ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

কন্সটানটাইন কাফাভির কবিতা

ভূমিকা ও অনুবাদ : তূয়া নূর

প্রকাশিত: ২১:৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

কন্সটানটাইন কাফাভির কবিতা

তূয়া নূর

কন্সটানটাইন কাফাভি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম খ্যাতনামা গ্রীক কবি। লেখায় স্বকীয়তার জন্য পাশ্চাত্যের জগতেও তিনি খ্যাতি লাভ করেন। তার জন্ম মিসরের আলেক্সান্দ্রিয়ায় ২৯ এপ্রিল ১৮৬৩ সালে, যেখানে তার গ্রীক মা-বাবা বসতি গড়েন। এই পরিবার পরে ইংল্যান্ডের লিভারপুলে চলে আসে। এই সময়ে তিনি কবি উইলিয়াম শেক্সপিয়ার ও অস্কার ওয়াইল্ডের লেখার সঙ্গে পরিচিত হন।

তারা ফিরে আসেন আলেক্সান্দ্রিয়ায় যেখানে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত বসবাস করেন। বিপদের আশঙ্কা বুঝতে পেরে তার মা পরিবার নিয়ে ফিরে আসেন তুরস্কের কন্সটান্টিনোপলে। ব্রিটিশ যখন বোমাবর্ষণ করে আলেক্সান্দ্রিয়ায় তখন তাদের বাড়িও রেহাই পায়নি। সেই সময় পুড়ে যায় তার সমস্ত লেখা, সংগ্রহ ও বইপত্র।  কবি কন্সটানটাইন কাফাভি ছিলেন প্রচারবিমুখ, যা লিখতেন তার অল্পই তিনি প্রকাশ করতেন। তার লেখায় ইতিহাসের পরিচিত বিষয়গুলো উঠে এসেছে যা তাকে এখনো স্মরণীয় করে রেখেছে। তিনি মৃত্যুবরণ করেন ১৯৩৩ সালের ২৯ এপ্রিল। 
এডমন্ড কিলি ও ফিলিপ শেরার্ড ১৯৯২ সালে কন্সটানটাইন কাফাভির কবিতা ইংরেজিতে অনুবাদ করে সংকলন প্রকাশ করেন। ‘স্পার্টায়’ (ওহ ঝঢ়ধৎঃধ) তার একটা জনপ্রিয় কবিতা এই সংকলন থেকে নেওয়া। 

স্পার্টায়
রাজা ক্লিওমেনিস বুঝে উঠতে পারেননি, সাহসেও কুলায়নি। 
মাকে কিভাবে বলবে বুঝতে পারছিলেন না
এ রকম একটা বিষয়: টলেমীর দাবি,
তাদের চুক্তির নিশ্চয়তা স্বরূপ তাকেও যেতে হবে মিসরে
এবং সেখানে আটকে রাখা হবে জিম্মি হিসাবে।
বিষয়টা ভীষণ অপমানজনক ও অশোভনীয়।
কথাটা বলতে গিয়ে সব সময় দ্বিধান্বিত হন তিনি,
মনস্থির করেছেন, এখনই বলতে শুরু করবেন, কিন্তু বলা হয় না,
মহীয়সী রমণী তাকে ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন
এ নিয়ে কিছু গুজব তিনিও শুনেছেন।
সাহস যোগালেন তাকে যেন বের হয়ে আসতে পারে দ্বিধা ভেঙে। 
এবং তিনি হেসেই বলেছিলেন, অবশ্যই তিনি যাবেন, 
এমন বুড়ো বয়সেও সুখী যে 
এখনও তিনি কাজে লাগতে পারছেন স্পার্টার জন্য!
এই অপমান তাকে একটুও স্পর্শ করতে পারেনি।
অবশ্য টলেমীয় রাজবংশের মতো ভুঁইফোড়েরা
সম্ভবত স্পার্টানদের সাহসের মাপ বুঝতে পারেনি;
বাস্তবে সম্মান ক্ষুণ্ণ করতে পারেনি তাদের এই দাবি
তার মতো একজন রাজকীয় মহিলার,
যিনি স্পার্টার এক রাজার মা।

×