ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য ও আমাদের শক্তির জায়গা

আবু আফজাল সালেহ

প্রকাশিত: ২১:৪৫, ২ মে ২০২৪

রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য ও আমাদের শক্তির জায়গা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

রবীন্দ্রনাথ থেকে শক্তি পাবার জায়গা অনেক। প্রেরণা পাবার উৎস অনেক। গান, নাটক, কবিতা, ছোটোগল্প বা প্রবন্ধ এক-এক সত্তা কথা বলে। উৎসবের গান, বিষণ্ণতার গান, প্রেমের গান, বিরহের গান, দেশের গান, প্রকৃতির গান ইত্যাদি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় তার গান। রবীন্দ্রনাথের জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে ও আমার সোনার বাংলা গান দুটি যথাক্রমে ভারত ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত। আলো আসে তাঁর প্রতি গান থেকে, শক্তি আসে তাঁর প্রতি গান থেকে। সবসময় তিনি আমার পাশে এসে দাঁড়িয়ে যান। আমার সত্তায় মিশে যান যেন। আমার সত্তা হয়ে ওঠে ‘রবীন্দ্রনাথ’।

যে কোনো পরিস্থিতি ও পরিবেশে রবীন্দ্রনাথের গানেই আশ্রয় নিতে হয়- বৃষ্টি-প্রেম-বিরহ অথবা গ্রহণে-বিদায়ে বিভিন্ন উৎসবে। সন্ধ্যাবেলার বিষণ্ণ, নুয়ে পড়া আকাশ আবহে মনে পড়ে ‘তুমি রবে নীরবে’। ‘পুরনো সেই দিনের কথা’, ‘ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে’, ‘না চাহিলে যারে পাওয়া যায়’, ‘সহে না যাতনা’, ‘এ কী লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণ প্রাণেশ হে’—এমন সুরের কোনো দেশ আছে? কাঁটাতার থাকে? ¯্রােতের বিপরীতে একলাই চলতে হয়। এটা সবসময়ের রীতি। ভালো কাজে সহযাত্রী পাওয়া কষ্টকর।

তবুও  লক্ষ্যপথে যাত্রা করতে হবে। প্রয়োজনে একাই যাত্রা শুরু“করতে হবে। এখানেও রবীন্দ্রনাথ আমার পাশে এসে দাঁড়িয়ে যায়- যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে- তবে একলা চলো রে।/একলা চলো, একলা চলো, একলা চলো, একলা চলো রে।’ 
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের গানের নীলকান্ত মণি তিনি। বিভিন্ন পর্যায়ের গান আছে। এক-একটি যেন আলাদা সত্তার। প্রেমিকের গান আছে, বিরহের গান, বিষণœর গান, দেশের গান। সব সত্তায় মুগ্ধ করবে। রবীন্দ্রনাথের গানগুলো প্রেমিকার মতো।

কখনো আড়াল রাখে, কখনো প্রকাশ্যে আসে। মনোমালিন্য থাকে কখনো, ভালোবাসার গভীরতাও বাড়ে কখনো। রবীন্দ্রনাথের গানগুলো মনে পড়লে অবধারিতভাবে গানের কথাগুলো ভেতরে ভেতরে গাঁথা হয়ে যায়। রবীন্দ্রনাথের গানের মুখোমুখি হলে আমাদের মন ও ভার হালকা হয়ে যায়। দুঃখগুলো সব সরে যায়, মনের সংসার সাজিয়ে দেয়। গানের কথা, সুরের মোহ ‘দূরের কিছু নয়’ বলেই মনে হয়। বলতে ইচ্ছে করে, ‘আজি দখিন দুয়ার খোলা’, ‘দখিন হাওয়া জাগো জাগো’ ইত্যাদি ইত্যাদি।  
রবীন্দ্রসুরে একটা মগ্নতা থাকে। এ-মগ্নতা প্রকৃতির সঙ্গে আত্মীয়তা করে। একলা দিনে গাই রবীন্দ্রনাথের গান। প্রকৃতির মধ্যে থাকলে গাই তাঁর গান। বলা চলে, নিজের খুশির জন্যই,  আনন্দের জন্যই আমরা রবীন্দ্র সংগীত গাই। তাঁর বিষণœতার গানেও আমরা হিল্লোল পাই। চেতনায় শুধু রঙ লাগায়। মনে হয় আমার জন্যই এ গান, এ পরিবেশের জন্যই এ গান লিখেছেন  রবীন্দ্রনাথ। এ যেন রবীন্দ্রনাথ লিখেননি, আমিই লিখছি।

