
ইসরায়েল ক্রমেই যেন ইরানের ধর্মীয় নেতৃত্বকে ক্ষমতা থেকে সরানোর দিকে আগ্রহী হয়ে উঠছে । কিন্তু এই পদক্ষেপ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ ইরানের বিরোধী গোষ্ঠী ভিন্নমতাবলম্বী ও ছিন্নভিন্ন, এবং নতুন নেতৃত্ব আগের চেয়ে কম কঠোর হবে—এমন নিশ্চয়তা নেই।
ইসরায়েল এখন শুধু ইরানের পারমাণবিক বা ব্যালিস্টিক স্থাপনাই নয়, বরং আইআরআইবি (IRIB) রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা’র মতো লক্ষ্যবস্তুতেও হামলা করছে। এতে ধারণা আরও জোরালো হয়েছে যে, ইসরায়েল কেবল পারমাণবিক সক্ষমতা দুর্বল করার বাইরে গিয়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেইকে অপসারণের পরিকল্পনা করছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদিও বলেছেন, “আমরা জানি খামেনেই কোথায় লুকিয়ে আছেন,” তবুও ৩৫ বছরেরও বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা এই শাসকের পতনের পর কী ঘটবে, তা ঘন অন্ধকারে ঢাকা।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ বলেন, “আজকের দিনে সবচেয়ে বড় ভুল হবে সামরিক উপায়ে ইরানে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করার চেষ্টা করা—এটা কেবল বিশৃঙ্খলার দিকেই নিয়ে যাবে।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, খামেনেই ও তার ধর্মীয় সহযোগীদের অপসারণ একটি শূন্যতা সৃষ্টি করতে পারে, যা কঠোরপন্থী ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড বা সেনাবাহিনী দখল করে নিতে পারে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরাসরি ক্ষমতাবদলের লক্ষ্য অস্বীকার করলেও স্বীকার করেছেন যে, সামরিক অভিযান এরকম ফলাফল ডেকে আনতে পারে, যেহেতু এটি শাসনব্যবস্থার প্রতীকগুলোকে আঘাত করছে।
বিশ্লেষকরা সতর্ক করছেন যে, ইরানের জটিল জাতিগত গঠনও ভবিষ্যতের অস্থিতিশীলতায় ভূমিকা রাখতে পারে। পার্সিদের পাশাপাশি বড় আকারে কুর্দি, আরব, বেলুচি ও তুর্কিক জনগোষ্ঠী সেখানে বাস করে।
সূত্র - https://www.timesofisrael.com/ayatollah-khamenei-may-fall-but-theres-no-telling-what-could-come-next/
সানজানা