
সড়কে খানাখন্দ। ছবি: জনকণ্ঠ
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভরপাশা ইউনিয়নের প্রাণ কেন্দ্র থেকে বয়ে গেছে আতাকাঠি সড়ক। সড়কটির অপর প্রান্ত মিশেছে বাকেরগঞ্জ-বরগুনা আঞ্চলিক সড়কের সঙ্গে।
সড়কটির আতাকাঠি থেকে পাদ্রীশিপুর গির্জা পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কটির বিভিন্ন স্থানে পিচ-খোয়া উঠে গেছে। ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে।
এখন শুকনো মৌসুমে সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে পথচারীরা ধুলোবালিতে একাকার হয়ে যায়। সড়কটির সমিতি ঘর সংলগ্ন সেতুর সংযোগ সড়কের মুখে বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। এর ওপর দিয়ে হেলে দুলে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন।
আতাকাঠি সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ভরপাশা ইউনিয়নের ৫টি গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন পাদ্রীশিপুরের হাজার হাজার মানুষের চলাচল করছে।
সড়কটি দিয়ে কালিগঞ্জ বাজারের সাপ্তাহিক হাটে এই অঞ্চলের কৃষকদের উৎপাদিত ফসল গবাদিপশু হাঁস-মুরগী বাজারজাতকরণে যাতায়াত করতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাকেরগঞ্জ উপজেলা শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ পাদ্রীশিপুর ইউনিয়নের স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন আসা-যাওয়া করে। জন গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য অটোরিকশা, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, মাহিন্দ্রাসহ নানা ধরনের যানবাহন চলাচল করে।
আতাকাঠি সড়কটি দ্রুত সময়ে সংস্কার করা না হলে বর্ষা মৌসুমে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। এই সড়কে জন দুর্ভোগ চরমে পৌঁছে গেছে।
ভরপাশা ইউনিয়নের অটোরিকশা চালক সোহেল বলেন, গেল ৫ বছর যাবত হাতাকাঠি বিভিন্ন দোকানে পণ্য দিতে আসি। সড়কের সমিতি ঘর হয়ে আতাকাঠি যেতে তিনটি আয়রন ব্রিজ পার হতে হয়।
ব্রীজ তিনটির সংযোগ সড়কে মাটি ডেবে গেছে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় ভাঙনের অধিকাংশ জায়গায় ছোট-বড় গর্ত। খানাখন্দে চাকা পড়লে গাড়ি তোলা দুষ্কর হয়ে যায়। আবার উল্টে যাওয়ার উপক্রম হয়। নাকাল অবস্থা। এই অবস্থায় যানবাহন চালানো খুব কষ্ট হয়।
এমন পরিস্থিতিতে হাতাকাঠি সড়কের বেহাল দশা নিয়ে ভরপাশা ইউনিয়নবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী অবিলম্বে সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা আবুল খায়ের মিয়া জানান, সড়কটি বরিশাল বিভাগের উপজেলা ও ইউনিয়ন রোড উন্নয়ন ও শক্তিশালী প্রকল্পে দেয়া হয়েছে। সড়কটি নতুন করে নির্মাণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।