দীর্ঘ ১৭ বছর পর অনুষ্ঠিত হলো মোংলা উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন। এই রাজনৈতিক উৎসবে ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন নতুন নেতৃত্ব। সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল মান্নান হাওলাদার এবং সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন আবু হোসেন হাওলাদার (পনি)।
মোংলার মিঠাখালী ইউনিয়নের টাটিবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় সংগীত, দলীয় সংগীত এবং পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু হয় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা। এরপর দুপুর ১২টা থেকে দ্বিতীয় অধিবেশনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলে।
ভোট গণনা শুরু হয় বিকেল সাড়ে ৪টায় এবং সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম গোরা ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। ৪২৬ জন ভোটারের মধ্যে ৪২৩ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। সভাপতি পদে আব্দুল মান্নান হাওলাদার ২৩০ ভোট এবং সাধারণ সম্পাদক পদে আবু হোসেন হাওলাদার পনি ১৯০ ভোট পান।
প্রথম সাংগঠনিক সম্পাদক পদে শেখ শাকির আহাম্মেদ ১৯৫ ভোট এবং দ্বিতীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মৃধা ফারুকুল ইসলাম ১৯৩ ভোট পান।
আব্দুল মান্নান পূর্বে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ছিলেন এবং পনি ছিলেন যুবদলের সাবেক সভাপতি।
প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক এস. এম. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।
তিনি বলেন, “১৭ বছর পর নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে একত্রিত হয়েছেন। সকল বাধা অতিক্রম করে গণতান্ত্রিকভাবে নেতা নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।”
অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ড, বাগেরহাট জেলা আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার এ টি এম আকরাম হোসেন তালিম, সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর রহমান আলম, কেন্দ্রীয় নেতা শামিমুর রহমান শামিম, আয়েশা সিদ্দিকা মনি, কামরুল ইসলাম গোরা, ডা. শেখ ফরিদুল ইসলামসহ জেলা ও পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
নবনির্বাচিত কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ১০১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুরো স্কুল মাঠজুড়ে ছিল নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি। বিজয়ীদের বিজয়মাল্য পরিয়ে বরণ করে নেন দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা।
নুসরাত
