ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁর পত্রসাহিত্য

আ.শ.ম. বাবর আলী

প্রকাশিত: ২২:৩৮, ১৬ মে ২০২৪

প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁর পত্রসাহিত্য

প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁর

প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁর ৮২টি গ্রন্থের মধ্যে পত্রগ্রন্থ দুটি। একটি ‘ইস্তাম্বুল যাত্রীর পত্র’ অপরটি ‘লিপি সংলাপ’।
১৯৫১ সালে ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত আন্তঃপার্লামেন্টারি কনফারেন্সে যোগদানের জন্য তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের একটি প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য হয়ে তিনি সেখানে গমন করেন। এই সুযোগে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। এসব দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আরব, ইরান, মিসর প্রভৃতি। এসব দেশ সফরে তাঁর প্রায় দেড়মাস কাটে। এসব বিভিন্ন দেশে অবস্থানকালে বিভিন্ন সময় দেশে তাঁর আত্মীয়-স্বজনদের কাছে ১৫খানা পত্র লেখেন

পারস্পরিক ব্যক্তিক তথ্য যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ব্যক্তিগত পত্র। সেই পত্র আবার সাহিত্য হতে পারে, যদি তার বক্তব্য বিষয় হয় বহুজনের সামগ্রিক সম্পৃক্ততা। আর তা বিনির্মিত হয় সাহিত্যিক ভাষাশৈলীতে। তার নাম হয় পত্রসাহিত্য। 
বাংলাভাষায় পত্রসাহিত্য তেমন বেশি সমৃদ্ধ না হলেও শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিকদের হাতে কম করে হলেও তার চর্চা ঘটেছে। বিশ^কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ইউরোপ প্রবাসীর পত্র’ ও ‘জাপানযাত্রীর পত্র’ এবং কাজী নজরুল ইসলামের ‘বাঁধনহারা’ উপন্যাস বাংলা পত্রসাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন। এছাড়াও ছোটখাটো কিছু পত্রসাহিত্য সৃষ্টি হয়েছে সাহিত্যিকদের হাতে। কিন্তু তা খুব বেশি উল্লেখযোগ্য নয়। 
উল্লেখযোগ্য পত্রসাহিত্যের আবার নিদর্শন পাওয়া গেল প্রিন্সিপাল ইরাহীম খাঁর হাতে। তিনি ছিলেন বাংলা সাহিত্যের এক অসাধারণ দিকপাল। সাহিত্য তো বটেই, জীবনযাপনের প্রতিটি দিক নিয়েই তাঁর সৃষ্টসাহিত্য স্বগুণে সমৃদ্ধ। বয়সী, শিশু-কিশোর সবার জন্য তিনি লিখেছেন। বিভিন্ন সম্পাদনা ছাড়াও তাঁর লেখা গ্রন্থের সংখ্যা ৮২টি। এরমধ্যে আছে শিক্ষা, রাজনীতি, সাহিত্য, সমাজ-ভাবনা, ভ্রমণকাহিনী ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ক।

তাঁর জীবনের দৃষ্টিপাত, ভাবনা, স্বপ্ন, ইচ্ছা- সবকিছুরই প্রতিফলন ঘটেছে তাঁর সব লেখাতে। সেসব তিনি প্রকাশ করেছেন আপন স্বাচ্ছন্দ্য ইচ্ছায় বিভিন্ন প্রক্রিয়ায়। সাবলীল সাধারণ প্রকাশ ছাড়াও রম্য, কৌতুক ইত্যাদিকে তিনি গ্রহণ করেছিলেন তাঁর আদর্শ প্রচারের অনুষঙ্গ হিসেবে। সাহিত্যের প্রায় সকল শাখাতেই তিনি বিচরণ করেছেন। সফলও হয়েছেন কৃতিত্বের সঙ্গে।

