ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৯ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কসবা-আখাউড়া আসনে জামায়াতের প্রার্থী আতাউর

অনলাইন রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:২৯, ১৮ মে ২০২৫; আপডেট: ২৩:৫৩, ১৮ মে ২০২৫

কসবা-আখাউড়া আসনে জামায়াতের প্রার্থী আতাউর

ছবি: জনকণ্ঠ

মু. আতাউর রহমান সরকারকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

শনিবার (১৭ মে) ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক ইউনিয়ন ও দায়িত্বশীল সমাবেশে দলের প্রার্থী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করেন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম।

সাবেক এই ছাত্রনেতা বর্তমানে ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও প্রচার-মিডিয়া সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি লেখালেখি, সাংবাদিকতা ও সমাজসেবায় অবদান রাখছেন তিনি। তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে অনার্স-মাস্টার্স এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করে সাংবাদিকতা পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করেন। বর্তমানে একটি নিউজ পোর্টালের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। প্রার্থিতা ঘোষণার পর স্থানীয় পর্যায়ে দলীয় নেতা-কর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।

শিক্ষা জীবন ও রাজনৈতিক পথচলা
আতাউর রহমান সরকার ছাত্রজীবনের শুরু থেকেই ইসলামী আন্দোলনের পথে হাঁটেন। কদমে কদমে ইসলামের মর্ম উপলব্ধি করেন তিনি। ইসলামী আন্দোলন ও প্রচলিত রাজনীতির ফারাক তার জীবনে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনে দেয়। তিনি বিশ্বাস করেন, রাজনীতিতে ইসলামের পরিপালন ছাড়া ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ সম্ভব নয়। সেই চেতনা ধারণ করেই তিনি বি.এ (অনার্স), এম.এ, কামিল, পিজিডিএস (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), এলএল.বি (অনার্স) সম্পন্ন করেন এবং গঠনমূলক ছাত্ররাজনীতিতে যুক্ত হন।

ছাত্রজীবনে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন
একাডেমিক সফলতার পাশাপাশি তিনি ইসলামী আন্দোলনের কর্মী হিসেবে সংগঠনের বিভিন্ন দায়িত্ব সফলতার সঙ্গে পালন করেন। ২০১১ সালে তিনি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি কেন্দ্রীয় প্রচার, আইটি ও তথ্য-গবেষণা সম্পাদক (২০১০), কেন্দ্রীয় স্কুল সম্পাদক (২০০৯), কুমিল্লা মহানগরী সভাপতি (২০০৭-২০০৮), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি (২০০৫-২০০৬), কুমিল্লা মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক (২০০৪), কোটবাড়ি অঞ্চল সভাপতি (২০০২-২০০৩), এবং কসবা উপজেলা শাখার সভাপতি (২০০১) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সামাজিক কাজ
রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি আর্তমানবতার কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রাখার প্রয়াস ছিল তার সব সময়ই। এই লক্ষ্যে তিনি সামাজিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ইতিবাচক পরিবর্তনের লক্ষ্যে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি কসবা মহিলা মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি, কারওয়ান বাজার শাহী জামে মসজিদ ও মাদ্রাসার সিনিয়র সহ-সভাপতি, দারুল ইসলাম ট্রাস্টের নির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন সদস্য, আব্দুল মান্নান মতি মেম্বার ফাউন্ডেশন ও আলোকিত সমাজ উন্নয়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য, ফালাহ ই আম ট্রাস্ট ও বিপিএল’র নির্বাহী সদস্য। এছাড়া ঢাকাস্থ বি-বাড়ীয়া ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক এবং কুমিল্লাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টুডেন্ট ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

ছাত্র ও জাতীয় রাজনীতিতে অবদান
প্রিয় জন্মভূমির কল্যাণে জাতীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে অবদান রাখার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন আতাউর রহমান সরকার। ২০০০ সালে তিনি বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের কসবা উপজেলা শাখার সদস্য হিসেবে কাজ করেন। ১৯৯৯ সালে কসবায় গ্যাস বাস্তবায়ন পরিষদের সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের সদস্য সচিব (২০০৫-২০০৬), কুমিল্লা জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক (২০০৭-২০০৮), জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তরের হাতিরঝিল-রমনা থানা আমির (২০১৭-২০২২) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বর্তমানে তিনি ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য এবং প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ১৯৯৮ সালে কসবায়, ২০১০, ২০১৬ ও ২০২১ সালে ঢাকায় ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সময় দেড় বছর কারারুদ্ধ ছিলেন।

জারিফ/শহীদ

×