ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২

অবৈধ মজুদ রাখা ১২ হাজার বস্তা সার ও ২টি ট্রাক আটক

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস

প্রকাশিত: ১২:২২, ৮ আগস্ট ২০২২; আপডেট: ১২:২৩, ৮ আগস্ট ২০২২

অবৈধ মজুদ রাখা ১২ হাজার বস্তা সার ও ২টি ট্রাক আটক

অবৈধ মজুদ রাখা ১২ হাজার বস্তা ইউরিয়া সার

বগুড়ার এরুলিয়া এলাকা থেকে অবৈধ ভাবে মজুদ করা বিপুল পরিমান ডিএপিও ইউরিয়া সার আটক হয়েছে। রবিবার রাতে মঞ্জু করিম ট্রেডার্স নামে এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওই গুদামে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় সার ছাড়াও ২টি ট্রাক আটক ও সারের গুদামটি সিলগালা করে দেয়া হয়। আটককৃত সারের পরিমান প্রায় ১২ থেকে ১৫ হাজার বস্তা। 

কালোবাজারে বিক্রির জন্য অবৈধ ভাবে সার মজুদের খবর পেয়ে রাত ১১ টার দিকে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সমর কুমার পালের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালনা করেন। প্রায় রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অভিযান চলে। এসময় সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভুমি) নুরুল ইসলাম ও আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ছিলেন। ইউএনও জানান, মঞ্জু করিম ট্রেডার্সের মালিক নাজমুল পারভেজ কনক নামে কোন সার ডিলার নেই। এই ব্যক্তি অবৈধ ভাবে সার মজুদ করে বগুড়ার বিভিন্ন উপজেলাসহ পাশের নওগাঁ জেলাতেও সার বিক্রি করছিলো। এটি সম্পূর্ণ অবৈধ। স্থানীয় সুত্র জানায়. ওই গোডাউনটিতে আগে কোন সার ছিলো না। সম্প্রতি সেখানে সার মজুদ করা হচ্ছিল। আগে গুদামটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিলো। ইউএনও আরো জানান, এরুলিয়ার গুদামটিতে বেশ কিছুদিন ধরে অবৈধ ভাবে সার মজুদ করে কালোবাজারে বিক্রি করা হচিছল এমন খবর পেয়ে তারা অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় গুদামটিতে ১২ থেকে ১৫ হাজার বস্তা সার পাওয়া গেছে। এছাড়া গুদামের বাইরে দু’টি ট্রাক পাওয়া যায়।এর মধ্যে একটি ট্রাক সার ভর্তি এবং অন্যটি খালি রয়েছে। অবৈধ ভাবে সার মজুদের কারণে গুদামটি সিলগালা এবং ট্রাক ২টি জব্দ করা হয়েছে। সারগুলো কালো বাজারে বিক্রির জন্য মজুদ করা হয়েছিলো। এবিষয়ে নিয়মিত মামলার প্রক্রিয়া চলছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাদী হয়ে এই মামলা করবেন বলে ইউএনও জানান।  তিনি আরো জানান আটককৃত সার দিয়ে বগুড়ার কয়েকটি উপজেলার চাহিদা মেটানো সম্ভব। উল্লেখ্য ডিলারদের মধ্যে সার বরাদ্দের ক্ষেত্রে উপজেলা ভিত্তিক ডিলারের মাধ্যমে বরাদ্দ দেয়া হয়। স্থানীয় সুত্র জানায়, গুদামের মালিক নাজমুল পারভেজ কনক শহরের বড়গোলা এলাকায় ব্যবসা করেন। এই প্রতিষ্ঠানের অবৈধ সার মজুদের গোপন ব্যবস্থা ছিলো এরুলিয়ার ওই গুদাম। সুত্র জানায় শুধু বগুড়া নয়া আশে পাশের কয়েকটি জেলায় এই গুদাম থেকে কালোবাজারে সার পাচার হচ্ছিল। অভিযান পরিচালনার সময় গোডাউনের গেইটম্যান মজিবর রহমান সংবাদ কর্মীদের জানিয়েছেন, এটি আগে খালি ছিলো। গত প্রায় একমাস ধরে সেখানে সার মজুদ করা হচ্ছে। এব্যাপারে বগুড়া জেলা প্রশাসক মোঃ জিয়াউল হক জানান, নিয়মিত সার মনিটরিং ব্যবস্থায় এ ধরনের অভিযান। সারসহ সব ধরনের অবৈধ মজুদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ বিষয়ে বগুড়া ফার্টিলাইজার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল কালাম আজাদ জানান সার মজুদ করে থাকলে তা ভালো নয়।

টিএস

×