রবীন্দ্রনাথের গানের মধ্যে ভাষার পেলবতা দেখা যায়। তিনি নিজেকে তিনি প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন। গানে নতুন ফর্ম এনেছেন। রেখে গেলেন যা আগে ছিল না এমন। সঞ্চারীর অপূর্ব ব্যবহার করেছেন তিনি, সুরে জাদুমন্ত্র মিশিয়েছেন তিনি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্রদ্ধার পাত্র, সমীহ করার মতো আধার। প্রণাম্য তিনি। বিভিন্ন উৎসব আর পরিবেশের সামঞ্জস্যপূর্ণ গান আমার সত্তায় মিশে গিয়ে হয়ে যান ‘আমার রবীন্দ্রনাথ’। 

‘এমন দিনে তারে বলা যায়, এমনও ঘনঘোর বরিষায়’—বর্ষা প্রেম ও বিরহের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে দেয়। বর্ষায় প্রেম ও বিরহের রসায়নটা জমে ওঠে। তাই দেখা যায়, ঋতুভিত্তিক (এমনকি একক বিষয়ে) বর্ষাকেন্দ্রিক সাহিত্য অনেক বেশি। মেঘ, বৃষ্টি নিয়ে বর্ষা। বর্ষাকেন্দ্রিক গানগুলো বা কবিতায় সর্বোচ্চমাত্রায় পৌঁছাতে পেরেছেন। যখন এসব সাহিত্য পাঠ করা হয় বা উপভোগ করা হয় মনে হয় আমিই সেই সত্তা, যা আমি খুঁজিছি কিন্তু পাইনি। বৃষ্টি ও মেঘের পরের মিষ্টি রোদ কি যে সুন্দর! ঝলমলে আলোয় দূরীভূত হয় সব মন্দ, দুঃখ-বেদনা।

উল্লাসে ফেটে পড়ি- ‘মেঘের কোলে রোদ হেসেছে, বাদল গেছে টুটি।/ আজ আমাদের ছুটি ও ভাই,আজ আমাদের ছুটি’। প্রেয়সী বা প্রিয়জনের কথা মনে হলেই সুর চলে আসে মনে, হৃদয় দোলায়িত হয়। প্রিয়জন মনে রাখুক বা না-রাখুক তার কথা মনে পড়া প্রাণীজ সহজাতÑ ‘মনে রবে কি না রবে আমারে সে আমার মনে নাই/ ক্ষণে ক্ষণে আসি তব দুয়ারে, অকারণে গান গাই’। এখানেও রবীন্দ্রনাথ। 
‘তুমি কেমন করে গান করো হে গুণী, অবাক হয়ে শুনি, কেবল শুনি’, ‘আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে’, ‘মম চিত্তে নিতি নৃত্যে কে যে নাচে/ তাতা থৈ থৈ, তাতা থৈ থৈ, তাতা থৈ থৈ’, ‘আমার  প্রাণের মাঝে সুধা আছে, চাও কি’, ‘আমার পরান যাহা চায় তুমি তাই, তুমি তাই গো’ ইত্যাদির মতো গানগুলো শুনি তখন ভাবাতে বাধ্য করে, চৈতন্যকে প্রসারিত করে। এসব গান গাইলেই নিজের সত্তা জাগ্রত হয়। আসলেই তো, আমি আমার মানসরাজ্যে আমিই রাজা! অন্যজন কেন নিয়ন্ত্রণ করবে! মঙ্গলের জন্য করতে পারে। কিন্তু আমাকে ধোঁকা দিয়ে নয়। আমি ইচ্ছে করেই তা  করব, তা মানব। 
দিন দিন হতাশা বাড়ছে। আত্মহত্যা বাড়ছে। নাগরিক-জীবন ক্রমশ অসহ্য হয়ে যাচ্ছে। ভালো কাজে সঙ্গী পাওয়ার আশা ছেড়ে দিতে হয়। সেই রবীন্দ্রনাথ তো কবেই আমাদের মন্ত্র দিয়েছেন ‘একলা চলার’। আধুনিক এ-যুগে এছাড়া বড় উদ্দীপন আর কি হতে পারে! মানুষ বাড়ছে, এতো মানুষ তো ‘মানুষ’ কই? মানবতা কই? ভালো কাজে লোক পাওয়া যাচ্ছে কই?— ইত্যাদি ইত্যাদি প্রশ্ন যখন মাথায় ঘোরে তখন সমাধান হয়ে আসে রবীন্দ্রনাথের এই গান। ধাক্কা কাউকে-না-কাউকে শুরু“করতেই হবে। আমিই শুরু“করি না কেন! রবীন্দ্রনাথ মিশে যায় আমার সত্তায়, না আমি মিশে যায় রবীন্দ্রনাথের সত্তায়। আমি-ই হয়ে যায় রবীন্দ্রনাথ।
রবীন্দ্রসুরে আচ্ছন্ন বাঙালি—কলকাতা-শান্তিনিকেতন-ঢাকা পর্যন্ত প্রবলভাবে বিস্তৃত। কীটসের কবিতার শব্দগুলো যেন ঠোঁট,  চোখ, মুখ, মাথায় সেনশন সৃষ্টি করে, তেমনই রবীন্দ্রনাথের গান ইন্দ্রিয়কে জাগ্রত করে প্রবলভাবে। বর্ষা উন্মাদনা জাগায়। যেন প্রথম প্রেমের মতো একটা কিছু। গভীরভাবে প্রকৃতির উপলব্ধি করা শেখায়। মৃত্যুভাবনা বা মৃত্যুচেতনা রবীন্দ্রনাথের অন্যতম দর্শন। মৃত্যু নিয়ে বেশকিছু গান লিখেছেন তিনি।

