ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চার বছরেও শুরু হয়নি ভবন নির্মাণের কাজ, সাপ আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ও সংবাদদাতা, বাকেরগঞ্জ 

প্রকাশিত: ১৫:০০, ১৮ আগস্ট ২০২২; আপডেট: ২১:২৪, ১৮ আগস্ট ২০২২

চার বছরেও শুরু হয়নি ভবন নির্মাণের কাজ, সাপ আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

মহেশপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভবন

বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নের মধ্য মহেশপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজ চার বছরেও শুরু হয়নি।

নতুন ভবন নির্মাণের মালামাল যত্রতত্রভাবে স্তুপ করে রাখাসহ রাখা হয়েছে। ফলে ওই স্তপের মধ্যে বিষধর সাপ বাসা বেঁধেছে। প্রায়ই ওইসব বিষধর সাপ শ্রেণি কক্ষে ঢুকে পরছে। ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে সাপ আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিগত প্রায় চার বছর আগে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ওই বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন ভেঙে চারতলা ভবন নির্মাণের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়। টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি সম্পন্নের দায়িত্ব পায় মেসার্স হাজী এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ওই প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার কবির শিকদার কাজ শুরু করার নামে বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনটির সিংহভাগ ভেঙে ফেলেন। পাশাপাশি স্কুল প্রাঙ্গণে বড় বড় গর্ত করে মাটি উত্তোলন করেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ভেঙে ফেলা পুরাতন ভবনের মালামাল ও গর্ত খুঁড়ে উত্তোলন করা মাটিতে বিদ্যালয়ের মাঠ ও হাঁটা-চলার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়াও ভেঙে ফেলা পুরাতন ও নতুন ভবন নির্মাণের জন্য মালামাল বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্তুপ করে রাখা হয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এফএম মিজানুর রহমান বলেন, ওইসব স্তুপের মধ্যে বিষধর সাপ বাসা বেঁধেছে। প্রায়ই বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে বিষধর সাপ ঢুকে পরছে। যে কারণে ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান কার্যক্রম। বিষয়টি লিখিতভাবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের পরিচালক মীর মোয়াজ্জেম হোসেনকে অবতিত করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মতিউর রহমান বাদশা বলেন, ২০১৮ সালের ১৬ আগস্ট স্থানীয় সংসদ সদস্য বেগম নাসরিন জাহান রতনা নতুন ভবন নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে পরে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ। ঠিকাদার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেও কোন সুফল মেলেনি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আকমল হোসেন বলেন, নতুন ভবন নির্মানের প্রকল্পটি আমাদের দপ্তর সংশ্লিষ্ট নয়। তারপরেও শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। 

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারি কবির শিকদারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে অসংখ্যবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিফ না করায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এসআর

×