বডি, হেডলাইট, ইন্ডিকেটর, রং দেখেই বোঝা যায় গাড়িটি ফিটনেসবিহীন। গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে থাকা চালকদের অনেকেরই নেই ড্রাইভিং লাইন্সেস। কিশোর বয়সেই স্টিয়ারিং ধরে গাড়ি নিয়ে দিনের পর দিন ছুটে বেড়াচ্ছে জনবহুল এই নগরীতে। কখনো কখনো আইন অমান্য করে ট্রাফিক পুলিশের সামনেই চলছে উল্টো পথে। দিনের বেলায় চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও মানা হচ্ছে না নিয়ম। সাইরেন বাজিয়ে যখন যে রাস্তায় মন চাচ্ছে, সে রাস্তায় ঢুকে যাচ্ছে চালক। চালকের কাছে মানুষকে যেন মানুষই মনে হয় না। অন্য গাড়িকেও পাত্তা দেন না তারা। যেন ট্যাংকার নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন নগরীতে। রাজধানীতে এভাবে দানবের মতো চলাচল করছে সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী গাড়িগুলো। চালকদের এরূপ বেপরোয়া ও উগ্র মনোভাবের ফলে সংস্থার গাড়িগুলো দিয়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। গত তিন বছরে ময়লার গাড়ির ধাক্কায় শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, ব্যাংকার, গৃহবধূ, রিক্সাচালকসহ অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। তবু টনক নড়ছে না কর্তৃপক্ষের। বরং সিটি করপোরেশন দায়ী চালকদের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও এর মধ্যে শুভংকরের ফাঁকি রয়েই গেছে।