বিদায় বেলায়, মৃত্যু নিয়ে আকার-ইঙ্গিতে অনেক গান-কবিতা লিখেছেন। রবীন্দ্রনাথ বিষণ্ণ বেলাও উপভোগ করতে চাইতেন। জীবনকে সবসময় উপভোগের মধ্যেই রাখতেন। ব্যক্তিসত্তাকে অসীমের মধ্যে মিলিয়ে দেওয়া। এ দর্শন তাঁকে চিরঞ্জীব করেছে। কিছু উদাহরণ-

(১) শেষ নাহি যে, শেষ কথা কে বলবে?
আঘাত হয়ে দেখা দিল, আগুন হয়ে জ্বলবে।

(২) তোমার বীণার ধ্বনির সাথে আমার বাঁশির রবে
পূর্ণ হবে রাতি। 
তোমার আলোয় আমার আলো মিলিয়ে খেলা হবে,
নয় আরতির বাতি।

(৩) মধুর, তোমার শেষ যে না পাই প্রহর হলো শেষ—
ভুবনজুড়ে রইল লেগে আনন্দ-আবেশ।
দিনান্তের এই এক কোনাতে সন্ধ্যামেঘের শেষ সোনাতে মন যে আমার গুঞ্জরিছে কোথায় নিরুদ্দেশ।
‘আজ যেমন করে গাইছে আকাশ তেমনি করে গাও গো/আজ যেমন করে চাইছে আকাশ তেমনি করে চাও গো’ এমন প্রেম ও বিরহের অনেক গান আছে। ‘দাঁড়িয়ে আছ তুমি আমার/গানের ওপারে’, ‘তুমি কোনো কাননের ফুল/কোনো গগনের তারা/ তোমায় কোথায় দেখেছি’ ইত্যাদির মতো গান শুনলেই মনে হয় আমার কথাই রবীন্দ্রনাথ সুরে সুরে বলছেন। আষাঢ়-শ্রাবণ কবির প্রিয় সময়। শ্রাবণের বৃষ্টিধারা, জ্যোৎস্নামাখা আকাশ ভেঙে বৃষ্টি কবির মতো আমাদেরকেও মধুরতা দেয়।

হারিয়ে যায় রবীন্দ্র সুরে সুরে। প্রেমিকের বিরহ, বেদনা, অপেক্ষা নিয়েও রবীন্দ্রনাথ গান লিখেছেন অপূর্ব ব্যঞ্জনায়। ‘পুরনো সেই দিনের কথা/সে কি ভোলা যায়’, ‘বড় আশা করে এসেছি গো/কাছে ডেকে লও’,  ‘না পেয়ে তোমার দেখা, একা একা/দিন যে আমার কাটে না রে’—বিরহের গানগুলো যেন আমার অসময়ে বা বিরহকালে রবীন্দ্রনাথ আমার পাশে এসে দাঁড়িয়ে যান। 
‘অনেক কথা যাও যে বলে কোনো কথা না বলি/তোমার ভাষা বোঝার আশা দিয়েছি জলাঞ্জলি’। কিছুর অপেক্ষা করা অনেক কষ্টকর। আর যদি প্রিয়-কিছুর জন্য হয়! ‘কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া/তোমার চরণে দিব হৃদয় খুলিয়া’; কিন্তু আশা পূরণ হয়নি এখনো। মনে হয় সব কিছু মিথ্যা, ছলনার জাল—‘প্রাণ চায় চক্ষু না চায়, মরি একি তোর দুস্তর লজ্জা/সুন্দর এসে ফিরে যায়, তবে কার লাগি মিথ্যা এ সজ্জা’।