বিশেষ করে কথাসাহিত্যে তিনি লিখেছেন সার্থকভাবে তাঁর নিজস্ব স্টাইলে। প্রবন্ধ, উপন্যাস, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, জীবনী, নাটকÑ সবখানেই তাঁর সফল সৃষ্টি। আর এতদসহ অন্যান্য অনেকের সঙ্গে তাঁর ব্যতিক্রমী সৃষ্টি পত্রসাহিত্য।
প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁর ৮২টি গ্রন্থের মধ্যে পত্রগ্রন্থ দুটি। একটি ‘ইস্তাম্বুল যাত্রীর পত্র’ অপরটি ‘লিপি সংলাপ’।
১৯৫১ সালে ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত আন্তঃপার্লামেন্টারি কনফারেন্সে যোগদানের জন্য তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের একটি প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য হয়ে তিনি সেখানে গমন করেন। এই সুযোগে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। এসব দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আরব, ইরান, মিসর প্রভৃতি। এসব দেশ সফরে তাঁর প্রায় দেড়মাস কাটে। এসব বিভিন্ন দেশে অবস্থানকালে বিভিন্ন সময় দেশে তাঁর আত্মীয়-স্বজনদের কাছে ১৫খানা পত্র লেখেন।

পরে এই পত্রগুলো একত্রিত করে ‘ইস্তাম্বুল যাত্রীর পত্র’ নামে তিনি পুস্তকাকারে প্রকাশ করেন। ব্যক্তিগত হলেও এসব পত্রে সংশ্লিষ্ট দেশের ভৌগোলিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ইত্যাদি প্রেক্ষাপট বর্ণিত হয়েছে সুন্দরভাবে। বর্ণনার ভঙ্গি সাহিত্যগুণ সমৃদ্ধ বটে। তাই এসব পত্রের সাহিত্যিক ও ঐতিহাসিক উভয় মূল্য যথেষ্ট। উল্লিখিত দেশের ভৌগোলিক বর্ণনার সঙ্গে আছে সেসব দেশের অনেক রকম ঐতিহাসিক তথ্য।

ভূমধ্য সাগরের সাহিত্য সমৃদ্ধ ভৌগোলিক বর্ণনা পত্রের প্রাপক শুধু নয়, যে কোনো পাঠককে মুগ্ধ করে। অনেক অজানা তথ্য প্রদান করে। এবং সঙ্গে সঙ্গেই তিনি প্রদান করেছেন অনেক ঐতিহাসিক তথ্য। যেমনÑ 
‘মিসর, কার্তেজ গ্রীস আর রোম জনপদের ভুবন বিখ্যাত সভ্যতার জন্ম ও বিকাশ ঘটেছিল এই পরিধির পারে পারে। এই দরিয়া পাড়ি দিয়ে সিজার, এন্টনি মিসর বিজয়ের অভিযান করেন। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দী ছিল মুসলমানদের নৌ-প্রভুত্বের যুগ। নৌ-প্রভুত্বের লীলাভূমি ছিল এই ভূমধ্যসাগর।’
অন্যান্য পত্রে আছে তুরস্কের প্রাচীন সভ্যতার বিবরণ, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন রাষ্ট্রসমূহের বিভিন্ন সময়কার যুদ্ধের বিবরণ, এসব এলাকার মুসলিম সুলতানদের রাজ্যশাসন, ভাস্কর্যপ্রীতি, বিচার পদ্ধতির বর্ণনা ইত্যাদি। সিন্ধু সভ্যতা, ইউক্রেটিস সভ্যতাসহ অজ¯্র মুসলিম সভ্যতার বিবরণ আছে বেশ কয়েকটি পত্রে। কায়রো থেকে লেখা একটি পত্রে তিনি বর্ণনা করেছেন আল-আজহার বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও তার বর্তমান অবস্থার কাহিনী। তেহরান থেকে লেখা এক চিঠিতে তিনি ইরানের সাহিত্য-শৈল্পিক বর্ণনা দিয়েছেন এভাবে-
‘বছরাই গোলাপের গন্ধ ছিল যতখানি, ইরানী গুলের সুবাস ছিল তারচেয়ে অনেক বেশি। ইরানী সুফী কবিদের কাব্য আমাদের দেশে বহুল আলোচিত। শুধু সাদী, রুমী, জামী, ফেরদৌস নহে, আধুনিক পার্সী সাহিত্যিকের লেখা নিয়েও এখানে পত্র-পত্রিকায় আলোচনা প্রকাশ পায়। ইরানী সুফী দরবেশগণ ইসলামের মানবতার কি মনোরম রূপইনা দিয়েছিলেন... বিপুল মানব সমাজকে উপেক্ষা করে কেবল নিজের জন্য নাজাত তাঁরা কখনো অন্বেষণ করেননি। তাই তাঁরা ওই আপত দৃশ্যমান শুধু বহিরাবরণের অন্তঃসলিলা ফল্গুর মতো তাঁদের মানব-প্রেমে অনুক্ষণ উজ্জীবিত ছিল।’
এসব লেখা পড়লে কখনো কি মনে হয় যে, এগুলো শুধু কোনো ব্যক্তিগত চিঠি? মোটেই নয়। বরং এসব বিবরণীতে ইতিহাস, ভূগোল ইত্যাদি ছাড়াও সাহিত্য-সংস্কৃতি ইত্যাদি তথ্যে পরিপূর্ণ। সবগুলোই সাহিত্যগুণে সমৃদ্ধ। তাঁর লেখার গুণে ব্যক্তিগত পত্র পরিণত হয়েছে সাহিত্যপত্রে। সেজন্য এক সময় ‘ইস্তাম্বুল যাত্রীর পত্র’ গ্রন্থখানি মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক উচ্চতর শ্রেণিতে পাঠ্যপুস্তক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

