সংবাদ সম্মেলন করছেন শাশুড়ি। ছবি: জনকণ্ঠ।
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে গারো আদিবাসী পরিবারের মেয়ের জামাই গলিয়াত রেমার অত্যাচার থেকে বাঁচতে তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার শাশুড়ি সনন্দা মানকিন।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারী) উপজেলার ভারত সীমান্তঘেঁষা রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের পানিহাটা-তাড়ানী গ্রামের নিজ বাড়ির আঙ্গিণায় ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। 
সংবাদ সম্মেলনে পরিবার প্রধান শাশুড়ি প্রয়াত মলয় রেমার স্ত্রী সনন্দা মানকিন সংবাদিকদের জানান, তার ঔরসজাত ছয় ছেলে ও সাত কন্যাসহ দীর্ঘদিন যাবত উপজেলার তাড়ানী গ্রামে বসবাস করে আসছেন। একই গ্রামের গলিয়াত রেমার কাছে তার বড় মেয়ে রুমা মানকিনকে বিয়ে দেন। গারোদের মাতৃতান্ত্রিক পরিবার হওয়ায় মা-বাবার সম্পদের ওয়ারিশদার হন কন্যারা। তাই বড় মেয়ে রুমার ইন্দনে তার স্বামী গলিয়াত ওই পরবারে একক আধিপত্য বিস্তার ও সম্পত্তি ভোগদখল করতে চান। পরিবারের জমিজমাসহ সকল অর্থবিত্ত গলিয়াতের একক নিয়ন্ত্রেণে নিতে চাইলে শাশুড়ি, শ্যালক ও শ্যালিকাদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব বাঁধে। এ নিয়ে মাঝে মধ্যেই গলিয়াত তার শাশুড়ি, শ্যালক ও শ্যালিকাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
তিনি জানান, সম্প্রতি এমনই এক ঘটনায় শ্যালিকা রিনা মানকিন, বিচিত্রা মানকিন ও মনীষা মানকিন গুরুতর আহত হন। বর্তমানে আহত রিনা মানকিন নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রায় এক যুগ ধরে মেয়ে জামাই গলিয়াত রেমা নানা অপকর্ম করে আসলেও এর সমাধান পাচ্ছেন না তারা।
সনন্দা আরো জানান, গলিয়াত খুব খারাপ প্রকৃতির লোক। বড় মেয়ের জামাই হওয়া সত্তেও তিনি পরিবারের দেখভাল না করে জমিজমা ও অর্থবিত্ত আত্মসাতের পায়তারা করছেন। গলিয়াত সম্পত্তির লোভে শাশুড়ি, শ্যালক ও শ্যালিকাদের ওপর একাধিকবার হামলায় প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে যাচ্ছেন। ফলে পরিবারে অশান্তি নেমে এসেছে। তাই গলিয়াতের অত্যাচার থেকে বাঁচতে ও পরিবারে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সনন্দার ছেলেমেয়েসহ জামাতারা উপস্থিত ছিলেন। এসময় তারা গলিয়াতের অত্যাচারে আবেগাল্পুত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা গলিয়াতের আধিপত্য ও অত্যাচার থেকে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এমএইচ