বুঝতে পেরেও মন মানে না, সান্ত¦নার বাণী শুনতে চায় মন—‘যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে/তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে,/তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাইবা আমায় ডাকলে’, ‘সেদিন দুজনে দুলেছিনু বনে, ফুলডোরে বাঁধা ঝুলনা/সেই স্মৃতিটুকু কভু ক্ষণে ক্ষণে যেন জাগে মনে ভুলোনা’। 
রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্প বা উপন্যাস পড়লে মনে হয় এতো আমার আশপাশের ঘটনা। রবীন্দ্রনাথ যেন আমার চোখে দেখেছেন।  আমার বাড়ির ঘটনা, আমি বলতে চেয়েছি কিন্তু বলতে পারিনি! লিখতে চেয়েছি কিন্তু লেখার ক্ষমতা আমার নেই। শুধু রবীন্দ্রনাথ পেরেছেন। প্রকাশ করতে পেরেছেন, লিখতে পেরেছেন। বর্ণনাগুলো আমি না করে রবীন্দ্রনাথ করেছেন। রবীন্দ্রনাথে বিলীন হয়ে যায় আমি। রবীন্দ্রনাথের সত্তা আমার সত্তা হয়ে যায়। রবীন্দ্রনাথের অনেক কবিতা আছে যা পাঠ করলে কাঁটাতার 
আছে বলে মনে হয় না! সমগ্র বাঙালি একইসূত্রে গাঁথা হয়ে যায়। রবীন্দ্রনাথ আমার হয়ে যান। 
রবীন্দ্রনাথের গানগুলো সৌন্দর্যের বড় আধার। এ আধার থেকে সবাই সৌন্দর্য নিয়ে নিলে বা উপভোগ করলেও শেষ হয়ে যায় না! তাঁর গানে ধরা দেয় প্রকৃতি, ধরা দেয় প্রেম, ভেসে ওঠে একাকিত্ব বা বিরহ। ছাড়িয়ে যায় কীটসের অ ঞযরহম রং লড়ু ভড়ৎবাবৎ-কেও। পঞ্চইন্দ্রিয়ের সব নন্দনকানন গড়াগড়ি খায় আমার চারপাশে, আলতো-স্পর্শ করে স্বপ্নে বিঘোর করে। জাগিয়ে দেয় সুন্দরের ডালি। মনে হয়, এই তো রবীন্দ্রনাথ, এই তো আমি! আমিই ‘রবীন্দ্রনাথ’।

রবীন্দ্রনাথ দেবদূত,  না-হলে আমার মনের খবর জানলেন কি করে! দেবদূত তো দেখা যায় না! দেবদূত আমার দেহেই মিশে আছে। রবীন্দ্রনাথ-সাগরে যতই ঢুকে পড়ি ততই বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, চলে যায় অন্য এক আনন্দলোকে। তাঁর সাহিত্যসাগর থেকে ‘সিন্ধু সেচে বিন্দুর মতো মুক্তা আনি’ যেন। তিনি রাজনীতি, জনসংস্কৃতিতে মিশে গেছেন। মিশে গেছে বাঙালির উৎসবে, পার্বণে। এই প্রভাবকে মাড়িয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব। 
রবীন্দ্রনাথের গানগুলো কী মোহঘোরে ডুবিয়ে দেয়, সুন্দরের খনিতে নামিয়ে দেয়! রবীন্দ্রনাথে আচ্ছন্ন না-হয়ে পারা যায়! কেউ এড়িয়ে যেতে পারবে? এড়িয়ে গেলেই অদৃশ্য রক্তক্ষরণ হবেই। রাজা চতুর্দশ লুই বলেছিলেন, ও ধস ঃযব ংঃধঃব আমিই রাষ্ট্র। আমি শুধু রাষ্ট্রকেই চাই না। 
সমাজ-সংস্কৃতিকেই চাই। রবীন্দ্রনাথ হচ্ছে সংস্কৃতির বৃহত্তম উৎস। এখানে বাঙালির সব আছে। তাই বাঙালি হিসাবে আমাকেই বলতেই হচ্ছে (আমাকে বদলে বাঙালিকেও বসাতে পারেন) আমিই রবীন্দ্রনাথ। তাই, আমি  ‘তোমারেই করিয়াছি জীবনের ধ্রুবতারা’।

×