
ছবি: জনকণ্ঠ
গোবিন্দগঞ্জে বন্ধুর বউকে ভাগিয়ে এনে বিয়ে না করেই দু’বছর সংসার করা সেই গ্রামপুলিশ সদস্য সরকারি বিবাহ রেজিস্ট্্রারের কাছে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করতে বাধ্য হলেন। ঘটনার শিকার ওই নারী তিলকচাঁন রবিদাস নামের ওই গ্রামপুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় অভিযোগের পর থানা পুলিশের মধ্যস্থতায় গত মঙ্গলবার (২০ মে) সন্ধ্যায় গোবিন্দগঞ্জ হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রার অফিসে এ বিয়ে সম্পন্ন হয়। উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের গ্রামপুলিশ পদে কর্মরত তিলকচাঁন ওই ইউনিয়নের ডুমুরগাছা গ্রামের রামপতি রবিদাসের পুত্র।
এর আগে গত ১৫ মে দৈনিক জনকণ্ঠসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ওই গ্রামপুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বন্ধুর বউকে ভাগিয়ে এনে দুই বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়। ঘটনার শিকার ওই নারী সন্ধ্যা রানীর (৩০) গোবিন্দগঞ্জ থানায় করা অভিযোগের প্রেক্ষীতে থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন করে ধর্মীয় রীতি-নীতি অনুযায়ী সামাজিক স্বীকৃতি ফিরে পান তিনি। গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রার শ্রী সাগর চন্দ্র বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সন্ধ্যা রানীর সাথে তিলকচাঁন রবিদাসের এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ধার্য্যে বিবাহ নিবন্ধনসহ এবং মালাবদলসহ ধর্মীয় রীতি-নীতি ও যাবতীয় আচার অনুযায়ী বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য, রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার খাসতালুক গ্রামের জনৈক ভীম বাবুর সাথে বন্ধুত্বের সূত্রে ওই বাড়িতে যাতায়াতের এক পর্যায়ে ২০২৩ সালের ৯ জুন মধ্যরাতে তার স্ত্রী সন্ধ্যা রানীকে ভাগিয়ে নিয়ে একটি ভাড়া বাড়িতে তোলেন তিলকচাঁন। সেখানে প্রায় দুই বছর সংসার করলেও তাকে বিয়ে না করে নানা তালবাহানায় দিন পার করছিলেন তিনি। এ কারণে নিরুপায় হয়ে গত ১৪ মে সন্ধ্যা রানী নামের ওই নারী গোবিন্দগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করলে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থানা পুলিশের মধ্যস্থতায় এ বিয়ের ঘটনা ঘটেছে।
এসইউ