অর্থাৎ পত্র আর নিছক পত্র থাকেনি, ‘পত্রসাহিত্য’ রূপ পেয়েছে। এগুলো পত্রপ্রাপকের একক মালিকাধীন থেকে ঐতিহ্য প্রেমিক আর সাহিত্য পিপাসুদের সম্পত্তিতে পরিণত হয়েছে। এককথায় বলা যায়, প্রিন্সিপাল ইবাহীম খাঁ’র ‘ইস্তাম্বুল যাত্রীর পত্র’ গ্রন্থটি বাংলা ‘পত্রসাহিত্যের’ এক উল্লেখযোগ্য অতি মূল্যবান সংযোজন।  
সর্বমোট ২৫৮ পৃষ্ঠার এ গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯৫৪ সালে। পৃষ্ঠাসখ্যা দেখে বোঝা যায়, প্রতিটি পত্রই অতি দীর্ঘ। কারণ, মাত্র ১৫টি পত্রেই গ্রন্থের এই ব্যাপ্তি। পত্রের দীর্ঘতার কথা জেনে এটাও সহজে বুঝতে পারা যায় যে, স্বজন-পরিজনদের কাছে ব্যক্তিগত কথা বলার জন্য নয়, তাদের কাছে ইতিহাস, ভূগোলসহ বিভিন্ন বিষয়ের মূল্যবান তথ্য প্রদানের জন্য সাহিত্যের শিল্পকর্মে নান্দনিক ভাষায় এ পত্রগুলো তিনি লিখেছিলেন, যা পরবর্তীতে অতি স্বাভাবিকভাবেই পত্রসাহিত্যে পরিণত হয়েছে।

প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁর দ্বিতীয় পত্রগ্রন্থ ‘লিপি সংলাপ’। তাঁর অতি পরিচিত প্রিয় এবং বিখ্যাত বেশ কিছু ব্যক্তিদের কাছে ব্যক্তিগতভাবে লেখা কিছুসংখ্যক চিঠি সংকলিত হয়েছে এ গ্রন্থে। এসব ব্যক্তিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হচ্ছেনÑ কাজী নজরুল ইসলাম, শেরেবাংলা এ.কে. ফজলুল হক, ওয়াজেদ আলী খান পন্নী, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, পল্লীকবি জসীম উদ্দীন, পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায়, সৈয়দ মুজতবা আলী, আব্বাস উদ্দীন আহমদ, রওশন ইজদানী, অধ্যক্ষা খোদেজা খাতুন, অধ্যাপক ক্ষিতিমোহন সেন প্রমুখ। 
ব্যক্তিগতভাবে লিখিত হলেও তাঁদের এ সব কোনো পত্রই গুরুত্বহীন নয়। প্রতিটি পত্রই দেশ ও সমাজ-ভাবনায় সম্পৃক্ত ও দিকনির্দেশক। ‘ইস্তাম্বুল যাত্রীর পত্র’ গ্রন্থে যেসব পত্র, তার সবই লিখিত তাঁর আত্মীয়-স্বজনদের কাছে।

