রাবেয়া সুলতানা খান
১৯৭১ সালের যুদ্ধকালীন ১১নং সেক্টরের ভারপ্রাপ্ত সেক্টর কমান্ডার সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত বিএনপি নেতা উইং কমান্ডার (অব.) এম হামিদুল্লাহ খানের স্ত্রী রাবেয়া সুলতানা খান (৮০) বার্ধক্যজনিত রোগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি... রাজিউন)।
তিনি দুই ছেলেসহ বহু আত্মীয়স্বজন রেখে গেছেন। রাবেয়া সুলতানা খান ছিলেন দৈনিক জনকণ্ঠের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদের মেজ ভাবি। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। মরহুমার ছোট ছেলে মুরাদ হামিদ খান সানি জানান, বাদ আছর ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড জামে মসজিদে জানাজা শেষে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে স্বামীর কবরের পাশে তাঁকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
রাবেয়া সুলতানা খান ১৯৪৫ সালের ১৯ ডিসেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন নাটোর জেলার অধিবাসী এবং ব্রিটিশ শাসনামলে অবিভক্ত বাংলার মুখ্যসচিব চয়ন উদ্দিন আহমেদের নাতনি এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর মকবুল হোসেনের তৃতীয় কন্যা।
রাবেয়া সুলতানা খানের স্বামী উইং কমান্ডার এম হামিদুল্লাহ খান মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে বিএনপি থেকে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এই সময় স্বামীর পাশে থেকে তিনি এলাকার নানাবিধ কল্যাণকর কাজে অবদান রাখেন। রাবেয়া সুলতানা খানের অনুপ্রেরণায় লৌহজংয়ে মেদিনীম-ল মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বিডিএফ কমান্ডার সেক্টর ১১ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার এম হামিদুল্লাহ খানকে ছায়ার মতো আগলে রেখেছিলেন এই মহীয়সী নারী। মহান মুক্তিযুদ্ধে নানা সাহসিক অবদানের পেছনেও এই নারীর ছিল অনুপ্রেরণা। আর সে কারণেই পাকিস্তান বিমানবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম হামিদুল্লাহ খান ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ পাকিস্তান বিমানবাহিনীর চাকরি পরিত্যাগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।