ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৯ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

লোকসান গুনতে হবে কৃষকদের

রাজারহাটে তিস্তার পানি বেড়ে তলিয়ে গেছে রবিশস্য

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম

প্রকাশিত: ২২:০৬, ১৮ মে ২০২৫

রাজারহাটে তিস্তার পানি বেড়ে তলিয়ে গেছে রবিশস্য

পানি বেড়ে যাওয়ায় ডুবে গেছে চরাঞ্চলের ফসলের খেত

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে হঠাৎ করে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ডুবে গেছে চরাঞ্চলের ফসলে ক্ষেত। ফলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। ধারদেনা করে বাদামসহ রবিসশ্য চাষ করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে পানি বেড়ে যাওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে ডুবে যাওয়া ক্ষেতের অপরিপক্ব বাদাম তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। আলুর পর বাদামেও মারাত্মক ক্ষতির মুখে লোকসান গুনতে হবে কৃষকদের।  
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রবিবার সকালে উপজেলার বিদ্যানন্দ ও ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর পানি বেড়ে গিয়ে চরাঞ্চল ডুবে গেছে। কৃষকরা তাদের অপরিপক্ব বাদাম মরিচসহ বেশ কয়েকটি ফসল পানি থেকে টেনে তুলছেন। ভারতের গজলডোবা দিয়ে পাহাড়ি ঢল নেমে আসায়  এ অঞ্চলে পানি বেড়ে যায় বলে চরাঞ্চলবাসী জানান। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে তিস্তা নদীর জেগে ওঠা চরে চিনাবাদম ১৭৫ হেক্টর, পাট ২০ হেক্টর,  মরিচ ৩ হেক্টর, শাক-সবজি ৫ হেক্টরসহ চাষাবাদ করা হয়। কিন্তু পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের মাঝারি- ভারি বৃষ্টি হওয়ায় তিস্তা নদীর পানি বেড়ে গিয়ে এসব রবিশস্য পানিতে তলিয়ে গেছে।
উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চর বিদ্যানন্দ গ্রামের কৃষক মাঈদুল ইসলামের ৬ একর জমির চিনা বাদাম, সরিফুল ইসলামের ২ একর জমির চিনা বাদাম, আব্দুল কাদেরের ৩ একর জমির চিনা বাদাম, আব্দুল জলিলের ৫একর জমির চিনা বাদাম, বাতেন মিয়ার ১০একর জমির চিনা বাদাম, রহিদুল ইসলামের ১ একর জমির চিনা বাদাম, সাইদুল ইসলামের দেড় একর জমির চিনা বাদাম, লতিফ মিয়ার ৪ একর জমির চিনা বাদাম, ওমর আলীর ৩ একর জমির চিনা বাদাম ও আবুল কালামের ১ একর জমির চিনা বাদাম তলিয়ে গেছে। তারা পরিবার পরিজন নিয়ে তলিয়ে যাওয়া চিনা বাদাম উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কৃষক মাঈদুল ইসলাম বলেন, ধারদেনা করে ৬ একর জমিতে বাদাম চাষ করেছি। রাক্ষুসী তিস্তা গ্রাস করে নিল। শুধু মাঈদুল ইসলাম নন, চরের অনেকই ধারদেনা করে চাষাবাদ করেছেন। বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় তারা কিভাবে  দেনা পরিশোধ করবেন সে আশঙ্কায় রয়েছেন।
রাজারহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুরন্নাহার সাথী বলেন, হঠাৎ করে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলার বিদ্যানন্দ ও ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের নামার চর কিছুটা ডুবে গেছে। কৃষকদের উঠতি বাদাম তোলার পরামর্শ দিয়েছি। দ্রুত পানি কমে গেলে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হবে না।

প্যানেল

×