ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ৩১ মে ২০২৩, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টি

নেত্রকোনায় ব্যাপক ক্ষতি

নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা

প্রকাশিত: ০১:০৬, ৩০ মার্চ ২০২৩

নেত্রকোনায় ব্যাপক ক্ষতি

নেত্রকোনায় মঙ্গলবার রাতের ঝড়ে ভেঙেপড়া বাড়ি ও মধুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত কলা বাগান 

জেলার পূর্বধলা ও সদর উপজেলায় মঙ্গলবার রাতে চারটি ইউনিয়নের ১৮ গ্রামের ওপর দিয়ে প্রবল বেগে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে গেছে। এ সময় ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হয়। এতে আগাম বোরো ফসল ও শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতির পাশাপাশি অন্তত ৮০টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। উপড়ে গেছে বহু গাছপালা।  
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত পৌনে চারটার দিকে পূর্বধলা উপজেলার নারান্দিয়া, গোহালাকান্দা, খলিশাউড় ও সদর উপজেলার মৌগাতি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে যায়। এতে চারটি ইউনয়নের প্রায় ৮শ’ হেক্টর জমির আগাম বোরো ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ধারণা করছে কৃষি বিভাগ। পূর্বধলা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের প্রায় ৭শ’ ১৫ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। গোহালাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাসনাত জামান খান জানান, আধাঘণ্টাব্যাপী ঝড়ে এ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ১৮টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।

সেই সঙ্গে বিধ্বস্ত হয়েছে প্রচুর গাছপালাও। সদর উপজেলার মৌগাতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমার ইউনিয়নের হলুদআটিসহ কয়েকটি গ্রামে ১২টির মতো ঘর ভেঙে গেছে। পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করছেন। তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি জেলা প্রশাসক এবং জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছি।

মধুপুর 
সংবাদদাতা, মধুপুর, টাঙ্গাইল থেকে জানান, মধুপুরের পাহাড়ি অঞ্চলে গত মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড়ে কলা, ভুট্টা, ধান ও বিদ্যালয়ের পাঠাগার সহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছে ওই অঞ্চলের কৃষকেরা। ভেস্তে গেছে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার শোলাকুড়ী ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে ফসলি গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। শোলাকুড়ী এলাকার কৃষক আজাহার আলী জানান, শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ে আমার সাড়ে পাঁচ বিঘা জমির কলার গাছ ও ৪ বিঘা জমির ভুট্টার ফসলসহ গাছ ভেঙে নষ্ট হয়েছে।

শোলাকুড়ী ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী বলেন, আমাদের শোলাকুড়ী ইউনিয়নে ঝড়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষকেরা ক্ষতির মুখে পড়েছে। আমি উপজেলা কৃষি বিভাগকে জানিয়েছি। কৃষকদের সহযোগিতার জন্য কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপির সুদৃষ্টি কামনা করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন রাসেল জানান, এখন মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় কালবৈশাখী ঝড় হচ্ছে। তবে সরকারিভাবে কোনো নির্দেশনা পেলে আমরা কৃষি অফিস থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।