ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২

সাসপেন্ড হয়েও অফিস করছেন বিএমডিএ’র প্রকৌশলী !

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী

প্রকাশিত: ১৮:৪৩, ৭ মে ২০২৫

সাসপেন্ড হয়েও অফিস করছেন বিএমডিএ’র প্রকৌশলী !

ছবি: সাসপেন্ড সত্তেও অফিস করছেন বিএমডিএ সহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ

সাসপেন্ড হওয়ার পরও রীতিমত অফিস করছেন রাজশাহীস্থ বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) সহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ। প্রতিদিনই বসছেন তার অফিস কক্ষের নির্দিষ্ট চেয়ারে। চাকরিবিধি অনুযায়ী বরখাস্তকারী অফিস করতে না পারলেও বিএমডিএ’র এ কর্মকর্তা ঠিকই অফিস করছেন। এ নিয়ে অফিসে শৃঙ্খলাভঙ্গের শঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালকের চেয়ার দখল করায় সম্প্রতি অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খানকে অবসরে ও দুই প্রকৌশলীকে সাসপেন্ড করে কৃষি মন্ত্রণালয়। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের সাসপেন্ড আদেশ সত্ত্বেও অফিস করছেন আবুল কালাম আজাদ। বিএমডিএর’র নির্বাহী পরিচালক তরিকুল ইসলাম বলেন, চাকরি বিধি অনুযায়ী বরখাস্তকারী কর্মকর্তা অফিস করতে পারে না। আমার জানা মতে তাঁরা কেউ অফিস করছে না। তবুও কেউ যদি অফিসে আসে, তাহলেও সে কাজ করতে পারবে না। আর যদি চাকরি বিধি লংঘন করে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা যায়, বিএমডিএর বদলি হওয়া ইডি শফিকুল ইসলামকে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক হিসাবে বদলি করা হয়। কিন্তু রিলিজ অর্ডার না পাওয়ায় তিনি দফতর ছাড়তে পারছিলেন না। এর মধ্যে ২৩ মার্চ দুপুরে একদল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সঙ্গে নিয়ে ইডির দফতরে ঢুকে পড়েন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খান। তারা তাকে জোরপূর্বক দফতর ত্যাগ করতে বাধ্য করেন। পরে অফিস আদেশ ছাড়াই ইডির চেয়ারে বসে পড়েন জাহাঙ্গীর আলম খান। এ ঘটনার পরপরই কৃষি ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন অতিরিক্ত সচিব শফিকুল ইসলাম। একই ঘটনায় ২৫ মার্চ রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানায় মামলা করেন। সেদিনই কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান এক অফিস আদেশে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খানকে বাধ্যতামূলক অবসর দেন। এ ছাড়া সাময়িক বরখাস্ত করা হয় নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম রেজা ও সহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদকে। পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। কিন্তু কৃষি মন্ত্রণালয়ের আদাশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে তদন্ত কমিটি মাঠে যেতে পারেনি। পরে ৩০ এপ্রিল মন্ত্রণালয়ের আদেশ বহাল রাখেন আপীল বিভাগ। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শিবির আহমেদের অধিনে একটি প্রকল্পে অফিস করছেন আবুল কালাম আজাদ।

গত মঙ্গলবার ও সর্বশেষ বুধবারের তাকে চেয়ারে বসে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। তবে প্রকল্প পরিচালক শিবির আহমেদ বলেন, আবুল কালাম আজাদ অফিসে যাওয়া আসা করে। কিন্তু কোনো কাজ কর্ম করতে দেওয়া হচ্ছে না। বিএমডিএ’র সচিব এনামুল কাদির বলেন, ‘বরখাস্ত কেউ অফিস করতে পারে না। পেশিশক্তি ব্যবহার করে যদি কেউ অফিস করে তাহলে আমাদের কি করার আছে। আমরা তো তাদের সাথে মারামারি করতে পারি না। এ বিষয়ে আমরা অফিসিয়ালি মন্ত্রণালয়কে অবগত করেছি বলে জানান। 

আসিফ

×