রপ্তানিকারকদের। এভাবেই ভারতের ট্রানজিট বন্ধের ঘটনাকে সংকট হিসেবে নয়, বরং একটি সম্ভাবনা হিসেবে দেখতে হবে। এটি বাংলাদেশের জন্য নিজস্ব এয়ার কার্গো হাব গড়ে তোলার সুবর্ণ সুযোগ। এ সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। সে জন্যই আগামী দুমাসের মধ্যেই কার্গো চালু হচ্ছে শাহ আমানত এয়ারপোর্ট দিয়ে।
এদিকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জনপ্রিয় বিমান সংস্থা এয়ার এরাবিয়া। একইসঙ্গে কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হলে সেখান থেকেও ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে সংস্থাটির।
সম্প্রতি বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়ার সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে এয়ার এরাবিয়ার রিজিওনাল হেড রাজেশ নারলা এসব আগ্রহের কথা জানান। বেবিচক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে উভয়পক্ষ এভিয়েশন খাতে বিদ্যমান সহযোগিতা, যাত্রীসেবার মানোন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় বেবিচক চেয়ারম্যান স্বল্প সময়ের মধ্যে সিলেট থেকে এয়ার এরাবিয়ার ফ্লাইট পরিচালনার অনুরোধ জানান। একইসঙ্গে তিনি কক্সবাজার বিমানবন্দর অচিরেই আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হচ্ছে বলে জানান এবং সেখান থেকেও ফ্লাইট চালুর বিষয়ে উদ্যোগ নিতে এয়ার এরাবিয়াকে আহ্বান জানান। এর জবাব রাজেশ নারুলা জানান, সিলেট থেকে ফ্লাইট চালু করতে তারা আগ্রহী এবং কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক মানে উন্নয়ন সম্পন্ন হলে সেখান থেকেও অচিরেই ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।