ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১

ময়মনসিংহে এলজিইডি

সড়ক সংস্কারের কাজ ফেলে লাপাত্তা ঠিকাদার, দুর্ভোগ

​​​​​​​স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: ২১:২১, ২৩ জুন ২০২৪

সড়ক সংস্কারের কাজ ফেলে  লাপাত্তা ঠিকাদার, দুর্ভোগ

সদরের শম্ভুগঞ্জ বোরবর চর সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল

ময়মনসিংহে চার কিলোমিটার সড়কের সংস্কার মেরামত কাজ ফেলে রেখে গত দুই বছর ধরে লাপাত্তা এলজিইডির এক ঠিকাদার। ফলে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের ময়মনসিংহ সদরের শম্ভূগঞ্জ থেকে বোররচর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার সড়কের মাঝপথে এই চার কিলোমিটার সড়ক এলাকাবাসীর জন্য এখন ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চার কিলোমিটার সড়কজুড়ে খানাখন্দ অসংখ্য ছোট বড় গর্তের কারণে দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষ সড়কের পুরোপুরি সুফল পাচ্ছে না। অভিযোগ ঠিকাদার এলজিইডির গাফিলতির কারণেই লক্ষাধিক মানুষ প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ সদর উপজেলার শম্ভূগঞ্জ বাজার থেকে বোররচর পর্যন্ত এলজিইডির ২০ কিলোমিটার সড়কের মাঝপথে চরঈশ্বরদিয়া থেকে জয়বাংলা বাজার পর্যন্ত চার কিলোমিটার সড়কের সংস্কার মেরামত কাজ শুরু হয়েছিল গত ২০২২ সালে। ইটের খোয়া ফেলে সংস্কার কাজ শুরুর পরই লাপাত্তা হয় ঠিকাদার। ফলে গত দুই বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে সড়কের সংস্কার মেরামত কাজ। মাঝপথে সড়কের বেহাল দশায় এলাকাবাসীর ভোগান্তিকে অসহনীয় করে তুলেছে। সবজি কৃষিপণ্য পরিবহনসহ সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছা যাচ্ছে না। বেড়েছে পরিবহন খরচ। প্রতিদিন সড়কের খানাখন্দে পড়ে রাস্তার ওপর বিকল হচ্ছে নানা যানবাহন। সূত্র আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতাভুক্ত শম্ভূগঞ্জ-পরানগঞ্জ-বোররচর সড়কপথে বোররচর, পরানগঞ্জ, সিরতা চরঈশ্বরদিয়াসহ আশপাশের লক্ষাধিক মানুষ ময়মনসিংহে যাতায়াত করে থাকে। গত দুই বছর ধরে সড়কের সংস্কার কাজ পড়ে থাকায় চার কিলোমিটারের বিভিন্ন পয়েন্টে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষায় এসব খানাখন্দে পানি জমি পরিণত হয়েছে মরণফাদে। ময়মনসিংহ সদরে যেতে হয় ঘুরপথে। জরুরি রোগী হাসপাতালে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে। কৃষকদের উৎপাদিত সবজি কৃষিপণ্য পরিবহনও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে ন্যায্য দাম পাচ্ছে না অনেক কৃষক।

স্থানীয়দের অভিযোগ ঠিকাদার এলজিইডির স্থানীয় কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই মানুষের এই ভোগান্তি। ময়মনসিংহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হাসান ইমরান ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, মাত্র চার কিলোমিটার সড়ক সংস্কার কাজ ফেলে রাখায় এলাকার মানুষকে ঘুরপথে ময়মনসিংহ সদরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। প্রসূতিসহ জরুরি রোগী নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যেতেও শঙ্কা কাজ করছে। অথচ দুই বছরেও এলজিইডি এই চার কিলোমিটার সড়ক সংস্কার কাজে আন্তরিকতার প্রমাণ দেখাতে পারেনি। ঠিকাদারের চুক্তিপত্র বাতিল করেই দায় সেরেছে।

নিয়ে এলজিইডির স্থানীয় নির্বাহী প্রকৌশলী এনায়েত কবির ঠিকাদারের গাফিলতির দায় স্বীকার করে জানান, এরই মধ্যে টেন্ডার আহ্বানের পর নতুন ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। কাজ শেষ হলে মানুষের দুর্ভোগ থাকবে না বলে জানান এই নির্বাহী প্রকৌশলী। কবে নাগাদ নতুন করে কাজ শুরু হবে এবং কতদিনের মধ্যে শেষ হবে এই কাজ প্রশ্নে জানান- খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই। সরকারের কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে চার কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের এই কাজ পেয়েছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাদিয়া অ্যান্ড সাদিয়া এন্টারপ্রাইজ। প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার সাইফুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

×