কিন্তু ‘লিপি সংলাপ’ গ্রন্থের যেসব পত্র, তার সবগুলোই তিনি লিখেছিলেন সমকালীন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের কাছে, যাঁরা দেশ ও সমাজের কোনো না কোনো ক্ষেত্রে স্বকর্মে, স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত। ‘ইস্তাম্বুল যাত্রীর পত্র’এর বিষয়বস্তু নির্দিষ্ট বৈদেশিক কৃষ্টি সভ্যতা সম্পৃক্ত ভৌগোলিক-ঐতিহাসিক তথ্যবিবরণ। কিন্তু ‘লিপি সংলাপ’এর বিষয়বস্তু সমকালীন সমাজভাবনা। ও তৎসংক্রান্ত দিগ্নির্দেশনা।
সর্বমোট ১৪৭টি পত্র সংকলিত হয়েছে ‘লিপি সংলাপ’ গ্রন্থটিতে। প্রতিটি পত্রই ঐতিহাসিক মূল্যবোধ ও গুরুত্ব সম্পন্ন। বিশেষ করে কাজী নজরুল ইসলামের কাছে ১৯২৫ সালে লিখিত পত্রটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ পত্রে নজরুলের নিকট তৎকালীন ভাগ্যহত বাঙালি মুসলমানদের দুর্দশার কথা বর্ণনা করে তা দূরীকরণে নজরুলের দেশপ্রেম মূলক কবিতা তিনি কামনা করেছিলেন।

দু’বছর পর ১৯২৭সালে এ চিঠির যে জবাব নজরুল প্রদান করেন, সেটিও অনন্য সাধারণ ও আমাদের জাতীয় জীবনের অমূল্য সম্পদ। সে সময় উক্ত সময় এটি ছিল তৎকালীন মুসলমান সমাজের জন্য অনুপম দিগ্নির্দেশনা। 
বস্তুত প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁ কর্তৃক সমাজভাবনা মূলক এমন একটি পত্র লেখার জন্যই নজরুলের কাছ থেকে এমন একা পত্র পাওয়া সম্ভব হয়েছিল। সামাজিক ও রাজনৈতিক গুরুত্ব অনুধাবন করে দুটো পত্রই সে সময় মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন সম্পাদিত ‘মাসিক দওগাত’ পত্রিকাতে ছাপা হয়। দুটো পত্রই সমকালীন পাঠকদের মধ্যে প্রচন্ড আলোড়ন সৃষ্টি করে।
অন্য পত্রগুলো এত বেশি আলোড়িত না হলেও কোনোটারই ঐতিহাসিক গুরুত্ব কম ছিল না। 
তাই তাঁর ‘লিপি সংলাপ’ পত্রগ্রন্থখানিও তৎকালীন সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। পত্রসমূহের ভাষা ও বাচনভঙ্গি অতি নিটোল সাহিত্যগুণ সম্পন্ন।
এছাড়া আরও অনেক পত্র ইবরাহীম খাঁ লিখেছিলেন আরও অনেকজনের কাছে। তাঁদের মধ্যে কেউ খ্যাত, কেউ অখ্যাত, কেউ তাঁর অতি ঘনিষ্ঠ, কেউ স্বল্প পরিচিত। কিন্তু প্রতিটি পত্রই সমাজভাবনা ও দিগ্নির্দেশনা মূলক। এ ধরনের অনেক চিঠি সংগৃহীত হয়েছে তাঁর পরিবারবর্গ ও তৎসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে। এগুলোও গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হলে সেটিও বাংলা ‘পত্রসাহিত্যে’ আরও একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন হতে পারে। 
তবুও ‘ইস্তাম্বুল যাত্রীর পত্র’ আর ‘লিপি সংলাপ’ পত্রগ্রন্থ দুটির মাধ্যমে বাংলা পত্রসাহিত্যে প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁ যে সংযোজন ঘটিয়েছেন, বিষয়বস্তু আর রচনাশৈলীর বিচারে তা এক উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি। এ সাহিত্যকে করেছে  সমৃদ্ধ। 
বলা যেতে পারে, বাংলাসাহিত্যে এক্ষেত্রে প্রথম সারির লেখকদের মধ্যে প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁ একজন, যদিও এ শ্রেণির লেখকদের সংখ্যা অতি হাতে গোনা।

×