.
গান আর কথামালায় স্মরণ করা হয় রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সাদি মহম্মদকে। গত ১৩ মার্চ এক সন্ধ্যায় হঠাৎ মৃত্যুর পথ বেছে নেন নন্দিত এই শিল্পী। নিজের দীপ্ত প্রতিভার দ্যুতি ছড়িয়ে দিয়েছেন অসংখ্য শিক্ষার্থীর মাঝে। যারা পরবর্তীতে হয়ে উঠেছেন রবীন্দ্রসংগীতের সফল শিল্পী। ছায়ানটে সেই গুণী গুরুর স্মরণে গান-কথার বিশেষ আয়োজন সাজিয়েছে সাদি মহম্মদেরই গড়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠান রবিরাগ। সন্ধ্যা ৭টায় নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানটি। শুরুতেই বক্তব্য রাখেন রবিরাগের সভাপতি রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী আমিনা আহমেদ। তিনি বলেন, বয়সে সাদি আমার ছোট। অথচ আমাকেই কিনা বিদায় জানাতে হলো ছোট ভাইকে।
অনুষ্ঠানটি সাজানো হয় স্মৃতিচারণার মাঝে মাঝে গান দিয়ে। গান পরিবেশনায় ছিলেন ইফফাত আরা দেওয়ান, ফাহিম হোসেন চোধুরী, ইন্দ্রাণী কর্মকারসহ বেশ কয়েকজন শিল্পী।
অভিমানী কণ্ঠে কাঁদতে কাঁদতে শিবলী মহম্মদ বলেন, সাদি মহম্মদ খুব স্বার্থপর। খুব অন্যায় করে ফেলেছে আমার সঙ্গে। আমি কোনো দিন ক্ষমা করব না তাকে। মা, বড় বোন তো আগেই চলে গেছে। এখন সাদি তাদের কাছে, তাদের আদর পাচ্ছে। অথচ আমি এখানে কত কষ্ট পাচ্ছি। এই জীবন কি জীবন। ও কেন বুঝল না। সবকিছুতে অভিমান করত। কিছু বললেই বাচ্চাদের মতো অভিমান করে ফেলত। একটাবার ভাবল না, ও চলে গেলে আমরা কীভাবে থাকব। শেষদিকে সাদি মহম্মদের সুর করা কালজয়ী গান ‘সে দিন আকাশে মেঘ ছিল’ প্রচার করা হয়। রাত ১১টায় রবিরাগের সদস্যদের সমবেত কণ্ঠে ‘মারের সাগর পাড়ি দেবো’ গানটি পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।