ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাল্য বিবাহ বন্ধ করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর

প্রকাশিত: ২০:৩৭, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

বাল্য বিবাহ বন্ধ করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা

বাল্যবিবাহ

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের এক কিশোরীর বিয়ে উপলক্ষে কনের বাড়িতে চলছিল জাঁকজমক অনুষ্ঠান। আয়োজনের কোনো ঘাটতি নেই। বিয়ের অনুষ্ঠান প্রায় শেষের দিকে ছিলো। কনেকেও সাজানোর কাজ শেষ। এমন সময় বিয়ে বাড়ীতে উপস্থিত হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। উপস্থিতি টের পেয়ে বিয়ে বাড়ি থেকে বর ও কনে সহ সবাই পালিয়ে যান। কনের বয়স মাত্র (১৫) ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। 
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২ টা দিকে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের চারাইলদার গ্রামে বাল্যবিবাহ বন্ধ করেন উপজেলা প্রশাসন। 

গ্রামবাসী ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মাহমুদপুর ইউনিয়নের চারাইলদার গ্রামের ৭ম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীর সঙ্গে উপজেলার একটি গ্রামের এক ব্যক্তির বিয়ে ঠিক হয়। বিয়ে উপলক্ষে উভয়ের পরিবার তাঁদের স্বজনদের আমন্ত্রণ জানায়। রাত ১২ টা দিকে বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেলিম মিঞা নিজেই কনের বাড়িতে হাজির হন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বর ও কনে সহ সবাই দৌড়ে পালিয়ে যান। বন্ধ করে দেওয়া হয় বাল্য বিবাহ। 

পরে কনের বাবাকে ডেকে নিয়ে এসে ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দিতে তাঁর কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়। এ বিষয়ে জেলা কমান্ড্যান্ট মো: মিজানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি সদস্যের প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আমরা সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে একটি অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে বাল্যবিবাহের অভিশাপ থেকে বাঁচাতে সফল হই। 

জননিরাপত্তা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে আমাদের এ ধরণের কার্যক্রম অব্যহত থাকবে। মেলান্দহের উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম মিঞা বলেন, আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে উভয় পক্ষের স্বজনেরা পালিয়ে যান। তবে আমরা সঠিক সময়ে গিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছি। বাল্যবিবাহ দেওয়া যাবে না এ মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।

 

এমএস

×