
কেন্দ্রের বাইরে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩টি উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে উৎসমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। তবে ভোলা সদর উপজেলার কয়েকটি স্থানে বিচ্ছিন্ন ভাবে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪ জন আহত হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। প্রভাব বিস্তারের দায়ে ৩ জনকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত ২ জনের ৭ দিনের সাজা দিয়েছেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের রতনপুর বাজার সংলগ্ন রতনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে স্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে আনারস ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় ঘটনা ঘটে।
এ সময় কয়েক ককটেল বিস্ফোরণে ঘটনায় এলাকার ভোটার ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ বিজিবি রেব গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অপর দিকে পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের পাঙ্গাশিয়া গ্ৰামে ভোট কেন্দ্রে আসার সময় ও বাপ্তা ইউনিয়নের চৌদ্দঘর স্কুল এলাকায় মোটরসাইকেল ও আনারস প্রতীকের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদের আহত ৪ জনকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অপরদিকে ভোলার চর সামাইয়া শান্তিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া,ককটেল বিস্ফোরণে ঘটনা ঘটে।
এ সময় প্রভাব বিস্তারের দায়ে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ২ রাউন্ড ফাঁকাগুলি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ২ জনকে ৭ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
ভোলা মডেল থানার ওসি মনির হোসেন মিঞা জানান, খবর পেয়ে তারা শিবপুর ছুটে আসেন। শিবপুরসহ অন্যান্য এলাকায় এখন দুই পক্ষ শান্ত রয়েছে।
এসআর