
সাতমাথায় রমজানের শুরুতে যানবাহনের ভিড়
প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে রমজান মাসে এবং ঈদের আগের সময়টায় শহরে যানজট মুক্ত রাখবে। সেই অনুযায়ী শহরে পায়েচালিত রিক্সা, ব্যাটারিচালিত রিক্সা, ইজি বাইক (অটো), মোটর কার, বাস চলাচলে নতুন নিয়ম করা হয়েছে। শহরের ভেতরের সাতমাথায় জিলা স্কুলের সামনের পার্কিং স্পট ছাড়াও কাছের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে পার্কিং স্পট করা হয়েছে। ফুটপাতে সব ধরনের ভ্রাম্যমাণ দোকান ইফতারির দোকান বসানো বন্ধ করে তাদের জন্য শহরের চারটি পয়েন্টে ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এত কিছুর পরও যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণের মধ্যে অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ছে। শহরের যানবাহনের সঙ্গে বাইরের যানবাহন নতুন করে যুক্ত হচ্ছে। এর অন্যতম কারণ, রমজানের শুরুতেই ঈদের আগাম কেনাকাটা করেছে লোকজন। উপজেলাগুলো থেকে তারা আসছে জেলা শহরে। যানবাহনের সংখ্যা বিশেষ করে রিক্সা ও অটো বেড়ে গেছে।
খোঁজখবর করে জানা যায়, বগুড়া শহরের লোকজন ঢাকা থেকে সারছেন। বাকি টুকরো কেনাকাটা করছেন বগুড়া থেকে। তারপরও অনলাইনে কেনাকাটার সুবিধা তো আছে। তবে এখানে কিছুটা বিপত্তিও আছে। এক তরুণী বললেন, মাঝে-মধ্যে অনলাইনের কেনাকাটায় ক্যাটালগে দেখানো হয় একটা পাঠানো হয় আরেকটা। যে কারণে বিপাকে পড়তে হয়।
এক্ষেত্রে ঢাকায় স্বজনদের কাছে হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেঞ্জারে নমুনা পাঠালে তারা কুরিয়ারে পাঠায়। কখনো ঈদের আগে নিয়ে আসে। শহরের লোকদের পাশাপাশি গ্রামে ও উপজেলা পর্যায়ের লোকজন বগুড়া শহরে আসে কেনাকাটার জন্য। উদ্দেশ্য ঈদের আগে দাম আকাশচুম্বি হওয়ার আগেই সাশ্রয়ীমূল্যে কেনাকাটা।
বগুড়ায় গত ক’বছরে কেনাকাটার নতুন নতুন মার্কেট নির্মিত হয়েছে। নবাববাড়ি সড়কের ধারে, শহীদ আব্দুল জব্বার সড়কের দুই ধারে, রোমেনা আফাজ সড়কের দুই ধারে শপিংমল হয়েছে অনেক। একদার নিউমার্কেট কেন্দ্রিক কেনাকাটা ছড়িয়ে পড়েছে নতুন মার্কেট ও শপিংমলের মধ্যে। এ ছাড়াও সাশ্রয়ী কেনাকাটায় স্টেশন রোডের ধারে হকার্স মার্কেট সম্প্রসারিত হয়েছে। যে কারণে রমজানের শুরুটায় বাইরে থেকে লোকজনের অধিক আগমনে যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে।
ভাড়াও বাড়ছে। গ্রাম ও উপজেলা থেকে কেনাকাটার জন্য আসা ক’জনের সঙ্গে কথা বললে জানান, রমজানের পনেরোটা অতিক্রম করলেই কেনাকাটায় সাধারণ মানুষের নাগাল পাওয়া কঠিন হবে। লোকজনের ভিড়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যানবাহনের সংখ্যা। যানজট জট খোলার চেষ্টা হয় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। শহরের ভেতরের তিনটি রেলগেট বন্ধ হলে ওই জট আর সহজে ছাড়ে না। দশ মিনিটের পথ কখনো এক ঘণ্টা। অনেকে হেঁটে চলা শুরু করেন।