ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

জোট বাঁধছে ইরান-উ. কোরিয়া

প্রকাশিত: ২৩:৩০, ৯ মে ২০২৪

জোট বাঁধছে ইরান-উ. কোরিয়া

.

চীন ও রাশিয়ার মতো পরাশক্তির বাইরে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পরমাণু শক্তিধর দেশ উত্তর কোরিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের সম্ভাব্য পরমাণু শক্তিধর দেশ ইরান। চলমান ভূরাজনৈতিক পরিস্তিতিতে তেহরান ও পিয়ংইয়ং উভয়ই যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী নীতি নিয়ে চলছে। এমন পরিস্থিতিতে দুই দেশের জোট নিয়ে বেশ শঙ্কিত ন্যাটো। শুধু তাই নয় এ দুই দেশের পরমাণু কৌশল নিয়েও বিস্তর আলোচনা চলছে পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে। খবর ডয়েচে ভেলের। খবর ইরনার।
বিশ্ব রাজনীতিতে মার্কিন প্রভাব মোকাবিলায় নিজেদের মধ্যে পরমাণু ও ড্রোনবিষয়ক তথ্য বিনিময় করতে পারে ইরান ও উত্তর কোরিয়া। পাশাপাশি বিশ্ব রাজনীতিতে নিজেকে প্রাসঙ্গিক করে তুলতে রাশিয়া ও চীনের বাইরে নতুন মিত্র খুঁজছে উত্তর কোরিয়া। ফলে মধ্যপ্রাচ্যের প্রবল মার্কিনবিরোধী দেশ ইরানের ওপর আস্থা রাখতে চাইছেন কিম জং উন। সিওলে ইউনিভার্সিটি অব নর্থ কোরিয়া স্টাডিসের অধ্যাপক কিম সুং কিয়ুং জানান, উত্তর কোরিয়া মনে করছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা ও ইরানের পাশে দাঁড়ানোর একটা ভালো সুযোগ তাদের সামনে এসেছে। পাশাপাশি তেহরানের কাছে অস্ত্র ও সামরিক প্রযুক্তি বিক্রি করার একটা সুযোগও পাওয়া গেছে বলে মনে করছে পিয়ংইয়ং। দুই দেশের ওপরই পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, যার মধ্যেই কিছুটা আর্থিক সুবিধা পেতে চাইছে উত্তর কোরিয়া। 
গত এপ্রিলে ইরানে একটি উচ্চ পর্যায়ের বাণিজ্য ও আর্থিক প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। এর আগে ২০১৯ সালে একই ধরনের প্রতিনিধি দল পাঠায় পিয়ংইয়ং। এসব সফরে দুই দেশের মধ্যে কোনো সমঝোতা হয়েছে কিনা, তা নিয়ে দুই দেশই মুখ বন্ধ রেখেছে। তবে সামরিক প্রযুক্তি, পরমাণু অস্ত্র ও ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে কথা হয়েছে বলে জল্পনা চলছে। ট্রয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিওল ক্যাম্পাসের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক ড্যানিয়েল পিংকস্টন জানান, তেহরান ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক আছে। এদের মধ্যে একটি ধর্মতান্ত্রিক ইসলামিক দেশ এবং অপরটি এক নেতা-ভিত্তিক কমিউনিস্ট দেশ হলেও দুই জায়গাতেই কর্তৃত্ববাদী শাসন রয়েছে। দুই দেশই যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী। 

×