ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৩ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২

‘তোমাদের আশীর্বাদের এই শতদল মাথায় রাখি ...’

তাহমিন হক ববী, নীলফামারী

প্রকাশিত: ২১:৩৭, ২ মে ২০২৫

‘তোমাদের আশীর্বাদের এই শতদল মাথায় রাখি ...’

চাকরি জীবনের শেষ বেলায় অতীতকে কাঁদিয়ে দেয়। একটি অধ্যায় শেষ হলো, নতুন এক যাত্রার সূচনায়। চাকরি প্রতিটি দিন ছিল শেখার, বেড়ে ওঠার, ও স্মৃতিতে ভরপুর। সহকর্মী ও শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় বিদায় বেলায় আরও কিছু শিখে গেলাম। আজ তোমাদের  চোখের জল আর ভালোবাসা দেখে বুঝতে পারছি আমার এ দীর্ঘ কর্মজীবন সার্থক হয়েছে। সেইসঙ্গে তিনি বলে উঠেন -তোমাদের আশীর্বাদের, এই শতদল মাথায় রাখি- তোমাদের ভালোবাসার-এই মনিহার বুকে রাখি-এই শতদল মাথায় রাখি ...।
ডোমার উপজেলার নাঠুয়াগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকতার জাহান বিউটি। ৩৮ বছরের কর্মজীবনের শেষ দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা আয়োজন করেছিল এক আবেগঘন বিদায় সংবর্ধনার। বিদায়ের শেষবেলায় তিনি ক্লাসও নিয়েছিলেন। বুধবার ছিল প্রধান শিক্ষক আকতার জাহান বিউটির শেষ কর্মদিবস। স্কুল শেষে বিকেলে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুদীপ চন্দ্র শর্মা। কোমলমতি শিশু ও সহকর্মীরা অঝোরে কেঁদেছেন। উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুদীপ চন্দ্র শর্মা বলেন, তিনি ছিলেন একজন আদর্শ শিক্ষক। সবসময় শিক্ষার্থীদের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। সময়ানুবর্তিতা, আন্তরিকতা ও দায়িত্ববোধের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তিনি। এমন একজন শিক্ষককে বিদায় জানানো যেমন কষ্টের, তেমনি গর্বেরও।
কর্মস্থল থেকে তাকে ফুলে সাজানো একটি রিক্সায় করে সম্মাননা জানিয়ে বিদায় দেওয়া হয়। সহকর্মীরা তাকে রিক্সায় করে বিদ্যালয় থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে তার বাড়ি পৌঁছে দেয়। এ বিদায় দৃশ্য উপস্থিত সবার চোখে জল এনে দেয়। ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও সম্মানের এক অসাধারণ আবহে শেষ হলো একজন আদর্শ শিক্ষকের কর্মজীবনের পথচলা।

প্যানেল

×